Press "Enter" to skip to content

কেন্দ্রীয় অর্থ ছাড়া গঙ্গাসাগরের পৌরাণিক মাহাত্ম্য পূর্ণ মহর্ষি কপিল মুনির সাধনার স্থলের এই ঐতিহ্য রক্ষা করা যাবে না – স্বামী পরমাত্মানন্দ….।

Spread the love

নিজস্ব প্রতিনিধি : গঙ্গাসাগর : ১৪ জানুয়ারি ২০২৫। বেনারসের দশনামী সম্প্রদায়ের মধ্যে অন্যতম বিখ্যাত আখড়া পঞ্চায়েতি মহানির্বানি আখড়ার মহামন্ডলেশ্বর এবং পশ্চিমবঙ্গের এই আখড়ার প্রধান এবং কুম্ভ মেলার অন্যতম আহ্বায়ক স্বামী পরমাত্মানন্দ বলেন কেন্দ্রীয় অর্থ ছাড়া গঙ্গাসাগরের পৌরাণিক মাহাত্ম্য পূর্ণ মহর্ষি কপিল মুনির সাধনার স্থলের এই ঐতিহ্য রক্ষা করা,যাবে না। মহাকুম্ভ চলাকালীন স্বামী পরমাত্মানন্দ আজ গঙ্গাসাগর পরিদর্শন করেন এবং পরে তিনি পুরীর গোবর্ধন আশ্রমের শংকরাচার্যের সঙ্গে একটি আলোচনায় বসেন।তিনি বলেন, “আমাদের পঞ্চায়েতি মহানির্বানি আখড়ার পরমাধ্য দেবতা মহর্ষি কপিল মুনি। পঞ্চায়েতি মহানির্বানি আখড়ার পক্ষে আমি তাঁর মন্দিরে পূজা এবং শ্রদ্ধার্ঘ জানাতে এসেছি। আমরা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর প্রশংসা করি যেভাবে তিনি সাগরের এই তীর্থ বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু কেন্দ্র রাজ্য উভয়ের যৌথ উদ্যোগ ছাড়া এই সমুদ্রের ভাঙন রোধ করা যাবে না৷ পুরানের এই হাজার হাজার বছরের ইতিহাস আমাদের ধর্মের এবং সংস্কৃতির মেলবন্ধন।” এই বিষয়ে খুবই শীঘ্রই
পঞ্চায়েতি মহানির্বানি আখড়ার একটি মিটিং বেনারসে হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। ” কুম্ভ মেলার পরই আমরা বসব। প্রয়োজনে একটি প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করব, আমরা শংকরাচার্যদেরও সামিল করব।” পরমাত্মানন্দ বলেন, “ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে সমুদ্রের ভাঙন আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। ভাঙন এলাকা থেকে কপিল মুনির আশ্রমের দূরত্ব কমেছে। ছোট হচ্ছে মেলার মাঠ। ” আমরা এর আগেও আখড়াতে এটা নিয়ে আলোচনা করেছি। “বিভিন্ন ঝড় আছড়ে পড়লেই গঙ্গাসাগরে কপিলমুনির আশ্রমের ৩, ৪ ও ৫ নম্বর মেলার মাঠে কোমর অবধি জল জমে যায়। ঝড়ের তাণ্ডবে সাগরের বেশ কিছু জায়গায় গাছ ভেঙে পড়েছে, কমেছে ঝাউ গাছ। ক্রমেই পর্যবরন নস্ট হচ্ছে। ” জেলার এক আধিকারিক জানিয়েছেন যে, গত বছর আমরা ট্রেটাপট ব্যবহার করেছিলাম ভাঙন রোধের জন্য। কিন্তু তা পুরোপুরি সফল হয়নি। পরে আমরা আবার পাড় বাঁধিয়েছি। কিন্তু প্রকৃতির উপরে তো কারও হাত নেই। আমরা চেষ্টা করছি, মানুষের পাশে থাকার জন্য। যাতে পুণ্যার্থীরা কোনও সমস্যায় না পড়েন। যেখানে সমস্যা আছে, সেখানে স্নানে বারণ করা আছে। অন্যান্য ঘাটগুলিতে স্নান চলছে। স্থায়ী সমাধানের জন্য ভাবনা-চিন্তা হচ্ছে।’’

তথ্য সহায়তা ও ছবি সুবল সাহা।

More from CultureMore posts in Culture »
More from GeneralMore posts in General »
More from InternationalMore posts in International »
More from SocialMore posts in Social »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Mission News Theme by Compete Themes.