Press "Enter" to skip to content

চৈত্র মাসের শুক্ল পক্ষের ত্রয়োদশী তিথি জৈন ধর্মাবলম্বীদের কাছে সবচেয়ে পবিত্র দিন…।

Spread the love

মহাবীর জয়ন্তী !
——————–
ডাঃ দীপালোক বন্দ্যোপাধ্যায় : কলকাতা, ১০ এপ্রিল, ২০২৫। আজ চৈত্র মাসের শুক্ল পক্ষের ত্রয়োদশী তিথি জৈন ধর্মাবলম্বীদের কাছে সবচেয়ে পবিত্র দিন ৷ জৈন ধর্মের ২৪ তম তীর্থঙ্কর মহাবীর খ্রিস্টপূর্ব ৫৯৯ সালে বিহারের বৈশালীর কাছে কুন্ডলপুরে এক রাজ পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন ৷ মাত্র ৩০ বছর বয়সে সিংহাসন ও পরিবার ছেড়ে কঠোর তপস্যা , ধ্যান তথা আত্মসাধনায় ব্রতী হন ৷১২ বছর কঠিন সাধনার পর তিনি হন ‘কেবলি ‘ বা সর্বোজ্ঞ এবং ‘জিন’ বা বিজয়ী ৷ তাঁর আসল নাম ছিল ‘বর্ধমান’ যার অর্থ যিনি উন্নতি করেছেন ৷ “বর্ধমান” জেলায় আমার জন্ম বলে ছোট থেকেই মহাবীর বা বর্ধমান আমাকে টানেন ৷ ২৪-তম বা শেষ তীর্থঙ্কর হলেও মহাবীর হলেন আজকের জৈন ধর্মের মূল রূপকার ৷ পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন এই ধর্ম আজ বিশ্বের নবম বৃহৎ ধর্ম ৷ ভারতেই এঁদের অনুসারীর সংখ্যা এক কোটি ৷ নিরীশ্বরবাদী কট্টর নিরামিশাষী ও অহিংসবাদী এই ধর্মের মানুষ কীট পতঙ্গ হত্যার ভয়ে চাষাবাদ করেন না ৷ মূলতঃ ব্যবসা ও শিল্পের সাথে যুক্ত ৷ “তীর্থঙ্কর ” শব্দের আক্ষরিক অর্থ “তীর্থের প্রতিষ্ঠাতা “হলেও আসলে তিনি সর্বজ্ঞ শিক্ষক ৷এঁরাই জৈন ধর্মের প্রচারক ৷ জৈন ধর্মে “তীর্থ” হলো সংসার নামের জন্ম ও মৃত্যুর সাগরের মাঝ দিয়ে প্রসারিত সংকীর্ণ রাস্তা ৷
২৪ জন তীর্থঙ্কর চেনা যায় তাঁদের চিহ্ন দেখে ৷ ১৷ ঋষভনাথ – ষাঁড় ,২৷ অজিতনাথ -হাতি , ৩৷ সম্ভবনাথ -ঘোড়া , ৪৷ অভিনন্দননাথ -বানর , ৫৷ সুমতিনাথ -বক, ৬৷ পদ্মপ্রভ – লাল পদ্ম , ৭৷ সুপার্শ্বনাথ – স্বস্তিকা , ৮৷ চন্দ্রপ্রভ- চাঁদ , ৯৷ সুবিধি বা পুষ্পদন্ত – কুমীর , ১০৷ শীতলনাথ -কল্পবৃক্ষ ,১১৷ শ্রেয়াংসনাথ -গন্ডার , ১২৷ বাসুপূজ্য – মহিষ , ১৩৷ বিমলনাথ – বুনো শুয়োর , ১৪৷ অনন্তনাথ – সজারু আবার কখনো বাজপাখি , ১৫৷ ধর্মনাথ – বজ্রদন্ড , ১৬৷ শান্তিনাথ – হরিণ , ১৭৷ কুন্থুনাথ -ছাগল , ১৮৷ অরনাথ – মাছ , ১৯৷ মল্লিনাথ – কলসী , ২০৷ মুনিসুব্রতনাথ – কচ্ছপ , ২১৷ নেমিনাথ -শাঁখ , ২৩৷ পার্শ্বনাথ বা পরেশনাথ – সাপ এবং ২৪৷ মহাবীর – সিংহ ৷ এছাড়া পরমপূজ্য সোনালী রঙের ১২ জন চক্রবর্তী এবং ৯ জন করে বলদেব ও বাসুদেব রয়েছেন ৷
