Press "Enter" to skip to content

দার্জিলিং এ ‘ট্যাক্স এডভোকেট এসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল’ এর ১৭ তম বার্ষিকী সভা….. 

Spread the love

সম্প্রীতি মোল্লা : দার্জিলিং, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২২। সম্প্রতি উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং এর ঐতিহাসিক জিমখানা ক্লাব ও ভানুভবন প্রেক্ষাগৃহে ‘ট্যাক্স এডভোকেট এসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল’ এর ১৭তম প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি  শ্রীমতি ইন্দিরা ব্যানার্জি। বিশেষ অতিথিদ্বয় ছিলেন জিএসটির দুই উচ্চ আধিকারিক যথাক্রমে শ্রী সুপ্রিয় বসু ও শ্রী জ্ঞানেন্দ্র কালিকুটি। এছাড়া মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সংস্থার দুই কর্ণধার সভাপতি আইনজীবি শ্রী সজ্জন কুমার  তুলসীয়ান, সম্পাদক আইনজীবি শ্রী সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায় এবং সেমিনার আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট রাজু প্রধান। তাদের উপস্থিতিতে ও বক্তব্যে ভানুভবনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি বর্ণময় হয়ে ওঠে। পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন অ্যাডভোকেট শ্রী সুমিত গুপ্ত। স্বাগত ভাষণ দেন সভাপতি শ্রী সজ্জন কুমার তুলসীয়ান। সংস্থার যে সকল সদস্য প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছেন তাদের ভূয়সী প্রশংসাও করেন। সম্পাদক শ্রী সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায় জানান – ‘TAAB এর সদস্য সংখ্যা প্রায় ১২০০ এবং সংগঠন ১৬ বৎসর অতিক্রান্ত করে ১৭ বৎসর পদার্পণ করল’।  তার  সারবত্তা তুলে ধরেন তিনি। তিনি মনে করিয়ে দেন TAAB একটি পরিবার এবং প্রতি সদস্যের সমান অধিকার রয়েছে এই সংস্থায়। প্রধান অতিথি বিচারপতি শ্রীমতি ইন্দিরা ব্যানার্জির বক্তব্যে ঘুরে ফিরে অ্যাডভোকেটদের দ্বায়িত্ব ও কর্তব্যের কথা মনে করিয়ে দেন । তাদের কাজে একাধারে যেমন মক্কেলের স্বার্থ সুরক্ষিত থাকবে অন্য দিকে তেমনি রাষ্ট্রের রাজস্বর দিকেও তাদেরকে খেয়াল রাখতে হবে। তিনি সুপ্রিম কোর্টের তৃতীয় মহিলা বিচারপতি।

স্বাধীনতার এত বৎসর পরেও মহিলাদের যথাযথ মূল্যায়ন হয়নি । এহেন অবস্থানের জন্য তিনি উষ্মা প্রকাশ করতে ছাড়েননি । পরিশেষে সকলকে তিনি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন । এদিন দুই বিশিষ্ট আইনজীবি শ্রী অজয় কুমার পাল ও শ্রী মিহিরকুমার ব্যানার্জিকে তাদের “ট্যাব সম্মান “ সম্মানে সম্মানিত করা হয়। শ্রী অজয় পাল তিনি কবিগুরুর সেই অমোঘ বাণী শোনান “এই নামে খ্যাত হোক আমি তোমাদেরই  লোক”। শ্রী মিহির কুমার ব্যানার্জির প্রতিক্রিয়াতে বোঝা গেল তার পুনর্মিলন ঘটেছে দীর্ঘদিন পর এই অনুষ্ঠানে পুরনো বন্ধুদের খুঁজে পেয়েছেন।  প্রতি বৎসরের ন্যায় এবারও সদস্যদের সন্তান  ওকালতির প্রবেশিকা (২০২১-২২) প্রাপ্তদের কে স্মারক ও বই দিয়ে অভিনন্দন জানানো হয়। সেগুলি অতিথিবর্গের  হাত থেকে গ্রহণ করেন তারা। কনভেনার শ্রী রাজু প্রধান বাংলা ইংরেজি  হিন্দি ও নেপালি ভাষায় সকলকে ধন্যবাদ জানান। এর পরে শুরু হয় সেমিনার । সেমিনারের প্রথম পর্বে ছিল প্রত্যক্ষ কর। মডারেটর শ্রী এস কে তুলসীয়ান, সি.আই. টি. নিউ দিল্লী শ্রীমতি অরুন্ধতী মুখার্জি বিভিন্ন পেনাল্টি প্রভিসন নিয়ে দীর্ঘ আলোকপাত করেন। দ্বিতীয় পর্বে  বা শেষ পর্বে মডারেটর শ্রী কল্যান সাহা, সিনিয়র জয়েন্ট কমিশনার শ্রী রাজীব শঙ্কর সেনগুপ্ত ও প্রখ্যাত চার্টার  একাউন্টেন্ট  শ্রী অরুপ কুমার দাশগুপ্ত পরোক্ষ করের উপর নাতিদীর্ঘ আলোচনা করেন যা সকলের মন কেড়ে নেয়। সুব্রত রায়ের ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মাধ্যমে সেমিনার পর্বের পরিসমাপ্তি ঘটে। দুইদিন ব্যাপী এই অনুষ্ঠানে প্রায়  তিন শতাধিক ডেলিগেট অংশগ্রহণ করেন।

More from CultureMore posts in Culture »
More from EducationMore posts in Education »
More from InternationalMore posts in International »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Mission News Theme by Compete Themes.