চন্দন রুদ্র : কাঠমান্ডু/কলকাতা, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫। নেপালের অন্তর্বতী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আজ দায়িত্বভার গ্রহণ করলেন সুশীলা কারফি। এক গভীর সঙ্কটজনক মুহূর্তে নেপালে প্রথম একজন মহিলা প্রধানমন্ত্রীর হাতে দেশ চালানোর দায়িত্ব তুলে দিলেন নেপালের জনগণ।
নেপালের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি শ্রীমতী কারফি আজ আনুষ্ঠানিকভাবে নেপালের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর যেভাবে দেশবাসীকে আস্বস্ত করেছেন, তাতে মনে হচ্ছে আমাদের আর এক প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের ইউনূস সরকারের কায়দায় তিনি অন্তত দেশ চালানোর কথা ভাববেন না। দায়িত্ব নিয়েই আগামী মার্চে নির্বাচন হবে এমন ইঙ্গিতও দিয়েছেন তিনি।
আজ সিংহদরবারের প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে ভাষণে কারফি গণআন্দোলনের নামে যে ধরনের অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, লুটপাট, অরাজকতা হয়েছে তাকে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বলে আখ্যায়িত করেছেন। তদন্তে দোষীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় এনে প্রকৃত শাস্তি দেওয়ার কথাও বলেছেন।
প্রতিবাদের নামে বাংলাদেশের মতোই মাউন্ট এভারেস্টের দেশটায় সিংহদরবার, সংসদ ভবন, সুপ্রিম কোর্টের মতো একের পর এক সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস হয়েছে। এই আন্দোলনে যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত এবং আহত হয়েছেন তাঁদের পাশে থাকার বার্তাও দিয়েছেন কারফি।
ভগবান বুদ্ধের জন্মভূমি নেপাল। বুদ্ধ মানেই শান্তির প্রতীক। বুদ্ধের সেই শান্তির দেশে অশান্তির কালো মেঘ। অন্তর্বতীকালীন প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কারফির হাত ধরে শান্তির নেপাল আবার শান্তিতেই ফিরুক। এক সময় তিনি ভারতে থেকে পড়াশোনা করেছেন। ২০১৬ সালের জুলাই মাস থেকে ২০১৭ সালের জুন মাস পর্যন্ত তিনি ছিলেন নেপালের প্রথম মহিলা প্রধান বিচারপতি। এই সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে শত্রুদের মুখে ছাই দিয়ে প্রতিবেশী রাষ্ট্র নেপালের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক আরও নিবিড় হোক। এই প্রত্যাশা।



















Be First to Comment