পাশ্বর্নাথ বা পরেশনাথ হলেন ২৩- তম তীর্থঙ্কর ৷ তিনি জৈন ধর্মকে প্রাথমিক রূপ দেন ৷ সুপ্রাচীন জৈন ধর্মের এক থেকে বাইশতম তীর্থঙ্কর নিয়ে অনেক কাহিনী থাকলেও অনেক ঐতিহাসিকদের মতে ওনারা কল্পিত ৷ তবে , “হে রুদ্রতুল্য দেব! আপনি প্রথম জগদগুরুর উপাধি অর্হনত্ব প্রাপ্ত হউন”৷( ঋকবেদ ১০ম মন্ডল , ১২শ অনুবাক ,১১৬ ঋক্ এ ঋষভ নাথের কথা আছে )৷ডঃ ফুরার নেমিনাথকেও ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব বলেছেন ৷ তবে, পার্শ্বনাথ বা পরেশনাথের অস্তিত্ব নিয়ে কোন সংশয় নেই ৷ বারাণসী বা কাশীতে আনুমানিক ৮১৭ খ্রিস্টপূর্বাব্দে সেখানকার রাজা অশ্বসেন ও ভীমাদেবীর পুত্র পার্শ্বনাথের জন্ম ৷ তিনি ১০০ বছর বেঁচেছিলেন ৷এই স্থানটি তাঁর জন্মস্থান মন্দির ৷
৮১৭ খ্রিঃপূঃ বারাণসী ( কাশী) র এই জায়গায় জন্মগ্রহন করেন ৷ তিনি চর্তুযাম বা চারটি মহান
ব্রতের প্রচার করেন ৷ জৈন ধর্মের এই “চতুর্যাম” নীতিগুলি হলো ১॥ অহিংসা – কারো জীবননাশ করবে না ৷ ২॥ অনৃত – নিজে মিথ্যা বলবে না ও কারো বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করবে না ৷৩॥ অস্তেয় – নিজে চুরি করবে না ৷ মিথ্যা ওজন দেখিয়ে ও ভেজাল দিয়ে ক্রেতাদের ঠকাবে না ৷ কখনো কারো কাছ থেকে চুরি করা জিনিস কিনবে না ৷ ৪॥ অপরিগ্রহ- ব্যক্তিগত ভূ সম্পত্তির অধিকারী হবে না ৷ এর সাথে সুচিতা বা ব্রহ্মচর্য
যোগ করে মহাবীর “জৈন” ধর্মকে পূর্ণতা দেন ৷ তাঁর প্রথম তথা প্রধান শিষ্য ইন্দ্রভূতি গৌতম মুনি আগম গ্রন্থাদি লেখেন ৷ নালন্দা থেকে কাছে তাঁর জন্মস্থানে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়েছি ৷যাহোক মহাবীরের দেওয়া পঞ্চম ব্রত হলো “ব্রহ্মচর্য” ৷ গৃহীদের যা অনেকটা শিথিল তাকে বলে “অনুব্রত” ৷ এক পত্নী ব্রত ৷ আর “মহাব্রত” হলো শ্রমণদের ক্ষেত্রে আবশ্যিক শর্ত ৷ পার্থিব বন্ধন থেকে মুক্ত থাকা ৷মহাবীর ১২ বছর কঠোর তপস্যা করে বস্ত্র পর্যন্ত ত্যাগ করেছিলেন ৷ পোকা মাকড় কামড়ালেও তাদের মারেন নি ৷ সর্বজ্ঞতা অর্জনের পর ৩০ বছর ধরে তিনি জৈন ধর্ম প্রচার করেছিলেন ৷ ৭২ বছর বয়সে বিহারের পাওয়াপুরীর এই স্থানে তিনি মৃত্যূবরণ বা মোক্ষলাভ করেন ৷ সেদিনটি ছিল দীপাবলির দিন বা কার্তিক অমাবস্যা ৷ যাকে জৈনরা প্রাকৃতে বলেন “আসো বাদ অমাস ” ৷ পার্থিব বন্ধনের প্রশ্নে পরে দু ভাগ হয় জৈন ধর্ম ৷ দিগম্বর পন্থীরা পার্থিব বন্ধন মুক্ত বলতে শ্রমণদের নগ্ন থাকাকেও বুঝিয়েছেন ৷ মনে করা হয় এভাবেই তাঁরা জ্ঞান লাভ করেছেন ৷ ঐ শ্রমণদের কাপড় পরিয়ে তথাকথিত সভ্য সাজানো হলো অনৃত বা সত্য নীতির অবমাননা ৷ দিগম্বররা নগ্নতা ও প্রকৃতি বাদী ৷তাঁদের দাবী তাঁরাই প্রাচীন শ্রমণ প্রথাকে সংরক্ষণ করেন ৷ খ্রিঃপূঃ ৪র্থ শতাব্দীর গ্রীক নথিতে নগ্ন দার্শনিক ( জিমনোসোফিস্ট) উপস্থিতি এর প্রমাণ দেয় ৷এঁরা আচার্য ভদ্রবাহু ও স্থূলভদ্রের অনুগামী ৷ অন্যদিকে শ্বেতাম্বরা সাদা কাপড় পরেন ৷ মানেন “অঙ্গ” নামের প্রাচীন গ্রন্থ এবং “উপাঙ্গ” বলে পরিচিত ১২টি ধর্ম গ্রন্থ ৷ জৈনরা মনে করেন সব শাস্ত্র ও ধর্মগ্রন্থ মানুষের লেখা তাই এগুলি শাশ্বত বা চিরন্তন হতে পারে না ৷ অর্থাৎ বেদ কে শাশ্বত না মানায় হিন্দু থেকে জৈনরা আলাদা হয়ে যায় ৷ এঁরা যাগ যজ্ঞ , হোম , বলিরও বিরোধী ৷এঁরা সর্বশক্তিমান ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন না ৷ তবে , দেবতায় বিশ্বাস করেন ৷ তবে, জৈন মতে মানুষই সাধন বলে দেবতা হতে পারে ৷ যে অন্যকে হারিয়ে জয়ী হয় সে বীর আর যে নিজের রিপু জয় করে সে মহাবীর ৷গুণের প্রতীক হলো দেবতা ৷ দেবতার কোন অলৌকিক ক্ষমতাতেও জৈনরা বিশ্বাস করেন না ৷ দেবতা হওয়ার উপায় কর্ম বন্ধন থেকে মুক্তি ৷ মানুষের লক্ষ্য হওয়া উচিত দেবত্ব বা মোক্ষ লাভ ৷ সঠিক ভাবে পৃথিবীর সবাই জৈন ধর্মের ভাল নীতিগুলি মেনে চলে তাহলে এই বিশ্বই হয়ে উঠবে স্বর্গ ৷ যেখানে হিংসা , যুদ্ধ , অতি লোভ দূষণের ভয় থাকবে না ৷ এজন্য “তিন রত্ন” – সম্যক জ্ঞান , সম্যক দর্শন ও সম্যক চরিত্র জীবনের প্রতি ক্ষেত্রে থাকা দরকার ৷ এঁরা কঠোরভাবে নিরামিশষাসী ৷ ক্ষুদ্র প্রাণী মারা যাবে বলে এরা মাটির নীচের ফসল পেঁয়াজ , গাজর ইত্যাদি খান না ৷ ওঁরা মনে করেন গাছ , পাথরেরও প্রাণ আছে ৷অর্থাৎ সর্বপ্রাণবাদী ৷ এঁরা জাতিভেদ বিরোধী ৷ এই ধর্মের