বাবলু ভট্টাচার্য : প্রয়াত কবি-সাহিত্যিক শরৎ কুমার মুখোপাধ্যায়। হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে আজ মৃত্যু হয়েছে তাঁর। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।
গত শতাব্দীর পাঁচের দশকের যে কাব্য আন্দোলন, সেই আন্দোলনের পুরোভাগে ছিলেন শরৎ মুখোপাধ্যায়। শক্তি এবং সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সেই আন্দোলনকে কবিতায় রূপান্তরিত করেছিলেন তিনি।
‘যে চারজন যুবক মধ্যরাতে কলকাতা শাসন করতেন’– শরৎকুমার মুখোপাধ্যায় ছিলেন তাঁদের অন্যতম।
‘ত্রিশঙ্কু’ ছন্দনামে লিখতেন শরৎ। তাঁর কবিতাগুলির মধ্যে অন্যতম ‘টু গড’, ‘বিরাজমোহন’। স্ত্রী ও বিখ্যাত কবি বিজয়া মুখোপাধ্যায় আগেই প্রয়াত হয়েছেন।
কবিতায় নতুন ভাষার জন্ম দিয়েছিলেন শরৎ। পাল্টে ছিলেন বাংলা কবিতার ধরন ও উপস্থাপনা। তাঁর কবিতা থেকে পাওয়া যেত বিদ্রোহের আগুন।
কবি শরৎ কুমার ছিলেন কৃতি ছাত্র। গ্লাসগোতে লেখাপড়া করতে গিয়েছিলেন কবি। ছিলেন সফল চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্টও। তারপর একদিন সব ছেড়ে কবিতা- সাহিত্যকেই পাথেয় করে এগিয়ে নিয়ে যান। কাব্য রচনার মহাসাগরে ডুব দেন কবি।
কৃত্তিবাস পত্রিকার সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন ভীষণরকম। ছিলেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ও শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের দারুণ বন্ধু। এছাড়াও বুদ্ধদেব গুহ, দিব্যেন্দু পালিতের সখা ছিলেন শরৎ।
তাঁর উল্লেখযোগ্য উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে ‘আশ্রয়’, ‘কথা ছিল’ বা ‘নাশপাতির গন্ধ’। পাশাপাশি ছোটগল্পও লিখেছেন শরৎকুমার।
২০০৯ সালে ‘ঘুমের বড়ির মতো চাঁদ’ কাব্যগ্রন্থের জন্য তিনি সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কার পেয়েছিলেন।
Be First to Comment