গোপাল দেবনাথ – অটিজম বা অটিজম স্পেট্রাম ডিসর্ডার(ASD) একটি জটিল সমস্যা। মানুষ শৈশবেই এই অসুবিধার সম্মুখীন হয়। এর মূলে আছে মস্তিস্ক ও স্নায়ুতন্ত্রের কিছু অস্বাভাবিকতা। এর ফলে রোগীর ব্যবহারগত বিভিন্ন মানসিক ও আচরণগত সমস্যা দেখা যায়। বিভিন্ন প্রকারের অটিজম আছে। এদের মধ্যে মূল পাঁচটির প্রকোপ বেশি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ৫৯জন বাচ্চার মধ্যে ১জন অটিজম এর শিকার। আমাদের দেশেও এই সমস্যায় আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশি। এই সমস্যা থাকলে অমনোযোগ, সাড়া না দেওয়া, কথা না বলা সহ নানা রকম অস্বাভাবিক সামাজিক আচরণ করতে দেখা যায়। সাধারণ চিকিৎসায় বিভিন্ন থেরাপি ও বিশেষ পদ্ধতিতে পড়াশোনার সাহায্যে এই সব সমস্যা কিছুটা কমানো যায় মাত্র। কিন্তু নতুন চিকিৎসা পদ্ধতিতে অটিস্টিক শিশু আবার সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারে। অটিজম কেন হয়! এই প্রেক্ষিতে অটিজমের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ প্রণব মল্লিক কলকাতা প্রেসক্লাবের এই সাংবাদিক সম্মেলনে অটিজম চিকিৎসায় তার অভূতপূর্ব সাফল্যের কথা তুলে ধরলেন উপস্থিত সাংবাদিক ও অটিজমে আক্রান্ত শিশু ও পরিবারের সদস্যদের সামনে। ডাঃ মল্লিক স্বীকৃত হোমিওপ্যাথি ওষুধ ব্যবহার করছেন। তাঁর এই ওষুধ ও চিকিৎসা পরীক্ষিত প্রমাণিত বিজ্ঞানসম্মত। ডাঃ মল্লিকের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে বহু বাচ্চা আবার স্বাভাবিক জীবনের পথে এগিয়ে যেতে পারছে। এই সাফল্যের অংশীদার হয়ে বাবা মায়ের মুখে হাসি ফুটেছে। ডাক্তারবাবু স্বীকার করে নিলেন যে, তার এই চিকিৎসায় এখনও ১০০% সাফল্য অর্জন করতে পারেনি। কিছু ব্যর্থতা থাকলেও আগামীদিনে সাফল্যের হার আরও বাড়বে বলে আশাবাদী। তবে এই চিকিৎসার সাথে সাথে পরিবারের লোকজন সহ সমাজের সকলের পাশে থেকে সহযোগিতার প্রয়োজন। হোমিওপ্যাথি একটি মূল ধারার বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসা পদ্ধতি। কোহলার সূত্র মেনে হোমিওপ্যাথি ওষুধের প্রতিটি ফোটায় মূল ওষুধের আইসোটোপ থাকে। অটিজমের এই নতুন চিকিৎসায় রোগের ধরণ রোগীর ব্যবহারিক অসঙ্গতি, শারীরিক উপসর্গ অনুযায়ী মাল্টিপল ড্রাগ থেরাপির প্রয়োগ করা হয়। এই ধরণের বাচ্চাদের প্রায়ই ইউরিনারি ট্রাক্ট ইনফেকশন, শ্বাসনালীর অসুখ ও পেটের গোলমালের শিকার হতে হয়। এই সব সমস্যার চিকিৎসাও একই সঙ্গে করা হয়। ডাঃ প্রণব মল্লিক তাই বলেন ভাগ্য কে দোষারোপ না করে সঠিক চিকিৎসার সাহায্যে শিশুকে সুস্থ ভবিষ্যৎ উপহার দিন। আজকের শিশু কালকে দেশের ভবিষ্যৎ। পশ্চিমবঙ্গের নানা জেলা সহ ভারত বর্ষের বিভিন্ন রাজ্য থেকে অটিজমে আক্রান্ত ১৩ জন শিশু ও তাদের বাবা ও মা এই সাংবাদিক সম্মেলনে যোগদান করে শিশুদের সুস্থতার কথা বর্ণনা করেন, আবার কয়েকজন শিশু সকলের সামনে গান গেয়ে ওঠে। ডাক্তারবাবুর প্রতি তাদের কৃতজ্ঞতার কথা বারংবার স্মরণ করেন এবং বলেন ভারত বর্ষের বহু নামী হাসপাতাল যে পরিষেবা দিতে পারেনি আমাদের এই ডাক্তারবাবু সেটা করে দেখিয়ে দিলেন। ডাঃ সাম্য সেনগুপ্ত অটিজমের চিকিৎসা সম্পর্কে নানা তথ্য সহ মূল্যবান বক্তব্য রাখেন।
ডাঃ প্রণব মল্লিকের বিজ্ঞান সম্মত হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় শিশুদের অটিজম দূর করা সম্ভব
More from GeneralMore posts in General »
- ৩২ তম বর্ষে পদার্পণ করল শ্রী শ্রী শান্তি হরিচাঁদ মন্দিরের বাৎসরিক উৎসব…।
- Navigating End-Stage Kidney Failure: Choosing Between Dialysis and Transplant for a Better Life….
