শম্পা দেবনাথ : ভাগলপুর, ২৯ জুলাই ২০২৫। নয় মাসের প্রেগন্যান্ট হরিকা দ্রোণাভাল্লীর থেকে বড় ইনস্পিরেশন এই মুহূর্তে মনে পড়ছে না। প্রেগনেন্সি লাস্ট মুহূর্তে এসে অলিম্পিয়াডের মতো হাই প্রেসার একটা টুর্নামেন্টে একের পর এক সাতখানা গেম যেভাবে খেলে গেল তা প্রশংসার দাবি রাখে। প্রেগনেন্সিতে এমনিতেই মুড সুইং হওয়া স্বাভাবিক ব্যাপার। আর দাবা খেলা তো ঠান্ডা মাথার কাজ। মাথা ঠান্ডা ছিল বলেই সে একটাও খেলাতে হারেনি, আর আমাদের দেশের জন্য একটি ব্রোঞ্জ মেডেল নিয়ে এসেছে। আসল কথা হল যোগ্যতাবানেরা কোনো অজুহাত না দিয়ে যে কোনো অবস্থায় এগিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা রাখে। সেই কারণেই এই নাছোড় মানসিকতা তাদের সাফল্য এনে দেয়। দাবা অলিম্পিয়াডে ভারতবর্ষের প্রথম মেডেল এলো তার দলের হাত ধরে। সব থেকে কম বয়সের গ্র্যান্ড মাস্টার ডি গুকেশের সাফল্যের ছবি ভিডিও খবর সবকিছুই কাগজে কিংবা মোবাইলে আমরা বারবার দেখেছি, আমরা বিশ্বনাথন আনন্দকে জানি। মেয়েদের সাফল্যের খবরগুলো প্রচার না হলে তাই আজ কাল আর অবাক হই না! তবে একটা খারাপ লাগাতো থেকেই যায়।
xx ক্রোমোজোম না হয়ে xy ক্রোমোজোম হলে এই পোড়া দেশে কমপক্ষে সম্মান একটু বেশি পরিমাণে পাওয়া যেত। এই সব লেখার জন্য এখুনি আবার মানুষেরা রে রে করে উঠবে… যে ছেলে মেয়ের সেই পুরনো কালের একঘেয়ে বস্তা পচা জেন্ডার ইকুয়ালিটি নিয়ে আবার বলতে শুরু করেছে। যতোই যাই বলো, স্বীকার করো… না করো, নিজেদের মনে প্রত্যেকে জানো যে ছেলেরা এই দেশে নাম ,যশ, খ্যাতি সবকিছু বেশি পায়।












Be First to Comment