মোল্লা জসিমউদ্দিন : কলকাতা, রাজ্যে সমস্ত গণপরিবহণে মহিলাদের নিরাপত্তায় সিসিটিভি এবং হেল্পলাইন চালু করা যায় কিনা? তা জানতে রাজ্যের অভিমত জানতে চায় কলকাতা হাইকোর্ট। গত ২৩ জুলাই কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্ডাল এবং বিচারপতি অরিজিত বন্দ্যোপাধ্যায় এর ডিভিশন বেঞ্চে এই বিষয়ক দুটি পিটিশনের শুনানি চলে। সেখানে মহিলাদের উপর সুরক্ষা দিতে রাজ্যের সরকারি, বেসরকারি বাস সহ ট্যাক্সি গুলিতে সিসিটিভি লাগানো সহ হেল্পলাইন চালু করা যায় কিনা, তা আগামী ১২ আগস্টের মধ্যে রাজ্য কে হলফনামা আকারে জমা দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিটর জেনারেল এবং রাজ্যের এডভোকেট জেনারেল কে এখনও পর্যন্ত মহিলাদের নিরাপত্তায় কি কি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে তাও জানাতে বলা হয়েছে। রেণু প্রধান নামে এক মহিলা এই বিষয়ে জনস্বার্থ মামলা দাখিল করেন। তাঁর দাবি – ‘ গণপরিবহণে মহিলাদের শ্লীলতাহানি প্রায়সই ঘটে। ঘটনা ঘটার সময় প্রয়োজনীয় সাহায্য পাওয়া যায়না।আবার অভিযুক্ত কে চিহ্নিতকরণের ক্ষেত্রে পুলিশকেও বেগ পেতে হয়।তাই এক্ষেত্রে সরকারি বেসরকারি বাস সহ ট্যাক্সি গুলিতে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো এবং হেল্পলাইন চালু করতে হবে।তাহলে অনেকটাই মহিলাদের নিরাপত্তা বাড়বে’। অঙ্কন বিশ্বাস নামে আরেক পিটিশন দাখিলকারি আদালতের কাছে জানিয়েছেন – ‘তৃতীয় লিঙ্গের মানুষরাও গণপরিবহনে সুরক্ষিত নন, তারাও অনেক সময় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়ে থাকেন’। গণপরিবহণে আপ আনা হোক সরকারিভাবে।যেখানে চালক সহ গাড়ির অন্যদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য থাকবে। এও দাবি তিনি রেখেছেন আদালতের কাছে। উদাহরণ হিসাবে তিনি ক্যাব পরিষেবায় গাড়ির নাম্বার, হেল্পলাইন, জিপিএস পদ্ধতির উল্লেখ রেখেছেন। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্ডালের এজলাসে এই মামলার শুনানি সময় আদালত জানায় – ‘ দেশের অন্য বেশকিছু রাজ্যে এই পরিষেবা চালু রয়েছে। এই রাজ্যে তা চালু করা যায় কিনা, তা রাজ্য কে আগামী ১২ আগস্টের মধ্যে হলফনামা আকারে জমা দিতে হবে ‘। পাশাপাশি বেশকিছু প্রস্তাবনা রাজ্যের কাছে রেখেছে আদালত। শিশুপাঠ্য বইয়ে এই বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে রাজ্য কে।











Be First to Comment