মূল কথাগুলি মৌখিকভাবে প্রচলিত ছিল ৷ আনুমানিক তিনশো খ্রিস্টপূর্বাব্দে পাটলিপুত্রে অনুষ্ঠিত প্রথম জৈন সঙ্গীতি বা সম্মেলনে বারোটি পর্বে ( দ্বাদশ অঙ্গ) তা সংকলিত হয় ৷ তাঁদের অহিংস নীতি এদেশে পশুদের রক্ষা করে কৃষির বিকাশ ঘটায় ৷ আর “জৈন নীতি” ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার করে বাণিজ্য ও নগর সভ্যতার প্রসার করে ৷ আচার অনুষ্ঠানের দিক থেকে জৈন ধর্মের সঙ্গে হিন্দুদের প্রভেদ সামান্য ৷উভয় ধর্ম জন্মান্তর , স্বর্গ ,মর্ত্য , নরকে বিশ্বাসী ৷ অনেক হিন্দু দেবদেবী জৈনরাও পূজা করেন ৷আবার আমরা হিন্দু হয়েও জৈন তীর্থস্থানে গিয়ে শ্রদ্ধা ,ভক্তি , পূজা , প্রার্থনা করি ৷ আমি পার্শ্বনাথের জন্মস্থান , মহাবীরের জন্ম , মৃত্যু ও প্রথম দীক্ষা দানের স্থান , মাউন্ট আবুর দিলওয়ারা ,পলিটান , শ্রবণবেলাগোলা , গিরনারে গিয়েছি ৷ আমি “বর্ধমান” বাসী ৷ এই নামটিই মহাবীরের আসল নাম ৷ তা থেকেই শহর তথা জেলার নাম ৷ তাই , আশৈশব জৈন মত সম্পর্কে আমার আগ্রহ ৷ কলকাতায় শীতলনাথের ( লোকে পরেশনাথ ভুল বলে) অসাধারণ সুন্দর মন্দিরে মাঝে মাঝে যাই ৷ কলেজ জীবনে কাছে থাকায় দেখেছি মহাবীর জয়ন্তীর সুন্দর মিছিল , পরীষণ , সংবতসারি উৎসব এবং দেওয়ালি ৷ বেলগাছিয়ার মন্দিরে দিগম্বর উৎসব ক্ষমাধান দেখেছি ৷ভারতের সবচেয়ে ধনী ও শিক্ষিত সম্প্রদায় হলেও এঁদের মিষ্টি ব্যবহার মন কেড়েছে ৷ আসলে এঁদের মূল মন্ত্র যে ,” মিছ্ছা মাই দুক্কদম ” মানে মিথ্যা হলো দুষ্কৃতি ৷ তবে , গূঢ় তাৎপর্য আমার দোষে হয়েছে এবং আমার পাপ ক্ষমা করো ৷ সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব , কারো সাথে বৈরীতা নয় ৷ এই বাণীও জৈন ধর্মের ৷ বাংলায় সরাক বা শ্রাবক জৈন রয়েছেন ৷ একসময় তেলকুপি , দেউলঘাটা , পাকবিড়রা , বান্দায় তাঁদের দেউল ইতিহাসের সাক্ষী ৷
জৈন বা সংস্কৃত জিন মানে জয়ী ৷ আসক্তি , আকাঙ্ক্ষা , ক্রোধ , অহংকার ও লোভ জয় করার শিক্ষার সঙ্গে সব জীবে অহিংসা দ্বিতীয় প্রাচীন এই ভারতীয় ধর্মের নীতি ৷ এনারা মূলত ব্যবসায়ী ৷ একে অন্যকে সহায়তা করেন ৷ অপরের টাকা দেখে লোভ বা হিংসা করেন না ৷ ভারতের আয়করের ২৫% আসে এই স্বল্পসংখ্যক জৈন ধর্মাবলম্বীর কাছে ৷ শ্রমণ থেকে এই ধর্মের উৎপত্তি ৷ তীর্থঙ্কর মানে তীর্থের প্রতিষ্ঠাতা ৷ ২৪ জন তীর্থঙ্করের প্রথম ঋষভদেব , শেষ বা ২৪ তম
