নিজস্ব প্রতিনিধি : কলকাতা, ১২ জানুয়ারি, ২০২৩। সৃষ্টি সৃজন পরিবারের বার্ষিক নৃত্য উদযাপন। উপস্থিত ছিলেন সঙ্গীত সাধক শ্রী কল্যাণ সেন বরাট, সুজয় ঠাকুর, পরিবারের অভিভাবক মঞ্জুষা ঠাকুর, সুব্রত ঠাকুর, এবং নৃত্য প্রশিক্ষক সুতর্সা ঠাকুর। সঞ্চালনায় ছিলেন অরিত্র মুখার্জি এবং সম্মান দাস। আগরপাড়া বিবেকানন্দ প্রেক্ষাগৃহ রঙিন হয়ে উঠলো শীতের সন্ধ্যা।
অনুষ্ঠান শুরু হয় বিকেল পাঁচটায় বৈদিক মন্ত্রের সঙ্গে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের সঙ্গে গুরু শ্রী শম্ভু ভট্টাচার্য গুরু পিনাকী রায় তাদের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করেন এবং পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শুরু হয় পথচলা এরপর একে একে প্রতিটি উপস্থাপনায় দর্শকের মন ছুঁয়ে যায় সেখানে যেমন ছিল প্রথম মঞ্চে ওঠা শিশু তেমনি ছিল মায়েদের উপস্থাপনা, যারা একই সঙ্গে ঘরে এবং বাইরে দুটোকেই সমানভাবে সব্যসাচীর মতোন উদযাপন করতে জানেন।
এদিনের এই উৎসবে সুরকার কল্যান সেন বরাট অনুষ্ঠানের উদ্বোধক হয়ে বলেন যে সুস্থ সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া আমাদেরই কাজ সমাজের অবক্ষয়ের মধ্যে সবথেকে বেশি সংস্কৃতিরই গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে এই সমাজকে ধরে রাখার পিছনে এবং একজন শিশু পূর্ণাঙ্গ মানুষ তৈরি হন তার বাবা-মায়ের শিক্ষায় এবং আনুগত্যতায় ।
তিনি আরো বলেন একজন শিল্পী হয়ে নতুন প্রজন্মের শিল্পীরা যখন ভাল কাজ করে সেটা দেখতে তার আনন্দ হয় এবং গর্বে বুক ভরে ওঠে।
বহু স্বনামধন্য নৃত্যশিল্পী এদিন উপস্থিত ছিলেন এই মঞ্চে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য শ্রী দ্রাবিণ চট্টোপাধ্যায় তিনি তার স্বমহিমায় উপস্থাপন করেন কৃষ্ণ প্রেমের এক অনন্য সৃজনশীল নৃত্য ভাবনা এবং অনুষ্ঠানের শেষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি স্মৃতিরোমন্থন করে বলেন মঞ্চ তার ভালবাসা মঞ্চ তার আবেগের জায়গা মঞ্চ তার প্রথম প্রেম। উপস্থিত ছিলেন রুবেনা চট্টোপাধ্যায়, সংগীত শিল্পী জয়শ্রী দাস, রামকৃষ্ণ মিশনের শ্যামল মহারাজ সহ বিশিষ্টজন।
নৃত্য জগতের তিন কন্যা , মধুশ্রী ঘোষাল, দেবশ্রী চক্রবর্তী এবং প্রিয়াঙ্কা ঘোষ তারাও উপস্থিত ছিলেন এ দিনের অনুষ্ঠানে। তাদের উপস্থাপনার বিষয় ছিল গুরু শম্ভু ভট্টাচার্যের সৃজনশীল নৃত্যের আঙ্গিকে এক অনবদ্য পরিবেশনা। যুগে যুগে কালে কালে গুরু শম্ভু ভট্টাচার্যের নৃত্য ভাবনা গুরু কহিনূর সেন বরাট হয়ে যেভাবে তাদের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে প্রতিফলিত হচ্ছে অনুষ্ঠান মঞ্চের সন্ধেছিল তারই এক উজ্জ্বল নিদর্শন।
এদিনের সন্ধ্যায় বিশেষ আকর্ষণ ছিল কৃষ্ণা মহাভারত অবলম্বনে একটি একাহারীর নৃত্যনাট্য এবং এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলেন দূর্বারের শিল্পীরা।
সৃষ্টি সৃজনের প্রত্যেকটি শিল্পী নিজেদের মঞ্চে দক্ষতার সঙ্গে মেলে ধরার চেষ্টা করেছে এদিন এবং সেই কারণেই এই অনুষ্ঠান সর্বাঙ্গীণ সুন্দর ও সাফল্যমন্ডিত হয়ে উঠেছিল। এদিনের অনুষ্ঠান ছিল সৃষ্টি সৃজনের পঞ্চম বার্ষিক মিলন উৎসব। এক কথায় বলা যেতে পারে একটি অসাধারণ অনুষ্ঠানের সাক্ষী থাকলো উপস্থিত দর্শকবৃন্দ।
Be First to Comment