শ্রীজিৎ চট্টরাজ / গোপাল দেবনাথ : ৮ ডিসেম্বর ২০২১। বাংলায় শিল্প নেই। নেই শিল্পের পরিবেশ। এমন একটা ছবি দেশের সামনে। এই ছবি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আরও বেশি করে যখন টাটাগোষ্ঠী সিঙ্গুর থেকে হাত গুটিয়ে নিল। বাম জমানার অবসান ঘটিয়ে মমতা বন্দোপাধ্যায় ক্ষমতায় এলেন ২০১১ সালে। ২০১৫ সাল থেকে রাজ্য সরকার কলকাতায় শুরু করে বেঙ্গল বিজনেস সামিট।
এই সামিটের ফলে শিল্পপতিরা কত টাকা রাজ্যে বিনিয়োগ করেছেন তাই নিয়ে যথেষ্ট বিতর্কও আছে। কিন্তু এরই মধ্যে নতুন আশার আলো দেখালো টেকনো ভাল্ব সংস্থা। বায়বীয় শক্তির আধারের প্রয়োজনীয় ভাল্ব নির্মাণে সাফল্যের নজির গড়েছে এই সংস্থা।
৫০বছর পূর্তি উপলক্ষে সংস্থার তরফে কলকাতার পার্ক হোটেলে এক সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংস্থার চার প্রধান। প্রযুক্তিবিদ ওয়াই কে বিনানী, এন কে বিনানী, রোহিত বিনানী ও রেণু বিনানী।
সংস্থার মূল উৎপাদন ভাল্বের মানগত শ্রেষ্ঠত্বের জন্য বিশ্বের ছয় মহাদেশের ৬৫টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে। একদিকে ভারত পাকিস্তানের যুদ্ধ। পূর্ব পাকিস্তান এর হাত থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ গঠন। সেই সাথে এই বাংলায় ভয়ঙ্কর নকশাল আন্দোলন তার ই মধ্যে ১৯৭১ সালে মাত্র ছয়জন কর্মী নিয়ে যে উদ্যোগের পথ চলা শুরু, সেই সংস্থার আজ কর্মী সংখ্যা ২৩০জন। আয়োজকদের কাছে সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল , রাজ্য সরকার রাজ্যে বিনিয়োগের জন্য শিল্পপতিদের সহযোগিতার আশ্বাস দিচ্ছেন। সেক্ষেত্রে কি আপনারা কোনও সহযোগিতা পেয়েছেন? জবাবে রোহিত বিনানী জানান, সরকার আমাদের সংস্থার ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ ভূমিকা নিয়েছে। না পেয়েছি সহযোগিতা, না বিরোধিতা। সম্পূর্ণ নিজস্ব পুঁজি লগ্নি করে এই সংস্থাকে সফল করে তোলার চেষ্টা করে চলেছি।
করোনা অতিমারী পরিস্থিতিতে অক্সিজেন প্ল্যান্টের চাহিদা বেড়েছে। দূষণ মুক্তির জন্য যানবাহনের জ্বালানির ক্ষেত্রে সি এন জি প্রযুক্তিরও গুরুত্ব বেড়েছে।স্বাভাবিকভাবে ভাল্বের চাহিদাও বাড়ছে । পণ্যের চাহিদা বাড়ায় নতুন কর্মসংস্থান এর সুযোগ এসেছে। নতুন বছরের প্রাক মুহূর্তে একটি ভালো খবর নিঃসন্দেহে রাজ্যের জন্য ইতিবাচক।
Be First to Comment