সুজিৎ চট্টোপাধ্যায় : কলকাতা, ১০ মার্চ, ২০২২। আজ ১০ মার্চ বৃহস্পতিবার বিকেলে মধ্য কোলকাতার পার্ক হোটেলে মাইক্রো, স্মল ও মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজেস ডেভলপমেন্ট ফোরামের বাংলা সংগঠনের নব নিযুক্ত সভানেত্রী ড : মমতা বিনানীর সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানের প্রেক্ষিতে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো। প্রদীপ জ্বালিয়ে সংগঠনের অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন সর্বভারতীয় এম এস এম ই ডেভলপমেন্ট ফোরামের চেয়ারম্যান রজনীশ গোয়েঙ্কা, নবনিযুক্ত পশ্চিমবঙ্গ সংগঠনের সভানেত্রী ড: মমতা বিনানী, ন্যাশানাল স্মল ইন্ডাস্ট্রিস করপোরেশন মুখ্য অধিকর্তা সুরেশ কারমালি, কলকাতা সংগঠনের যুগ্ম অধিকর্তা দেবব্রত মিত্র, সংগঠনের বাংলার সাধারণ সম্পাদক প্রমোদ কুমার গোয়েঙ্কা, সংশ্লিষ্ট দফতরের ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার সহ সাধারণ সচিব সিদ্ধার্থ মণ্ডল, সংগঠনের সহ সভানেত্রী প্রজ্ঞা ঝুনঝুনওয়ালা , জ্যেষ্ঠ সহ সভাপতি সঞ্জীব সাংঘি ও সংগঠনের অন্যতম সদস্য কে কে সিংহানিয়া এবং অন্যান্যরা।
সর্বভারতীয় এই এন জি ও র প্রতিষ্ঠাতা রজনীশ গোয়েঙ্কা বলেন, মমতা নামটির মধ্যে একটা মাহাত্ম্য আছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাজ দেখলেই সেটা বোঝা যায়। আমাদের সৌভাগ্য আমরাও পেয়েছি একজন মমতাকে। মমতা বিনানী। মমতাদি ইনস্টিটিউট অফ কোম্পানি সেক্রেটারিজ অফ ইন্ডিয়ার ২০১৬ সালের প্রাক্তন জাতীয় সভানেত্রী। এই সংগঠনের ৫০ বছরের ইতিহাসে মমতা বিনানী ছিলেন দ্বিতীয় সভানেত্রী। এই সংগঠনের জাতীয় কার্যালয় দিল্লিতে। আঞ্চলিক সংগঠন আছে চারটি। দিল্লি, চেন্নাই, কলকাতা ও মুম্বাইতে। সংগঠনের সদস্য সংখ্যা এখন প্রায় ৪০ হাজার। মমতা বাণিজ্য বিভাগের স্নাতক, এল এল বি। অত্যন্ত মেধাবী মমতা ছিলেন কোম্পানি সেক্রেটারিজ এর পরীক্ষায় ১৪ তম স্থানাধিকারি। শুধু তাই নয়,মমতা একজন প্রথম পেশাদার অসচ্ছ্বলও ব্যাংক দেউলিয়া সংক্রান্ত বোর্ডের আধিকারিক। পাশাপাশি আরও কিছু সম্মানীয় পদের দায়িত্ব প্রাপ্ত। বেশকিছু জাতীয় স্তরের পুরস্কার বিজয়ী। এত অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একজন বিদুষী নারীর পরিচালনায় কলকাতার সাংগঠনিক কাজ দ্রুত সাফল্যের সাক্ষর রাখবে এব্যাপারে আমি স্থির নিশ্চিত। বাংলায় সংগঠনের পাঁচ বছরের ইতিহাসে আজ এক নতুন ইতিহাসের সূচনা হলো।
সম্বর্ধনার প্রতুত্তরে সংগঠনের নবনিযুক্ত সভানেত্রী মমতা বিনানী বলেন, এক মহান দায়িত্ব আমার কাঁধে এসেছে। দেশে প্রায় ৭ কোটি ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পদ্যোগী আছেন। এঁদের পরিবার পিছু পাঁচজন ধরলে এবং কিছু কর্মী ধরলে প্রায় ষাট কোটি মানুষ জড়িত। হিসেবে ধরা যায় ভারতের জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক। এঁদের ঘরে ঘরে আর্থিক সচ্ছ্বলতা এলেই দেশের উন্নতি সম্ভব। কেন্দ্রীয় সরকারের ২০১৮/১৯ সমীক্ষানুযায়ী দেশের ৮শতাংশ জি ডি পি র কৃতিত্ব এঁদেরই। দেশের ৪৫শতাংশ নির্মাণ প্রকল্পের মালিকানার দাবিদার এঁরাই। এঁদের উৎপাদিত পণ্যের ৪০শতাংশই বিদেশে রপ্তানি হয়। সুতরাং ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পদ্যোগীই দেশের মেরুদন্ড। আমরা তিন মাস অন্তর আলোচনা করে আমাদের কাজের পর্যালোচনা করবো। রাজ্যের গ্রামাঞ্চলে সাধারণ ক্ষুদ্র ও ছোট শিল্প উদ্যোগীদের সরকারি প্রকল্প,অনুযায়ী ঋণ গ্রহণ ও শিল্পের প্রসারণের যাবতীয় তথ্য ও সহায়তার কথা বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করবো। সাংবাদিকদের কাছে অনুরোধ, আমাদের কর্মযজ্ঞের কথা আপনারা একটু প্রচার করে সহায়তা করুন ।
কেন্দ্রীয় ক্ষুদ্র শিল্প উদ্যোগের অধিকর্তা সুরেশ কালমারি বলেন, সরকার ২০২০ তেই দেশের এই অংশের শিল্পউদ্যোগীদের জন্য বেশ কিছু উন্নয়নমূলক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সেখানে এই সমাজসেবী সংগঠনের মত সবাইর সহযোগিতায় আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তোলা সম্ভব হবে। আমাদের তরফে সমস্ত সহযোগিতা থাকবে। ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার পক্ষে আগত প্রতিনিধি বলেন, ঋণ দান প্রকল্পে তাঁদের ব্যাংকের সরল সহজ পদ্ধতি দিয়ে সহযোগিতা করা হবে।
উল্লেখ করা যায়, চলতি বছরের ১৬ থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর নতুন দিল্লির লি মেরিডিয়ান হোটেলে এক্সপো অনুষ্ঠিত করতে চলেছে প্রতি বছরের মতো। থাকছে ইভেন্টস, সামিটস্, ওয়ার্কশপস এক্সপোজ ও সেমিনার। এই অনুষ্ঠান দেশে ও বিদেশেও করা হয়। এই এক্সপো র প্রাক মুহূর্তে সংগঠনের পশ্চিমবঙ্গ আঞ্চলিক সভানেত্রী হিসেবে মমতা বিনানীর মনোনয়ন সংগঠনে বিপুল উৎসাহের সৃষ্টি হয়েছে।
Be First to Comment