Press "Enter" to skip to content

“ঠাকুর রামকৃষ্ণের জন্মদিনে ” ! সব ধর্মের মিলনতীর্থ ” কামারপুকুরে রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের জন্মভিটেয় “….।

Spread the love

ডাঃ দীপালোক বন্দ্যোপাধ্যায় : কলকাতা, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫। ১৮ই ফেব্রুয়ারি এই দিনটি আমাদের বাংলা , ভারত তথা হিন্দু ধর্ম ও সমাজের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ ৷ এই দিনে ধরাধামে এসেছিলেন দুই যুগাবতার “মহাপুরুষ” -শ্রীচৈতন্যদেব (১৮ই ফেব্রুয়ারি ১৪৮৬) এবং রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব
(১৮ ই ফেব্রুয়ারি ১৮৩৬ ) ৷ তাই , আমার কাছে পরম আনন্দের দিন ও দুই মানুষ দেবতার বাণী চয়ণের সময় ৷ এই দিনটা ঘুরে আসি দুই পরম পুরুষের জন্মস্থান থেকে একেকবারে একক জায়গা থেকে ৷আমি যেবার কামারপুকুর গিয়েছিলাম সেবারে আবার আজকের দিনে পড়েছিল “মহা শিবরাত্রি “৷
প্রণাম করি রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবকে –
” স্থাপকায় চ ধর্মস্য সর্বধর্ম স্বরূপিনে ৷
অবতার বরিষ্ঠায় রামকৃষ্ণয়তে নমঃ “!
তিনি হিন্দু , ইসলাম ও খ্রীস্টিয় মতে সাধনা করে দেখিয়ে দিয়েছেন , ” আমার ধর্ম ঠিক , তোমার ধর্ম ভুল , এ মত ভালো না ৷ ঈশ্বর এক বই দুই নাই “!
প্রায় অশিক্ষিত এই ব্রাহ্মণ অদ্ভুত কথা বলেছিলেন “, ধর্ম অন্ধবিশ্বাস নয় , বিনা প্রশ্নে মেনে নিও না ৷ বিজ্ঞানের মত হাতে কলমে পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করে দেখো ” ! উদারতার পরাকাষ্ঠা হানিহানি বন্ধে দাওয়াই বাতলেছিলেন , ” যত মত তত পথ ” ! কি সুন্দর বাণী তাঁর ! তাই বোধহয় তাঁর জন্মগ্রহনের রাতে এই বাড়ীর শিবমন্দির চাঁদের আলোয় ভরে গিয়েছিল ! ১৮ ই ফেব্রুয়ারির ১৮৩৬ সালে ৷ হুগলীর আরামবাগের কাছে কামারপুকুর গ্রামে গরিব ব্রাহ্মণ ক্ষুদিরাম চট্টোপাধ্যায় ও চন্দ্রমণি দেবীর এই পুত্র গদাধরের জন্ম ৷ যিনি ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দে রাণী রাসমণির দক্ষিণেশ্বরের কালী মন্দিরের পুরোহিত
থেকে ” রামকৃষ্ণ পরমহংস দেব ” নামে অদ্বৈত বেদান্ত , তন্ত্র ও ভক্তির নতুন দিশা দেখান ৷তিনি তোতাপুরীর কাছে দীক্ষা নিয়েছিলেন ৷ আর দিয়েছিলেন বিবেকানন্দ , অভেদানন্দের মত বহু সাধককে ৷ সে সময়ের মহাপুরুষরা তিনি গলার ক্যান্সারে ভুগে মৃত্যুর আগে পর্যন্ত নিয়মিত তাঁর কাছে আসতেন ৷ কলকাতায় ১৮৮৬ সালের ১৬ ই আগস্ট তাঁর দেহবসান হয় ৷

More from CultureMore posts in Culture »
More from InternationalMore posts in International »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Mission News Theme by Compete Themes.