মৃদুলা ঘোষ : বর্ধমান, ১৭ এপ্রিল ২০২৩। মীরজাফর যুদ্ধ না করে কাঠের পুতুলের মতো দাঁড়িয়ে রইলো!!! এমনি তো ইতিহাসে লেখা আছে? বাংলা বাগধারা য় কাঠের পুতুল কথাটি নির্বাক অর্থে ব্যবহৃত হলেও, পূর্ব বর্ধমানের নতুন গ্রামের প্রায় পঞ্চাশ ঘর কাঠ শিল্পী’র তৈরি কাঠের পুতুল সেই সত্যি কে দূরে রেখেছে।
বাংলা নতুন বছরের প্রথম রবিবার অর্থাৎ ১৬ এপ্রিল চরম তাপমাত্রা কে সঙ্গী করে আমরা ঘুরে এলাম নতুন গ্রাম কাঠ পুতুলের মেলা।
রঙের বৈভব, শিল্পী’র নজরকাড়া নকশা কে হাতিয়ার করে বাংলা লোকসংস্কৃতি ও পুরান একত্রিত হয়ে কাঠের পুতুল এক বিশিষ্ট মাত্রা সংযোজন করেছে পশ্চিমবঙ্গ ক্ষুদ্র মাঝারি শিল্পের আঙিনায়। বাংলা নাটক ডট কম এর উদ্যোগে এবং কাঠ শিল্পী দিলীপ সূত্রধরের প্রচেষ্টায় আয়োজিত দুই দিনের এই কাঠ পুতুলের মেলায় বিশেষ আকর্ষণ ছিল পুরুলিয়ার ছৌ নাচ , রায়বেশের নাচ।
কাঠের পুতুলের মেলার সাথে আমাদের উপরি পাওনা ছিল পাশেই অবস্হিত জানকিনাথ কাঠিয়া বাবার আশ্রম এ কিছু সময় কাটানোর সুযোগ। তার শান্ত নির্জন পরিবেশ গরমের কষ্ট কে কিছু সময় দূরে রেখেছিল।
বিশেষ সূত্রে কাঠ পুতুল এর মেলার খবর পেয়ে পৌঁছে গিয়েছিলাম নতুন গ্রাম মেলা প্রাঙ্গণ। শিল্পীদের ঘর গেরস্থালি’র ও কাঠের কাজ কিভাবে একসাথে চলছে, তাদের পাওয়া না পাওয়া র কাহিনী শুনতে শুনতে মনে আসছিল, ‘আনন্দ’ সিনেমায় রাজেশ খান্নার সেই কথা..”বাবুমশাই, হাম সব তো রঙ্গমঞ্চ কি কাঠ পুতলিয়া হ্যায়, জিনকি ডোর উপরওয়ালা কি উংলিও মে বাঁধি হ্যায়”…..
ছবি- প্রীতিরঞ্জন কর্মকার।
Be First to Comment