নিজস্ব প্রতিনিধি : কলকাতা, ২৬, সেপ্টেম্বর,২০২০। বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতার সিটি সেশন কোর্টের এনআইএ এজলাসে পেশ করা ধৃত তানিয়া পারভীন কে। এই মামলার পরবর্তী শুনানিতে অর্থাৎ আগামী ১ অক্টোবর অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের শুনানি রয়েছে। অভিযুক্তের আইনজীবী জানিয়েছেন – ‘ ধৃতের বিরুদ্ধে মূলত ইউপিএর ৩০ এবং ৩৯ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে, যার সর্বোচ্চ সাজা একটিতে ৫ বছর এবং অন্যটিতে ১০ বছর, আমরা আইনগত পরবর্তী শুনানিতে অভিযোগ গুলি যথাযথ নয় তা সওয়াল-জবাব চালাবো ‘। গত মার্চ মাসে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ শাখা জঙ্গিযোগের অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছিল তানিয়া পারভীন নামে এক কলেজ ছাত্রী কে। বাদুড়িয়ার মলয়পুরের এক প্রান্তিক চাষীর মেয়ের সোশাল মিডিয়ায় বিশ্বজুড়ে জঙ্গিপনার তথ্যসূত্র দেখে তাজ্জব হয়েছিল গোটা বাংলা। এসটিএফ গ্রেপ্তার করে বসিরহাট আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছিল আরও তথ্য সন্ধানের জন্য। গ্রেপ্তারের পরবর্তী দু সপ্তাহের মধ্যেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের সংস্থা অর্থাৎ এনআইএ এই মামলার তদন্তভার নেয়। পাশাপাশি এই মামলা বসিরহাট আদালত থেকে স্থানান্তরিত হয়ে কলকাতার সিটি সেশন কোর্টে এনআইএর বিশেষ এজলাসে এই মামলা চলে আসে। জঙ্গিযোগের অভিযোগে গ্রেফতার ১৭৪ দিনের মাথায় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ ৭৫০ পাতার বিস্তারিত রিপোর্ট সহ চার্জশিট দাখিল করে থাকে। গত শুনানিতে সিটি সেশন কোর্টের এনআইএ সংক্রান্ত বিচারক প্রসেনজিৎ বিশ্বাসের এজলাসে এই মামলার চার্জশিট দাখিল হয়। এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে ১ অক্টোবর । ধৃত তানিয়া পারভীনের বিরুদ্ধে ১২১ এ, ১২৪ এ, ১২০বি, ৪১৯, ৪২০, সহ ইউপিএর ১৩, ১৫, ১৮,২০,৩৮,৩৯ ধারা এবং তথ্যপ্রযুক্তির ৬৬এ ধারায় চার্জশিট দাখিল করেছে এনআইএ।চার্জশিট উল্লেখ রয়েছে যে, ধৃত তানিয়া পারভীন বছর খানেক ধরে আন্তজার্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর ই তৈইবার হয়ে অনলাইন প্রচার চালাতো। ভারতের বিভিন্ন অংশের পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ, পাকিস্থান সহ বিভিন্ন দেশের যুবদের জঙ্গিপনায় মগজধোলাই করে সদস্য সংগ্রহে গুরত্বপূর্ণ ভুমিকা নিত। তদন্তকারীরা ইতিমধ্যেই ধৃতের ব্যবহৃত মোবাইল, ল্যাপটপ, কম্পিউটার সহ মেমোরি কার্ড, পেনড্রাইভ প্রভৃতি জিনিস বাজেয়াপ্ত করেছে। লস্কর ই তৈবার অনলাইন মডিউল চালাতো সে, এইরুপ দাবি তদন্তকারীদের। তানিয়া কেন বাংলাদেশ গিয়েছিল তারও রিপোর্ট উল্লেখ করেছে তদন্তকারীরা৷ মূলত আন্তজার্তিক সীমানারেখায় বেশ কয়েকজন জঙ্গি গ্রেপ্তারে যোগসুত্র হিসাবে উঠে আসে তানিয়া পারভীনের নাম। কলকাতা পুলিশের এসটিএফ শাখা তানিয়া পারভীনের মোবাইল ফোনের কল রেকর্ড, ফেসবুক হোয়াটসঅ্যাপ একাউন্ট গুলি ট্রাক করে জঙ্গিযোগের বিভিন্ন সুত্র পায়। ধৃতের মোবাইলে মাসিক বিল আসতো সাত হাজারের বেশি। ৫০ এর বেশি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ চালাতো সে। গত মার্চ মাসে বাদুড়িয়ায় এসটিএফ গ্রেপ্তার করে থাকে। বসিরহাট আদালতে এসিজেম এজলাসে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নেয় তারা। পরবর্তী দু সপ্তাহের মধ্যেই জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএ এই মামলার তদন্তভার নেয়। গত শুনানিতে সিটি সেশন কোর্টে এনআইএ এজলাসে ৭৫০ পাতার চার্জশিট দাখিল করেন তদন্তকারীরা। ১৭৪ দিনের মাথায় এই চার্জশিট দাখিল টি ঘটে। আগামী ১ অক্টোবর এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে বলে জানা গেছে। ওইদিনই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন বিষয়ক শুনানি রয়েছে।
জঙ্গিযোগ মামলায় চার্জ গঠনের শুনানি ১ অক্টোবর………
More from GeneralMore posts in General »
- TV9 বাংলা নিউজ সিরিজ ‘ভোটযুদ্ধ, দেশের লড়াই’, পর্ব – ২…।
- মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়িতে পড়ে গিয়ে মাথায় চোট চারটি সেলাই করতে হলো…।
- Identification of gap where cooperative societies are less across country will prove helpful in cooperatives’ expansion through National Database: Union Minister for Home and Cooperation Amit Shah….
- আন্ত:জেলা ফুটবল ১৪ মার্চ থেকে শুরু বালুরঘাটে….।
- কলকাতার আনন্দপুরে বস্তিবাসীদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল ভারত সেবাশ্রম সংঘ…
- অবৈধ বালিচুরি রুখতে তৎপর মঙ্গলকোটের পুলিশ….।
Be First to Comment