জন্মদিনে স্মরণঃ প ল্লী ক বি জ সী ম উ দ্দী ন
“তুমি যাবে ভাই যাবে মোর সাথে
আমাদের ছোট গাঁয়,
গাছের ছায়ায় লতায় পাতায়
উদাসী বনের বায়…”
বিশেষ প্রতিনিধি : যাঁর লেখায় আবহমান বাংলার রূপ, কাদা মাটির গন্ধ, কৃষকের হাসি ফোটা মুখচ্ছবি, গাঁয়ের সহজ সরল চাষীদের কথা, রাখাল বালকের কথা এবং প্রেমিকের ছন্দচিত্র আমাদের চেতনায় ফুটে ওঠে তিনি আমাদের প্রিয় কবি জসীমউদ্দীন।
পুরো নাম জসীমউদ্দীন মোল্লা। ফরিদপুর জেলার গোবিন্দপুর গ্রাম ছিল তাঁদের আদি বাড়ি। বাবা আনসার উদ্দীন ছিলেন ফরিদপুর হিতৈষী এম ই স্কুলের শিক্ষক। এবং মা আমিনা খাতুন ওরফে রাঙাছুট।
জসীমউদ্দীনের কবি প্রতিভা বিকশিত হয় শৈশবেই। তিনি খ্যাতির শীর্ষে ওঠেন কলেজে পড়াকালীন ‘কবর’ কবিতাটি লেখেন। তিনি যখন বিএ ক্লাসের ছাত্র তখনই কবিতাটি প্রবেশিকা পরীক্ষার্থীদের পাঠ্য তালিকাভুক্ত হয়।
১৯২৭ সালে তাঁর দুটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হলে তাঁর কবি খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে কবি তার এই বই দুটি উপহার দিলে তিনি বই দুটির প্রশংসা করে একটি আলোচনাও লিখেছিলেন।
তাঁর গ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে- ‘ধানক্ষেত’, ‘মাটির কান্না’, ‘হলুদ বরণী রূপবতী’, ‘জলের লেখন’, ‘পদ্মা নদীর দেশে’ প্রভৃতি। কাহিনি কাব্যের মধ্যে- ‘সুজন বাদিয়ার ঘাট’, ‘নকশী কাঁথার মাঠ’, ‘সকিনা’ প্রভৃতি।
তাঁর অন্যতম জনপ্রিয় লোকনাট্য গ্রন্থ- ‘মধুমালা’, ‘বেদের মেয়ে’, ‘পদ্মার পার’, ‘পল্লীবধূ’, ‘গ্রামের মায়া’, ‘গাঙের পার’, ‘ওগো পুষ্প রেণু’ প্রভৃতি।
তাঁর স্মৃতিচারণমূলক গ্রন্থের মধ্যে অন্যতম- ‘ঠাকুর বাড়ীর আঙিনায়’, ‘স্মৃতিপট’, ‘যে দেশে মানুষ বড়’ ইত্যাদি। এছাড়াও আছে জারিসারি ও মুর্শিদী গানের সংগ্রহ ও সম্পাদনা।
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কলকাতা তাঁকে সম্মানসূচক ‘ডিলিট’ উপাধি দেয় ১৯৬৮ সালে। এছাড়া তিনি বাংলা একাডেমি ও একুশে পদক লাভ করেন।
১৯৭৬ সালের ১৩ মার্চ কবি মৃত্যুবরণ করেন।
পল্লীকবি জসীমউদ্দীন ১৯০৩ সালের আজকের দিনে (১ জানুয়ারি) ফরিদপুরের তাম্বুলখানায় জন্মগ্রহণ করেন।
Be First to Comment