সিঞ্চিনি পোদ্দার : কলকাতা, ১৪ নভেম্বর ২০২২। কলকাতায় অনুষ্ঠিত হয়ে গেল চারদিন ব্যাপী এক খাদ্য মেলা। গত ১০ নভেম্বর শুরু হওয়া এই খাদ্যমেলা র শেষদিন ছিল গতকাল ১৩ নভেম্বর রবিবার। এই প্রথম সল্যুশন মাইক্রো কোম্পানির পরিচালনায় গড়িয়াহাট ট্রাঙ্গুলার পার্কের মাঠ প্রাঙ্গনে আয়োজিত হয় হ্যাংলা জোন নামে এই খাদ্য মেলা উৎসবের। বসাক ইন্টেরিয়র এর সহযোগিতায় কলকাতায় এই প্রথম শুরু হল খাদ্য মেলা উৎসবের। যা আগামীদিনে কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে আয়োজিত হবে বলে জানান বসাক ইন্টেরিয়র এর কর্ণধর সঞ্জীব বসাক।
খাদ্য প্রিয় বাঙালিদের জন্যে এবার কলকাতাতেই মিলবে বিভিন্ন ধরনের খাবার। তাও আবার এক জায়গায় এলে। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। সল্যুশন মাইক্রো কোম্পানির কর্ণধার অভিষেক রায়ের তত্ত্বাবধানে গত ১০ই নভেম্বর থেকে শুরু হয় এই খাদ্যমেলা উৎসবের। যা চলে আগামী তিনদিন পর্যন্ত। আজ ছিল তার অন্তিম দিন। এই খাদ্য মেলার উদ্বোধনের মুহূর্ত থেকে অন্তিম দিন পর্যন্ত মেলা প্রাঙ্গণে মানুষের ভিড় ছিল যথেষ্ট।
মহানগরীতে শীত প্রবেশ নিতে না নিতেই কলকাতায় সল্যুশন মাইক্রো কোম্পানির পক্ষ থেকে আয়োজিত হয় এই খাদ্য মেলার। যেখানে নানা রকম মুখরোচক খাবার থেকে শুরু করে ছিল রকমারি মিষ্টি, পিঠে পুলিও। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু নামি দামী ব্র্যান্ডের খাবারের দোকানের সাথে সাথে ছিল আকর্ষণীয় অনেক রকম স্টলও। বিরিয়ানি হোক কিংবা চাউমিন। আবার রকমারি মিষ্টি হোক কিংবা চায়ের নানা রকম বাহার। নানা ধরনের পানের দোকান থেকে শুরু করে এই খাদ্য মেলায় ছিল বিনোদন মূলক নানা রকম গেমসও।

বসাক ইন্টিরিয়র এর সহযোগিতায় কলকাতা ট্রাঙ্গুলার পার্ক প্রাঙ্গনে আয়োজিত চারদিন ব্যাপি এই খাদ্য মেলা উৎসবের উদ্বোধন করেন বিধায়ক দেবাশীষ কুমার, ভারত সেবাশ্রমের মহারাজ স্বামী দিলীপ মহারাজ। প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্যে দিয়ে এই খাদ্য মেলার উদ্বোধন করা হয়। এছাড়াও উদ্বোধনের মুহূর্তে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এই খাদ্য মেলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর শিল্পী মল্লার ঘোষ অভিনেত্রী তথা বাচিক শিল্পী মল্লিকা ঘোষ, অভিনেত্রী মৌ বৈদ্য, বোরো চেয়ারম্যান চৈতালী চ্যাটার্জি , বরাহনগর পৌরসভার পৌর পরিষদের সদস্য অঞ্জন পাল, অভিনেতা চন্দন দাস, তৃণমূল নেতা জয়ন্ত রায়, এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বহু তারকা।

প্রতিদিন সন্ধ্যায় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা বহু শিল্পীরা তাদের নাচ-গান কবিতার মধ্য দিয়ে সন্ধ্যা উপভোগ্য তোলে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসে অতিথিরা এই খাদ্য মেলার প্রশংসা করেন। এই ধরনের মেলা যেন প্রতি বছর হয় এমনটাই কামনা করেন অতিথিরা। কেবলমাত্র কলকাতার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নয় কলকাতার বাইরে থেকেও বহু মানুষ আসেন চারদিনব্যাপী আয়োজিত এই খাদ্যমেলা প্রাঙ্গনে।

















Be First to Comment