মোল্লা জসিমউদ্দিন : ২৬, আগস্ট, ২০২০।জামাইবাবু ঋণ পরিশোধে দিয়েছিল ৪৯ হাজার টাকা৷ সেই টাকা ব্যাংকে জমা করতে গিয়ে ঘটলো বিপত্তি৷ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জালনোট থেকে স্থানীয় থানার পুলিশে খবর দেয়। স্থানীয় থানা ঘটনার গুরত্ব বুঝে বিষয়টি জানায় লালবাজার কে। লালবাজারের এসটিএফ শাখা এই জালনোট কান্ডে ওই গ্রাহক কে ঘটনার দুমাস পরে গ্রেপ্তার করে। নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তদন্তকারীরা জানতে পারেন – ধৃত ব্যাংকের গ্রাহক ষড়যন্ত্রের শিকার। আসল কালপিট তার জামাইবাবু। সেই বকেয়া ঋণ মেটাতে হাজার টাকার ৪৯ টি জালনোট দিয়েছিল। জবানবন্দিতে এহেন তথ্য আসতেই গ্রেপ্তার হয় গুনধর জামাইবাবু। চার্জশিট দাখিল হয়। পাশাপাশি ব্যাংক ম্যানেজার, শালবনীর টাকশালের অভিজ্ঞ অফিসার সহ ১২ জনের সাক্ষ্যদান ঘটে। গতকাল এই ঘটনায় কলকাতার সিটি সেশন কোর্টের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক (ফাস্ট ট্র্যাক) গুরুপদ বিশ্বাস এই মামলায় ব্যাংক গ্রাহক কে খালাস দান এবং গ্রাহকের জামাইবাবু কে দোষী সাব্যস্ত করেন। আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার দুপুরে আসামির ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ হাজারের আর্থিক জরিমানা অনাদায়ে অতিরিক্ত ৬ মাসের জেল হেফাজত এর রায়দান করেন। এই মামলায় এসটিএফের পক্ষে সরকারি আইনজীবী রয়েছেন অলোক কুমার দাস মহাশয়। সহযোগী আইনজীবী হিসাবে দিব্যজ্যোতি সিনহা রয়েছেন এই মামলায়। আদালত সুত্রে প্রকাশ, ২০১৬ সালে প্রথম দিকে জামুন যাদব নামে এক গ্রাহক কলকাতার পার্কস্ট্রিটে এক ব্যাংকে ৪৯ টি হাজার টাকার নোট জমা দিতে যান তার একাউন্টে। ব্যাংকের ক্যাশিয়ারের নোট গুলি দেখে সন্দেহ হওয়ায় ব্যাংক ম্যানেজার কে জানান। ততক্ষণে পগারপার জামুন যাদব! পার্কস্ট্রিটের ব্যাংক ম্যানেজার স্থানীয় থানার পুলিশ কে লিখিত অভিযোগ জানালে লালবাজারের এসটিএফ শাখা এই জালনোট কান্ডে তদন্তভার নেয়৷ মাস খানেক পরে গ্রেপ্তার হয় সে। তার জবানবন্দিতে উঠে আসে জামাইবাবুর কথা। বকেয়া ঋণ পরিশোধে ওই নোট গুলি কে দিয়েছিল সুচিত যাদব নামে ওই ব্যক্তি। তার কাছেও হাজার টাকার ২৫ টি জালনোট উদ্ধার করে তদন্তকারীরা। ব্যাংকের ক্যাশিয়ার, ম্যানেজার সহ শালবনীর টাকশালের অভিজ্ঞ অফিসারের সর্বমোট ১২ জনের সাক্ষ্যদান ঘটে এই মামলায়। গত ২৪ তারিখ সিটি সেশন কোর্টের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক গুরুপদ বিশ্বাসের এজলাসে এই মামলায় জেল হেফাজতে থাকা জামুন যাদব কে খালাস দান এবং সুচিত যাদব কে দোষী সাব্যস্ত করেন। গতকাল এই এজলাসে আসামির ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকার জরিমানা অনাদায়ে অতিরিক্ত ৬ মাসের জেল হেফাজতের রায়দান ঘটে। এই মামলায় সরকার পক্ষের অর্থাৎ এসটিএফের আইনজীবী অলোক কুমার দাস বলেন – ” জালনোট কান্ডে ব্যাংকের গ্রাহক টি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছিল। আসল দোষী কে আদালত সাজা ঘোষণা করেছে”।
জালনোটের মামলায় ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড সিটি সেশন কোর্টে…………
More from GeneralMore posts in General »
- ইনড্রাইভ সংস্থা কলকাতায় ৮৬ জন ড্রাইভার অংশীদারকে পুরস্কৃত করেছে….।
- TV9 বাংলা নিউজ সিরিজ ‘ভোটযুদ্ধ, দেশের লড়াই’, পর্ব – ২…।
- মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়িতে পড়ে গিয়ে মাথায় চোট চারটি সেলাই করতে হলো…।
- Identification of gap where cooperative societies are less across country will prove helpful in cooperatives’ expansion through National Database: Union Minister for Home and Cooperation Amit Shah….
- আন্ত:জেলা ফুটবল ১৪ মার্চ থেকে শুরু বালুরঘাটে….।
- কলকাতার আনন্দপুরে বস্তিবাসীদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল ভারত সেবাশ্রম সংঘ…
Be First to Comment