বিশেষ প্রতিনিধি : নাইরোবি, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২২। অনন্যা পাল, প্রতি বছর চেষ্টা করেন নিজের মত করে তাঁর টিম নিয়ে নাইরোবিতে সাংস্কৃতিক ভাবে শারদীয়া উৎসব পালন করতে, যেখানে অংশগ্রহনকারীরা সর্বভারতীয়। এবারের উৎসব বিশেষ মাত্রা পেয়েছে ইউনেস্কো দুর্গাপূজাকে তালিকাভুক্ত করার ফলে। এই বছর অনন্যা একটি নৃত্যনাট্য ‘দ্য ইথারাল সাগা’ প্রস্তুত করেছেন যার কাহিনী কবি জয়দেব ও পদ্মাবতীর প্রেমগাথা ও গীতগোবিন্দ রচনার প্রেক্ষাপটে লেখা হয়েছে। অনষ্ঠানটি মঞ্চস্থ হবে আগামী ১৬ই সেপ্টেম্বর মুথাইগা কান্ট্রি ক্লাবে।
এই ক্লাবটি নাইরোবির সবচেয়ে অভিজাত ক্লাব, যেখানে দর্শকও পুরোপুরি আন্তর্জাতিক। অনুষ্ঠানের কলা কুশলীরাও বহুজাতিক। এই নৃত্যনাট্যটির রচনা ও পরিচালনায় অনন্যা পাল, সুরকার ও গায়ক আশীষ চক্রবর্তী, শ্রেষ্ঠাংশে কৃষ্ণ কিসলে ও সুষমা রেড্ডী। ভাষ্যপাঠে জেমস মুহিয়া (কেনিয়া) ও জননী রাজসেকরন (শ্রীলঙ্কা)। এছাড়া, ‘আগমনী – দ্য ডিভাইন অ্যারাইভাল’ নামের একটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠান ও তৈরি করেছেন অনন্যা, যেটি মহালয়ার সময় প্রচারিত হবে তাঁর নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল থেকে।
কিছু দিন আগে নিজের সৃষ্টি পুষ্পকেতু গোয়েন্দা চরিত্রের অবয়বের আনুষ্ঠানিক প্রকাশ করতে কলকাতায় এসেছিলেন। অভিনেতা রোহন ভট্টাচার্যকে ওই চরিত্রের জন্য ভাবা হয়েছে। কাজ করেছেন বীরভূমের বহুরূপী শিল্পীদের নিয়েও। মনসাকথা এর মাধ্যমে সমাজে নারীদের মর্যাদার কথা তুলে ধরেন। দেশের থেকে দূরে থেকেও নিজের সংস্কৃতি, ভাষার প্রতি টান এবং দায়িত্ববোধ থেকে একের পর এক এমন কাজ করে চলছেন অনন্যা পাল। অনন্যা পাল বললেন,” নাইরোবিতে নিজের সংস্কৃতির উদযাপন করতে পেরে ভালো লাগছে। এইবার দুর্গা পুজো ইউনেস্কোর হেরিটেজ সম্মান পাওয়ায় খুবই গর্ব হচ্ছে। আমরা অন্য দেশে থাকলেও নিজেদের মাটিকে অনুভব করি।”
Be First to Comment