শু ভ বু দ্ধ পূ র্ণি মা
‘’গৌতম বুদ্ধ সম্ভবত একমাত্র ব্যক্তি যিনি ঈশ্বরহীন এবং তথাপিও ভীষণভাবে ঈশ্বরময়।‘’
[ এইচ. জি. ওয়েলস ]
বাবলু ভট্টাচার্য : বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক মহামতি গৌতম বুদ্ধের জন্মদিন আজ। শুধু জন্ম দিন নয়, এই একই দিনে সিদ্ধিলাভ আর মহাপরিনির্বাণ লাভ করেছিলেন তিনি।
আজ শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের পবিত্রতম উৎসব। বৈশাখের পূর্ণিমা তিথিতে এই পুণ্যোৎসবে বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারীরা স্নান করেন, শুচিবস্ত্র পরিধান করে মন্দিরে মন্দিরে বুদ্ধের বন্দনায় রত থাকেন। অর্চনার পাশাপাশি তারা পঞ্চশীল, অষ্টশীল, সূত্রপাঠ, সূত্রশ্রবণ, সমবেত প্রার্থনা করেন।
পূর্ণিমার চাঁদের আলোয় বোধি বৃক্ষতলে জগৎ আলোকিত করে মানবমুক্তির পথ বের করেন মহামতি গৌতম। লাভ করেন বুদ্ধত্ব। কপিলাবস্তু থেকে শ্রাবস্তী, বৈশালী, চুনার, কৌশাম্বী, কনৌজ, মথুরা, আলবী (বর্তমান নেপাল, ভারত, ভুটান, পাকিস্তান, আফগানিস্তান) প্রভৃতি বহু জায়গায় তিনি ৪৫ বছর ধর্মপ্রচার করেন।
জীবনের শেষ অধ্যায়ে তিনি রাজগৃহ থেকে কুশীনগর গমন করেন। কুশীনগরের কাছে পাবা নগরে উপস্থিত হয়ে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি মল্লদের শালবনে শালগাছের নিচে শয়ন করেন।
তখন আকাশে বৈশাখী পূর্ণিমার চাঁদ উঠেছে। আলোয় চারদিক উদ্ভাসিত। অনন্ত আকাশের নিচে যুগ্ম শালবৃক্ষের নিচে সমবেত শিষ্যগণ। তিনি উচ্চারণ করেন মহাবাণী- উৎপন্ন দ্রব্য মাত্রেরই বিনাশ অবশ্যম্ভাবী, অপ্রমত্ত হয়ে কর্তব্য সম্পাদন কর।
বৈশাখী পূর্ণিমাতেই ৮০ বছর বয়সে বুদ্ধ লাভ করেন মহাপরিনির্বাণ। বুদ্ধের মূলমন্ত্র- ‘সব্বে সত্তা সুখিতা ভবন্তু/জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক’।
বুদ্ধ বলেছেন, জগতে কর্মই সব। মানুষ তার কর্ম অনুসারে ফল ভোগ করবে। ভাল কাজ করলে ভাল ফল এবং খারাপ কাজের জন্য খারাপ ফল পাবে। কর্মানুসারে মানুষ অল্প আয়ু, দীর্ঘ আয়ু, জটিল ব্যাধিগ্রস্ত, নীরোগ, বিশ্রী-সুশ্রী, সুখী-দুঃখী, উঁচু-নিচু, জ্ঞান-মূর্খতা ইত্যাদি প্রাপ্ত হয়। মানুষ কর্মের অধীন।
নিউজ স্টারডম এর পক্ষ থেকে সকল বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
Be First to Comment