নিজস্ব প্রতিনিধি : কলকাতা, ১৮ মার্চ ২০২৩। রামানন্দ ঠাকুর এবং সবিতা ঠাকুর এর সুযোগ্য পুত্র সুজয় ঠাকুর। যার জন্ম সাহেব গঞ্জে পাহাড়ের কোলে ১৯৫৩ সালে ১৯ মার্চ মামার বাড়িতে। স্কুলে ভর্তি হওয়ার আগেই নাচের হাতে খড়ি সুজয় ঠাকুরের, মামার তত্ত্বাবধানে আই পি টি এর সন্মেলনে প্রথম তার মঞ্চে ওঠার সুযোগ সেই শুরু, চলছে আজও এই সত্তর বছর বয়সি এই যুবকের। তার পরবর্তী কালে কলকাতায় চলে আসা এবং ভর্তি হওয়া বৌবাজার হাইস্কুলে, ঠিকানা শিয়ালদহ।
সুরেন্দ্রনাথ কলেজ থেকে বাণিজ্য বিভাগে স্নাতক হন ১৯৭৪ সালে। সেই সময় তার সঙ্গী ছিল, সাঁতার, শরীরচর্চা, খেলাধুলা। এই শিল্পীর মধ্যে সুপ্ত প্রতিভা ছিল শুনে শুনে বাজাতে পারতেন ঢোল এবং তবলা। এরই মধ্যে তৈরি হলো ক্যালকাটা কয়ার, যার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন সুজয় ঠাকুর। সেখানে যুক্ত হলেন আজকের আরও এক কিংবদন্তি সঙ্গীত সাধক কল্যাণ সেন বরাট। এই ক্যালকাটা কয়ার এ যোগ দিলেন নৃত্য গুরু ড.শম্ভু ভট্টাচার্য্য। তার কাছেই সৃজনশীল নৃত্যের ছন্দে মেতে উঠলেন সুজয়। শাস্ত্রীয় নৃত্য ও জরুরি সেই কারণে এলেন আরো এক নৃত্যগুরু পিনাকী রায় এবং পরে যোগদান করলেন গুরু অনিতা মল্লিক। আজ থেকে চল্লিশ বছর আগে শুরু হয় সেই অসাধারন নৃত্য ভাবনা জন হেনরী, এই ক্যালকাটা কয়ার এর হাত ধরে। কত্থক নৃত্যের জন্য তালিম পেয়েছেন, গুরু প্রদীপ্ত নিয়োগী এর কাছে। এরপর শুরু হলো আরো এক মৌলিক যাত্রা যার নাম হলো শিঞ্জন আজ থেকে ৩৯ বছর আগে ।
সঙ্গে রইলেন আজকের দিনের স্বনামধন্য সৃজনশীল নৃত্যের সাধক কোহিনুর সেন বরাট। নৃত্য জীবনে জন হেনরীর পর, হাল্লা রাজা, প্রযোজনার নাম গুপী বাঘার কাণ্ড। সেই নিয়েই বিদেশ যাত্রা ২০০৫ সালে। ডাক পেলেন নিউইয়র্ক থেকে। সেখান থেকে ফিরে এসে ব্রেন এ অস্ত্রোপচার তাকে থামিয়ে রাখতে পারে নি আজও তিনি ছুটে চলেছেন, আর সেই উদযাপন ই হলো গত বুধবার ১৫ ই মার্চ কলকাতার মোহিত মৈত্র মঞ্চে। যাকে বলা যায় একেবারে সগৌরবে। উপস্থিত ছিলেন কলকাতা তথা বাংলার বহু স্বনামধন্য শিল্পীরা।
সকলেই আপ্লুত এই দিনের অনুষ্ঠান এ এসে।
বিশেষ আকর্ষণ ছিল ৪০ বছর আগের সুজয় ঠাকুর কে ফিরে দেখা আর সেই জন্য ক্যালকাটা কয়ার এর বৃন্দ গানের সাথে মঞ্চে উঠলেন সুজয় সমবেত কণ্ঠে ধ্বনিত হলো ” নাম তার ছিল জন হেনরী”
ছবি রাজেন বিশ্বাস।
Be First to Comment