বাবলু ভট্টাচার্য : স্বাধীনতা পুরস্কার, একুশে পদক ও বাংলা একাডেমিসহ অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুন মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর।
রাবেয়া খাতুন এর জন্ম ১৯৩৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর ঢাকার বিক্রমপুরে তার মামার বাড়িতে। অবশ্য তার বাবার বাড়ি মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার ষোলঘর গ্রামে। তার বাবা মৌলভী মোহাম্মদ মুল্লুক চাঁদ এবং মা হামিদা খাতুন।
১৯৫২ সালের ২৩ জুলাই সম্পাদক ও চিত্রপরিচালক, বাংলাদেশের প্রথম শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘প্রেসিডেন্ট’-এর পরিচালক এটিএম ফজলুল হকের সঙ্গে রাবেয়া খাতুনের বিয়ে হয়।
রাবেয়া খাতুন বাংলাদেশের প্রখ্যাত একজন সাহিত্যিক। পঞ্চাশের দশকে এই অঞ্চলের মুসলিম নারীদের জীবন যখন অনেক বিধি-নিষেধের বেড়াজালে বন্দী, তেমনই সময় তিনি আত্মপ্রকাশ করেন একজন লেখক হিসেবে।
লেখালেখির জন্য ছোটবেলা থেকেই মেনে নিতে হয়েছে বকুনি আর তিরস্কার। লেখাপড়া ভালো লাগেনি কোনদিনই।
রাবেয়া খাতুনের প্রথম উপন্যাস ‘মধুমতী’– তাঁতী সম্প্রদায়ের মানুষদের জীবনের দু:খগাঁথা নিয়ে রচিত। পরবর্তীতে এই উপন্যাস নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে।
১৯৭৩ সালে বাংলা একাডেমী পুরস্কার, ১৯৮৯ সালে হুমায়ূন কাদির স্মৃতি পুরস্কার, ১৯৯৩ সালে একুশে পদক, ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ লেখিকা সংঘ পুরস্কার, ১৯৯৫ সালে নাসিরউদ্দিন স্বর্ণপদক, ১৯৯৬ সালে জসিমউদ্দিন পুরস্কার, শেরে বাংলা স্বর্ণপদক ও শাপলা দোয়েল পুরস্কার, ১৯৯৭ সালে টেনাশিনাস পুরস্কার, ১৯৯৮ সালে ঋষিজ সাহিত্য পদকসহ রাবেয়া খাতুন আরও বহু পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।


Be First to Comment