নিজস্ব প্রতিনিধি : ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২। সামনেই দুর্গোৎসব। মায়ের আগমনে সবাই আবার মেতে উঠবে। করোনার কালো ছায়া অনেকটাই মিলিয়েছে। মানুষ আবার স্বাভাবিক ছন্দে পুজো উপভোগ করবে।এই উৎসবে সামিল খুকুমণি সিন্দুর ও আলতা। মায়ের আগমনের প্রাক্কালে এক অন্য দুর্গাকে সম্মান প্রদান করা হলো কোম্পানির পক্ষ থেকে। বিশিষ্ট পটচিত্র শিল্পী কল্পনা চিত্রকর। ২০১৬-এ পেয়েছেন জাতীয় পুরস্কার। পটের কাজের জন্য স্বামী নুরুদ্দিন চিত্রকর, সন্তানদের পাশে পেয়েছেন। ধর্মে মুসলমান পরিবার হলেও করেন দুর্গা পটের গান। আঁকেন হিন্দুদের নানা দেব দেবীর ছবি। ফুটিয়ে তোলেন শাড়ি, ঘর সাজানোর সরঞ্জাম, কাঁশার থালা, টিশার্ট কেটলি। রপ্তানি হয় বাইরেও। বাড়ির অন্দরসজ্জাতেও ব্যবহার হয় পটচিত্র। ডাক পান সেই কাজেও। বানিয়েছিলেন করোনা মহামারী নিয়ে সচেতনতার পটচিত্র। একটা শিল্পকে আঁকড়ে ধরে নতুন মাধ্যমে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার এই অনন্য প্রচেষ্টাকে খুকুমণি সিন্দুর ও আলতা এর পক্ষ থেকে “সেলেব্রিটিং উইমেনহুড” সম্মান প্রদান করা হলো। ভারত সরকার আগেই জাতীয় পুরস্কারে শিল্পীকে সম্মানিত করেছেন। কল্পনা চিত্রকরের হাতে সম্মান তুলে দেন সংস্থার ডাইরেক্টর অরিত্র রায় চৌধুরী। শিল্পীর বাড়িতে গিয়ে এই সম্মান তুলে দেওয়ায় খুব খুশি হয়েছেন কল্পনা চিত্রকর। শিল্পী বললেন,” আমার খুব ভালো লাগছে ওঁনারা আমাদের বাড়িতে এসেছেন। এই কাজ আরো নানা দিকে ছড়িয়ে পড়ুক এটাই আশা রাখি।
সময়ের সাথে, সাথে নানা মাধ্যমে পটচিত্রের ব্যাবহার আরো বাড়ুক।”অন্যদিকে সংস্থার পক্ষে অরিত্র রায় চৌধুরী জানান,”আমাদের সংস্থা মূলত মহিলাদের প্রসাধনী সামগ্রী প্রস্তুত করে। সমাজে যে সব মহিলা সমাজের নানা ক্ষেত্রে কৃতিত্বের অনন্য নজির গড়েছেন, আমরা তাঁদের “সেলেব্রিটিং উইমেনহুড” সম্মানে সম্মানিত করে নিজেদের কিছু সামাজিক দায়বদ্ধতা পালন করি। এমন জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত শিল্পীকে সম্মান জানাতে পেরে নিজেদেরকেই সম্মানিত করলাম। সাথে এইরকম শিল্পের সাথে যুক্ত আগামী প্রজন্মকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য আমাদের এই উদ্যোগ।”
Be First to Comment