সমীর দাস : কলকাতা, ২০ আগস্ট, ২০২৩।। একশো শতাংশ বাণিজ্যিক ছবি হওয়া সত্ত্বেও ছবির কাহিনী,উপস্থাপনা ও নবাগত নায়ক-নায়িকার অভিনয় দক্ষতায় একটা আসাধারণ উন্মাদনা তৈরি হয়েছে এই ‘দিশাহীন মন আমার ‘ ছবিকে কেন্দ্র করে। গত শুক্রবার ১৮ আগস্ট নিউটাউনের ‘নজরুল তীর্থ’, কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন সিনেমাহলে মুক্তি পেয়েছে বহু আকাঙ্খিত ‘দিশাহীন মন আমার ‘। ‘নটরাজ প্রোডাকশন ক্রিয়েশন’এর ব্যানারে অভিজ্ঞান ভট্টাচার্যের প্রযোজনায় ছবিটির পরিচালনা করেছেন জয়দেব মন্ডল। ছবিটির সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্ব ছিলেন হিন্দি সিনেমার বিনোদ রাঠোর।
একগুচ্ছ নবাগত চরিত্রের সঙ্গে পরিচয় হয়েছে বাঙালি সিনেমাপ্রেমী দর্শকের। নবাগত জুটি রোহান ও ব্রততী। অন্যান্য চরিত্রে আছে পার্থসারথি চক্রবর্তী, দেবাশিস গাঙ্গুলি, অভীক ভট্টাচার্য প্রমুখ। আছে শিশুশিল্পী ইউহান খান,অঙ্গীরা ভট্টাচার্য ও লাড্ডু।
‘দিশাহীন মন’ কাহিনী প্রধান। দুই শিশু অভি ও অমৃতার শৈশবের পারস্পরিক ভালোবাসা,পরে সাময়িক বিচ্ছেদ আবার কলেজ জীবনে দু’জনের দেখা। তারপর? এখানেই আছে কাহিনীর চূড়ান্ত ক্লাইমেক্স!
শিশুকালের এক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় অভির বাবা ও মায়ের। তখন মাউথ অর্গান বাজিয়েই চলে অভির জীবিকা। তখনই পরিচয় হয় শিশু অমৃতার সাথে। এই দুজনের পারস্পরিক সম্পর্ক নিবিড় হয় যখন শুরু করে, তখনই পড়াশুনার জন্য দূরে চলে যেতে হয় অমৃতাকে। একটা বিরাট বিচ্ছেদ। তারপর প্রায় একযুগ পরে অনেকটা নাটকীয়ভাবেই ওদের দুজনের আবার দেখা হয় একই কলেজে। দুজনেই সেখানে পড়তে যায়। আর এর মধ্যেই ওই কলেজের ওপর ছাত্র স্থানীয় এমএলএর ছেলে সন্দীপ এসে উপস্থিত হয় খলনায়ক হিসাবে। কাহিনী চূড়ান্ত ক্লাইমেক্সে ওঠে।
এমন একটি নাটকীয় কাহিনীর মোড়কে প্রেমের ছবি ‘দিশাহীন মন আমার ‘ এখন সিনেমা অনুরাগীদের মন কেড়ে নিয়েছে। শৈশবের প্রেম, বিচ্ছেদ, আবার মিলন আর ফাইট ও মধ্যে প্রচুর হাস্যরস মিলিয়ে নতুন ছবি ‘দিশাহীন মন আমার ‘।
নিউটাউনে ‘নজরুল তীর্থ’ পেক্ষাগৃহে প্রথম শো এ ছিল চাঁদের হাট। উপস্থিত ছিলেন এমডি – ফরহাদ, পরিচালক অভিজিৎ সিনহা (রনি) ।
বিশেষ অতিথির আসন অলঙ্কৃত করেন অভিনেতা দেবাশীষ গাঙ্গুলী, অভিক ভট্টাচার্য ও হিমাদ্রি দাস। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন প্রচার সচিব সমীর দাস, স্বর্ণাভ বিশ্বাস ও সুস্মিতা দাস।
Be First to Comment