Press "Enter" to skip to content

দ্বিজেন্দ্রনাথ সমাজের আচার-নিষ্ঠা পালনের প্রতি বিশেষ মনোযোগী ছিলেন। তিনি কাব্যপ্রেমী, অনুসন্ধিৎসু, জ্ঞান- তাপস ও নিরীক্ষাপ্রিয় ছিলেন….।

Spread the love

জন্মদিনে স্মরণঃ দ্বি জে ন্দ্র না থ ঠা কু র

বাবলু ভট্টাচার্য : বাংলায় সংকেত লিপি বা শর্টহ্যান্ড ও স্বরলিপি রচনার অগ্রপথিক ছিলেন তিনি। ধ্রুপদী সংস্কৃত ভাষায় রচিত কালীদাসের মেঘদূতমের বাংলা রচনা তার অন্যতম সাহিত্যকীর্তি। সম্পর্কে তিনি ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বড় দাদা। তিনি দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর।

পারিবারিক প্রথা অনুযায়ী গৃহশিক্ষকের কাছেই তার বাল্য- শিক্ষা শুরু হয়। পরে তিনি কলকাতার সেন্ট পল স্কুল ও হিন্দু কলেজে পড়াশোনা করেন।

দ্বিজেন্দ্রনাথ সমাজের আচার-নিষ্ঠা পালনের প্রতি বিশেষ মনোযোগী ছিলেন। তিনি কাব্যপ্রেমী, অনুসন্ধিৎসু, জ্ঞান- তাপস ও নিরীক্ষাপ্রিয় ছিলেন।

১৮৬০ সালে বাংলা ভাষাকে বিশ্বমর্যাদায় অধিষ্ঠিতকারী কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মের এক বছর আগে তিনি ‘মেঘদূত’ অনুবাদ করেন। তখন তার বয়স মাত্র ২০ বছর। এখানে দ্বিজেন্দ্রনাথ দু’টি ভিন্ন ভাষাশৈলী ব্যবহার করেন।

তার আরেকটি উল্লেখযোগ্য কাব্য ‘স্বপ্নপ্রয়াণ’ কাব্যে তিনি ছন্দ প্রয়োগে আশ্চর্য দক্ষতা দেখিয়েছেন। গীতার প্রতি বিশেষ আগ্রহী দ্বিজেন্দ্রনাথ ছিলেন প্রকৃতই একজন দার্শনিক। তিনি ন্যাশনাল সোসাইটি ও বিদ্বজ্জন সমাজ নামে দুটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন।

১৮৮৪ সাল থেকে দীর্ঘ ২৫ বছর তিনি তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। বাংলা ভাষায় অনন্য অবদানের জন্য তিনি বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন।

স্বরলিপি ও শর্টহ্যান্ড রচনা ছাড়াও তিনি বাঙ্রে গঠন বিষয়ে ‘বাঙ্মিতি’ নামে একটি বই লেখেন। কাগজে মুড়ে নানা রকম আকৃতি দেওয়াও ছিল তার শখ। সে সময়ের জনপ্রিয় হিন্দু মেলার প্রতি তার বিশেষ আগ্রহ ছিল, তিনি এটা নিয়ে গানও রচনা করেন। শেষ জীবন দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর শান্তিনিকেতনে প্রকৃতির সান্নিধ্যে কাটিয়েছেন।

রবীন্দ্রনাথ তাকে বড়দা বলতেন আর গান্ধীজী তার সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেছেন, তিনি একেবারে সন্ন্যাসীর জীবন যাপন করেছেন।

১৯২৬ সালে দ্বিজেন্দ্রনাথ দেহত্যাগ করেন।

দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৪০ সালের আজকের দিনে (১১ মার্চ) জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন।

More from BooksMore posts in Books »
More from EducationMore posts in Education »
More from Writer/ LiteratureMore posts in Writer/ Literature »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *