জন্মদিনে স্মরণঃ জ ন ডে ন ভা র
বাবলু ভট্টাচার্য : ‘কান্ট্রি রোডস টেক মি হোম/ টু দ্য প্লেস আই বিলং’- গানটি বেজে উঠলেই মনে হয় ভার্জিনিয়া এলাকার রুক্ষ শুষ্ক পাথুরে পথ চলে গিয়েছে এঁকেবেঁকে আর সেই পথে ঘুরে বেড়াতে বেড়াতে গানটা গাইছে এক নগর বাউল।
কেবল কান্ট্রি রোডস কিংবা অ্যানি’স সং-ই তো নয়, ‘লাভিং অন আ জেট প্লেন’, ‘পারহ্যাপস লাভ’, ‘পোয়েমস, প্রেয়ারস অ্যান্ড প্রমিজেস’, ‘হোয়াটস অন ইউর মাইন্ড’, ‘সানসাইন অন মাই শোল্ডারস’, ‘ফ্লাই অ্যাওয়ে’, ‘ইজ ইট লাভ’ ইত্যাদি জনপ্রিয় গানগুলির কথা, সুর ও কন্ঠে ছিলেন জন ডেনভার।
বিমান বাহিনীর পাইলট বাবা আর গৃহিণী মা-এর অনুপ্রেরণায় জন গানের জগতে আসেন।
১২ বছর বয়সে একটি অ্যাকুয়েস্টিক গিটার উপহার পান দাদীর কাছ থেকে। এরপর থেকে শুধু গিটারের সঙ্গেই তাঁর সখ্যতা।
গায়ক হিসেবে ডেনভারের দুনিয়া জোড়া খ্যাতি হলেও তিনি ছিলেন একাধারে কবি, অভিনেতা, ফটোগ্রাফার, গীতিকার এবং শখের বৈমানিক।
১৯৭৭ সালে ‘ওহ্ গড’ চলচ্চিত্রে তাঁকে অভিনয় করতে দেখা গেছে।
উপস্থাপনাও করতেন জন ডেনভার। মোট ৫ বার গ্রামি অ্যাওয়ার্ডের হোস্ট হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। ১৯৭৫ এ কান্ট্রি মিউজিক অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে তাঁকে ‘এন্টারটেইনার অফ দ্য ইয়ার’ পুরস্কার দেয়া হয়।
ছবি আঁকা এবং ছবি তোলা ছিল তাঁর শখ। ছোটবেলা থেকেই খোলা আকাশটা তাঁর প্রিয়। সঙ্গীতের পরে প্লেনে করে ঘুরে বেড়ানোটা ছিলো তাঁর অন্যতম শখ।
জনের মৃত্যুটাও হয়েছিল প্লেন ওড়াতে গিয়েই। ১৯৯৭ সালের ১২ অক্টোবর জন তাঁর নিজস্ব প্লেনটি নিয়ে প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় দুর্ঘটনা কবলিত হয়ে মারা যান।
জন ডেনভার ১৯৪৩ সালের আজকের দিনে (৩১ ডিসেম্বর) নিউ মেক্সিকোর রোজওয়েলে জন্মগ্রহণ করেন।
Be First to Comment