Press "Enter" to skip to content

“গরম থেকে বাঁচুন” নিয়ম মেনে চলুন সুস্থ থাকবেন…।

Spread the love

ডাঃ সুদীপ চৌধুরী, মেদিনীপুর, ১৫ মে, ২০২৫। (চিকিৎসক ও ফ্যাকাল্টি মেদিনীপুর হোমিওপ্যাথি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল)। কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী মান্না দে গেয়েছিলেন প্রখর দারুন অতি দীর্ঘ দগ্ধ দিন! যেভাবে মার্চের শুরু থেকেই “গ্ৰীষ্মের দাবদাহ আরম্ভ হয়েছে ভারতবাসী আতঙ্কিত। কেন্দ্রীয় সরকার ও সমস্ত রাজ্যকে তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা পাঠিয়েছেন। ব্যতিক্রম নয় পশ্চিমবঙ্গ বিশেষ করে কলকাতা সহ সমগ্ৰ দক্ষিণবঙ্গ, পশ্চিমাঞ্চল । কাজের প্রয়োজনে সাধারণ মানুষকে রাস্তায় বেরোতেই হবে। স্কুল,কলেজ, আদালত, ব্যবসা, বানিজ্য সবই চলবে। যেভাবে সারা বিশ্বে উষ্ণায়ন বেড়েই চলেছে তাতে গবেষকরাও চিন্তিত। ইলেকট্রিক -এর অতিব্যবহার , এ.সি-র ব্যবহার, বৃক্ষরোপণ না করা, বায়ু দূষণ পরিবেশ দূষণ প্রতিবছর অতি দাবদাহের অন্যতম কারণ।
এই গ্ৰীষ্মের দাবদাহের কারণে বায়ুবাহিত সংক্রমণ-সহ নানা ধরনের ইনফেকশন মাথাচাড়া দেয়। এই সময় ডি-হাইড্রেশন থেকে শরীর দুর্বল থাকে, ইমিউনিটি কম থাকে, সমস্যা বাড়ে। তাই গরমে সুস্থ থাকতে কিছু জিনিস মেনে চলুন।
★ হালকা সুতির পোশাক পরুন । ঢিলেঢালা পোশাক পরুন।
★ প্রয়োজন ছাড়া সকাল ১১ টা থেকে বিকাল ৪ টে রৌদ্রে বের হবেন না।
★ রোদে বেরোলে ছাতা বা টুপি ব্যবহার করুন।
★ রোদ চশমা নিন।
★ ভিজে রুমাল, গামছা, তোয়ালে সঙ্গে রাখুন।
★ দিনে ২ বেলা ভালো করে ঠান্ডা জলে স্নান করুন।
★ মাঝে মাঝে মুখ, চোখ, মাথা, ঘাড়ে জলের ঝাপটা দিন।
★ ট্যালকম পাউডার এড়িয়ে চলুন, এতে লোমকূপ বন্ধ হয়ে ঘাম বের হতে পারে না।
★ বাইরে থেকে ফিরে ঠান্ডা জল বা স্নান নয়, আগে শরীর ঠাণ্ডা করুন।
★ সহজ পাচ্য খাবার খান। দই , ঘোল, লস্যি, ফলের রস, ছাতু, বেলের শরবত, পাতলা ঝোল, পাতলা ডাল, টাটকা ফল, স্যালাড রাখুন। ডাব, শশা, তরমুজ, ফুটি, খরমুজ পারলে খান।
★ রোজ ৩ লিটার জল পান করুন। কিডনি বা হার্টের সমস্যা থাকলে ডাক্তারের পরামর্শে জল পান করুন।
★ বাইরের জল, কাটা ফল, রাস্তার ধার থেকে ফলের রস খাওয়া চলবে না।
★ কার্বোনেটেড নরম পানীয়, অ্যালকোহল এবং তেল মশলাযুক্ত খাবার নিয়ন্ত্রণ করুন।
★ ডায়াবেটিস, রক্তচাপ-এর রোগী এবং শিশু-বয়স্কদের প্রতি যত্নশীল হবেন।
★ এই সময় ডি-হাইড্রেশন-এর জেরে মাংসপেশীতে টান ও খিঁচুনি হয়। ও.আর.এস সেবন করুন ও ঠান্ডা থাকুন।
★ হিট-স্ট্রোক গরমে মারাত্মক ও প্রাণঘাতী। ভায়াবহ দূর্বলতা, আচমকা খিঁচুনি, সংজ্ঞা হারানোর সাথে শরীরের তাপমাত্রা ১০৪ ডিগ্ৰী ফারেনহাইট পেরিয়ে যায়। মানসিক ভারসাম্য ঠিক থাকে না। অবিলম্বে  স্থানীয় হাসপাতালে যোগাযোগ করবেন। রাস্তায় বের হলে জল সাথে রাখুন।
★ মারাত্মক গরমে শরীর খারাপ লাগলে ঘাড়ে, মুখে, মাথায় জল দিন, ও.আর.এস খান। রোদ লেগে জ্বর হলে প্যারাসিটামল বা অ্যাসপিরিন জাতীয় ওষুধ খাবেন না প্রথমেই। তাপমাত্রা কমাতে জল, বরফ, পাখার সাহায্য নেবেন। ঝুঁকি না নিয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন।
★ যতটা সম্ভব রাস্তার খাবার, রেস্টুরেন্টের খাবার এড়িয়ে চলুন। ভালো থাকুন, ভালো রাখুন, সুস্থ থাকুন। গাছ লাগান, প্রাণ বাঁচান।

More from HealthMore posts in Health »
More from InternationalMore posts in International »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Mission News Theme by Compete Themes.