নিজস্ব প্রতিনিধি : কলকাতা, ১৭ই আগস্ট, ২০২৪। ৯ অগাস্ট ভোর রাতে খাস কলকাতা শহরের বুকে, আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চারতলার সেমিনার রুমে ধর্ষণ করে খুন করা হল এক পড়ুয়া-চিকিৎসকে। এই ‘তিলোত্তমা’-র মৃত্যুতে তোলপাড়, রাজ্য, সারা দেশ। দেশের সীমানা পেরিয়ে প্রতিবাদের ঢেউ আছড়ে পড়েছে বিদেশের মাটিতেও। কাঠগড়ায় পুলিশ-প্রশাসন। প্রশ্ন উঠেছে, নিজের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই যদি এক জন ‘তিলোত্তমা’ নিরাপদে না-থাকেন, তা হলে রাজ্যের পথে প্রান্তরে তাঁদের কী দশা! শিক্ষার প্রয়োজনে, জীবিকার প্রয়োজনে প্রতিদিন কোটি কোটি তিলোত্তমাকে পথে নামতে হয়। সেটাই স্বাভাবিক। মহিলারা পুরুষদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে চললে তবেই দিন বদলাবে, সমাজ এগোবে। নারীর অধিকার আজ আর কোনও তত্ত্বকথা নয়, সময়ের চাহিদা। কিন্তু কোন সমাজের বুকে পা ফেলছে আজকের তিলোত্তমারা! পার্ক স্ট্রিট, সুটিয়া, কামদুনি, আর জি কর… তিলোত্তমাদের উপরে অত্যাচারের শেষ নেই। একটি মেয়ে বাড়ি থেকে বেরনো থেকে বাড়ি ফেরা পর্যন্ত উদ্বেগে কাঁটা হয়ে থাকেন তার মা-বাবা। প্রতি ঘণ্টায় ফোন করে মেয়ের খবর নেন। এ এক দিনের কাহিনি, প্রতিদিনের কাহিনি।
১৪ অগাস্ট, স্বাধীনতার দিবসের মধ্যরাত এক নতুন ইতিহাসের জন্ম দিল। কোনও রাজনৈতিক দলের পতাকা ছাড়াই পথে নামলেন আট থেকে আশি। পুরুষ-মহিলা নির্বিশেষে। তিলোত্তমার জন্য বিচারের দাবিতে, তিলোত্তমাদের জন্য নিরাপত্তার দাবিতে গর্জে উঠল গোটা রাজ্য। সেই প্রতিবাদ অনুরণিত হল গোটা দেশে। ক্ষোভের বিস্ফোরণ বার্তা দিল শাসকদের। আর যেন কোনও তিলোত্তমার উপরে কোনও অত্যাচার না হয়। কোনও তিলোত্তমাকে যেন অকালে চলে যেতে না হয়। প্রতিটি তিলোত্তমা যেন সর্বত্র নিরাপদ বোধ করে।
এই প্রত্যাশাকে সামনে রেখেই টিভি নাইন বাংলার এ বারের নিউজ সিরিজ ‘বারুদ বুকে তিলোত্তমা’ ১৮ই আগস্ট, রাত ১০টায়।
২০২১-এর জানুয়ারি মাসে টিভি নাইন বাংলার আত্মপ্রকাশের দিন থেকে দর্শকদের প্রশংসাধন্য অনুষ্ঠান ‘নিউজ সিরিজ’ এ বার নতুন আঙ্গিকে, নতুন চেহারায়।
Be First to Comment