- ‘রঙ দাও হে রঙিলা’ সঙ্গীত ভিডিওর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন…।
- চেন্নাইয়ের বিশ্বখ্যাত লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট হাসপাতাল, রেলা হাসপাতাল, কলকাতায় তাদের প্রথম লিভার রান সফলভাবে আয়োজন করেছে, যার লক্ষ্য লিভারের অসুখ, অঙ্গদানের গুরুত্ব এবং লিভার প্রতিস্থাপনের পর জীবনযাত্রার মান সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা….।
- প্রেস রিলিজ লিভারের অসুখ সারাতে ১০০০ জনেরও বেশি লিভার রোগী, পরিবার এবং জনসাধারণ দৌড়লেন এই লিভার রানে ১৫০ জনেরও বেশি লিভার রোগী এবং তাঁদের পরিবার অংশগ্রহণ করেন। এই লিভার রান আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন রেলা হাসপাতালের সিইও ডাঃ ইলানকুমারন কালিয়ামূর্তি, যিনি এই গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগে তাঁর সহায়তা দান করেন। এই যুগান্তকারী অনুষ্ঠানের লক্ষ্য হল লিভার রোগী, তাঁদের পরিবার এবং জনসাধারণকে একসাথে এনে চিকিৎসা তহবিল সংগ্রহ এবং লিভারের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। এই লিভার রানে ২.৫ কিমি, ৫ কিমি এবং ১০ কিমি, এই তিনটি বিভাগে অংশ ছিল, যেগুলিতে সবধরনের ফিটনেস স্তরের অংশগ্রহণকারীরা অংশগ্রহণ করেছিলেন। ২.৫ কিলোমিটার বিভাগটি মূলত হাসপাতালের লিভার রোগীদের জন্য, যা তাঁদের প্রচুর সহ্যশক্তি, শুরুতেই দ্রুত শনাক্তকরণ এবং চিকিৎসার গুরুত্ব তুলে ধরার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম প্রদান করে। ৫ কিমি এবং ১০ কিমি বিভাগগুলি সাধারণ জনগণের জন্য, যা সমাজের সকল স্তরের মানুষকে এই মহৎ উদ্দেশ্যে সমর্থন জানাতে একসাথে হতে উৎসাহ দেয়। এই অনুষ্ঠান সম্পর্কে বলতে গিয়ে, রেলা হাসপাতালের সিইও ডাঃ ইলানকুমারন কালিয়ামূর্তি বলেন, “কলকাতায় আমাদের প্রথম লিভার রান শুরু করতে পেরে আমরা অত্যন্ত গর্ববোধ করছি। এই অনুষ্ঠানটি আমাদের লিভার রোগী, তাঁদের পরিবার এবং সমাজকে লিভার রোগ, লিভার প্রতিস্থাপনের পর জীবনের মান, অঙ্গদানের তাৎপর্য এবং প্রতিস্থাপনের পর জীবনের মান সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির একটি যৌথ লক্ষ্যে একত্রিত করার সুযোগ করে দেয়।” রেলা হাসপাতালের হেপাটোলজি বিভাগের ডিরেক্টর ডাঃ দীনেশ জোথিমানি বলেন, “লিভারের রোগ বিশ্ব জুড়ে ক্রমশ বেড়ে চলা স্বাস্থ্যহানিতে চিন্তার বিষয়, সারা বিশ্বে ৮০ কোটিরও বেশি মানুষ কোনও না কোনও ধরণের লিভারের রোগে ভুগছেন। কেবলমাত্র ভারতেই, আনুমানিক ৩০% জনসংখ্যা ফ্যাটি লিভার রোগে আক্রান্ত। এটি মূলত জনসাধারণের মধ্যে খুব কম শারীরিক শ্রমের জীবনযাত্রার সঙ্গে সম্পর্কিত। উদ্বেগের বিষয়, লিভার সিরোসিস এবং লিভার ক্যান্সার এখন দেশে মৃত্যুর প্রধান কারণগুলির মধ্যে একটি। শুরুতেই দ্রুত রোগনির্ণয় এবং জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনলে জীবনের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমতে পারে এবং ‘দ্য লিভার রান’-এর মতো ইভেন্টগুলি সচেতনতা বৃদ্ধিতে এবং লিভারের স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়ার জন্য সক্রিয় পদক্ষেপ নিতে মানুষকে অনুপ্রাণিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।” এই লিভার রানের উদ্দেশ্য হল লিভারের রোগ, অঙ্গদানের গুরুত্ব এবং লিভার প্রতিস্থাপনের পর জীবনের মান সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। কলকাতা, ৯ মার্চ ২০২৫: চেন্নাইয়ের বিশ্বখ্যাত লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট হাসপাতাল, রেলা হাসপাতাল, কলকাতায় তাদের প্রথম লিভার রান সফলভাবে আয়োজন করেছে, যার লক্ষ্য লিভারের অসুখ, অঙ্গদানের গুরুত্ব এবং লিভার প্রতিস্থাপনের পর জীবনযাত্রার মান সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা….।
- অশোক আখড়া এক ব্যায়াম মন্দিরের আয়োজনে ন্যাশনাল আয়রন লিফটিং আর্ম ফাইটিং ও গ্রিক গড শের ই হিন্দুস্থান ২০২৫…।
Be First to Comment