Press "Enter" to skip to content

নানান রোগ থেকে মুক্তি পেতে “আতা” ফলের জুড়ি মেলা ভার…..।

Spread the love

মধুমিতা শাস্ত্রী, ১৬ অক্টোবর, ২০২০ঃ আমাদের সকলের অত্যন্ত পরিচিত একটি ফল আতা। বেশির ভাগ মানুষই খুব একটা কদর করে না ফলটির। কিন্তু এর উপকারীতা জানলে এই ফলটিকে আপনারা নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখবেন সে বিষয়ে আমি নিশ্চিত।
আতা, শরিফা, নোনা এই তিনটি নামে ফলটিকে ডাকা হয়। অঞ্চলভেদে নামের কিছু পার্থক্য আছে। আতার আদি নিবাস ভারত।

ভারত ও বাংলাদেশে বসত বাড়ির আঙিনায় ও বনে জঙ্গলে এ ফলের গাছ জন্মে থাকে। এছাড়া থাইল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হয়ে থাকে। আতা বৃক্ষ জাতীয় উদ্ভিদ। গাছটি খুব বড় হয় না, ৩-৫ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। আতা একটি গুচ্ছিত ফল। একটা ফলের মধ্যে অসংখ্য কোষ এবং প্রতিটি কোষে একটি করে বীজ থাকে। এই বীজকে ঘিরে থাকে নরম ও রসালো অংশ, আর এটিই আমরা খেয়ে থাকি।

এই ফলের উপকারীতা জেনে নেওয়া যাক।
১. আতায় আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে। দুরারোগ্য ব্যাধির সঙ্গে আমাদের লড়াই করতে সাহায্য করে।
২. এতে উপস্থিত ম্যাগনেসিয়াম মাংস পেশীর জড়তা দূর করে।
৩. আতায় থাকা ফসফরাস হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।


৪. এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। শরীরে হাড়ের গঠন মজবুত রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম সরাবরাহ করতে সক্ষম।
৫. দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
৬. চুল ও ত্বকের যত্নে আতা ফল দারুণ কাজ করে। ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখে।
৭. আতাতে থাকা ম্যাগনেশিয়াম হৃদরোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
৮. ওজন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। আতা ও মধু একসাথে মিশিয়ে খেলে পাওয়া যায় স্বাস্থ্যকর ক্যালোরি।


৯. আতাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি সিক্স আছে। যা শ্বাসনালীর প্রদাহ কমাতে ও শ্বাসকষ্টের প্রকোপ কমাতে সাহায্য করে।
১০. ডায়েবিটিস রোগীদের জন্য উপকারী। এতে থাকা উচ্চ মাত্রার আঁশ রক্তেের চিনি শোষনের গতি শ্লথ করে দেয় এবং টাইপ টু ডায়েবিটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
১১. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। এতে থাকা পর্যাপ্ত পরিমাণ পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম রক্তচাপকে সঠিক মাপকাঠিতে রাখতে সাহায্য করে।

More from GeneralMore posts in General »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Mission News Theme by Compete Themes.