মহাবীর বর্ধমান ৷ আর ২৩ তম হলেন পরেশনাথ
বা পার্শ্বনাথ ৷ সওয়া এককোটি জৈনের কাছে শিক্ষা খুব গুরুত্বপূর্ণ ৷ তাই প্রায় সবাই শিক্ষিত ৷ ৯৪% শিক্ষিত শুধু নয় ৷ শিক্ষা এদের কাছে অগ্রাধিকার পায় ৷ ভারতের প্রথম গ্রন্থাগারও জৈন মন্দিরে ৷ শ্রমণ ভদ্রবাহুর লেখা “কল্পসূত্র ” প্রথম জৈন গ্রন্থ ৷ প্রধান ধর্মগ্রন্থ দ্বাদশ অঙ্গ ৷ পার্শ্বনাথ ৭৭২ খ্রিঃ পূঃ এ সম্মেদে দেহত্যাগ করেন ৷ তাঁর শাসনযক্ষিণী ‘সাপ পদ্মাবতী’ ৷ জয় অহিংসার পূজারী পরেশনাথ ! ওঁ নমঃ অরিহন্তানাম্ ! আর্ন্তধর্ম নিয়ে পড়াশুনা করার সাথে আমি ঘুরেছি ভারতের প্রায় সব বিখ্যাত জৈন তীর্থে ৷ যেমন কাশীতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন ২৩-তম তীর্থঙ্কর “পার্শ্বনাথ বা পরেশনাথ ” এর জন্মস্থানে ৷ আবার
“কমল সরোবর ” , পাওয়াপুরী , বিহার এখানে মহাবীর পরিনির্বাণ লাভ করেন ৷ পাওয়াপুরীর এই “কমল সরোবরের মনোরম পরিবেশে শীতকালে হাজির হয় পরিযায়ী মানুষের
মত দেশী বিদেশী পাখির দল ৷ পদ্মে ভরা এই বিশাল পুকুরে রয়েছে প্রচুর মাছ ৷ তাদের পুরো জীবন কাটানোর কোন বাধা নেই ৷ আছে খাদ্য ৷ এখানে ৪৯০ খ্রিপূঃ এ জৈন ধর্মের ২৪তম অর্থাৎ শেষ বা শ্রেষ্ঠ তীর্থঙ্কর ভগবান “মহাবীর ” নির্বান লাভ করেন ৷ মহাবীরের অন্ত্যেষ্টি হতে পূতাঙ্গি বা পবিত্র ভস্ম তুলে নেন ভক্তেরা ৷ ভস্মের ঘাটতি ঘটায় টান পড়ে মাটিতে ৷ ওঠে জল ,রূপ নেয় জলাশয়ের ৷ এভাবেই সৃষ্টি হয়েছে কমল সরোবর ৷
পাওয়াপুরী বা পাপশূন্য নগরী ৷ এই কমল সরোবরের জলকে খুব পবিত্র মনে করা হয় ৷ এই জায়গায় মহাবীরের পদ্মচিহ্ন রয়েছে ৷ দেওয়ালীর রাতে নাকি এই পদ্মচিহ্নের ঢাকনা নিজে থেকে সরে যায় ৷ সারা দেশ থেকে দেওয়ালিতে দেবদর্শনে ভক্তের ঢল নামে !
সংলগ্ন শ্বেতাম্বর জৈন মন্দিরের ভাস্কর্য অনবদ্য ৷ রয়েছে মহাবীর ও তাঁর দুই শিষ্যের পায়ের ছাপ ৷

More from CultureMore posts in Culture »
More from InternationalMore posts in International »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Mission News Theme by Compete Themes.