মোল্লা জসিমউদ্দিন : কলকাতা : গত ১৩ জুলাই, কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ নির্দেশ দিল কাঁকুরগাছিতে নিহত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের ডিএনএ পরীক্ষা করতে।সাতদিনের মধ্যে যেন রাজ্য প্রশাসন মুখবন্ধ খামে এই রিপোর্ট টি আদালতে জমা দেয়।এদিন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্ডালের নেতৃত্বে বৃহত্তর বেঞ্চে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে পূর্নাঙ্গ রিপোর্ট জমা দেয়।এই রিপোর্ট এই মামলার সাথে যুক্ত প্রত্যেক আইনজীবীদের কে ইমেলে পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে আদালত জানিয়েছে। ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের রেশনের ব্যবস্থা করার যে নির্দেশিকা কলকাতা হাইকোর্ট জারি করেছিল।সেই নির্দেশ পুন বিবেচনা করার জন্য রাজ্যের তরফে আইনজীবী আবেদন জানালেও আদালত এই বিষয়ে কোন মন্তব্য করেনি।সম্প্রতি একুশে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ সাতদফা নির্দেশ দিয়েছিল।সেই নির্দেশ পুন বিবেচনা করার জন্য রাজ্য আবেদন জানালেও তা বহাল রয়েছে। এই সাতদফা নির্দেশ এর মধ্যে কলকাতার কাঁকুড়গাছির ৩০ নং ওয়ার্ডে বিজেপির বুথ কমিটির সভাপতি অভিজিৎ সরকারের মৃতদেহ কম্যান্ডো হাসপাতালে সংরক্ষণ করার নির্দেশ রয়েছে। এমতাবস্থায় নিহত বিজেপি কর্মীর পরিবার মর্গে রাখা দেহ যে তাদেরই আত্মীয়র তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে থাকে। রাজ্যের তরফে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ তোলা হয় এই নিহতের পরিবারের প্রতি।যদিও পরিবারের লোকজনদের দাবি – রাজ্য ওই সনাক্তহীন দেহ টি অভিজিৎরই বলে লিখিয়ে নিতে চাইছে। মঙ্গলবার আদালত মর্গে রাখা দেহটি আদৌও অভিজিতের কিনা, তা জানতে ডিএনএ পরীক্ষার নির্দেশ দেয়। নিহতের দাদা বিশ্বজিৎ সরকারের রক্তের নমূনা সংগ্রহ করে সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হবে।খতিয়ে দেখা হবে ডিএনএ রিপোর্ট। রাজ্য প্রশাসন আগামী সাতদিনের মধ্যে এই রিপোর্ট মুখবন্ধ খামে আদালতে পেশ করবে।আজ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পক্ষে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে পূর্নাঙ্গ রিপোর্ট জমা পড়ে। রাজ্যের তরফে ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্তদের রেশনের দায়িত্ব থেকে রাজ্য কে ছাড় দিতে পুন বিবেচনার আবেদন রাখা হলেও আদালত এই বিষয়ে কোন নির্দেশ দেয়নি। এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে আগামী ২২ জুলাই।
Be First to Comment