Press "Enter" to skip to content

কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে মউ স্বাক্ষর, আন্তর্জাতিক গবেষণা হবে বাংলা ভাষা নিয়ে….।

Spread the love

নিজস্ব প্রতিনিধি : কল্যাণী, ১২ জুলাই, ২০২৪। বাংলা ভাষার প্রয়োগগত বৈচিত্রকে সামনে রেখে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে শুক্রবার শেষ হল তিন দিনের কর্মশালা। বাংলা ভাষার অবস্থান বর্তমান সমাজে জোরালো হচ্ছে না কি ক্রমশ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে? কর্মশালার উদ্বোধনে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক অমলেন্দু ভুঁইয়া জানিয়েছিলেন, “আড্ডা, সাহিত্য, সিনেমা, সোশ্যাল মিডিয়া, বেতার, সংবাদপত্র, টিভি বা গবেষণায় বাংলা ভাষার ভিন্ন ভিন্ন রূপ। সেই ভিন্নতা বাংলা ভাষাকে কখনও বিচ্ছিন্ন করছে কখনও বা ঋদ্ধ করে চলেছে।” কর্মশালার শেষ দিনে আজ উপাচার্য গবেষক ও ছাত্রছাত্রীদের হাতে শংসাপত্র তুলে দিয়ে বাংলা ভাষার প্রয়োগগত দিক নিয়ে আই.এল.এস.আর কর্তৃপক্ষের কাছে মউ চুক্তির প্রস্তাব দেন।
কর্মশালার প্রধান বক্তা ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার। তিনি জানান, “আমরা এতদিন যে বাংলা পড়েছি সেটা মূলত সাহিত্যের বাংলা। এখন দেখা যাচ্ছে, সেটা যথেষ্ট নয়। তাই চাকরি-বাকরির ক্ষেত্রে কর্মশালাটি খুবই কার্যকরী। এতে ছাত্রছাত্রীদের কর্মজীবনের নতুন পথ খুলে যাবে বলেই আমার বিশ্বাস।” সমাজ ও জীবনযাপনে বাংলা ভাষার প্রয়োগগত দিকের এত গুরুত্ব তা প্রত্যেকের বক্তৃতাতেই স্পষ্ট। সে কারণেই বাংলা বিভাগের ভাষা বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক সুখেন বিশ্বাস, অধ্যাপক সঞ্জিৎ মণ্ডল ও ড. শ্যামশ্রী বিশ্বাস সেনগুপ্ত আগামী বছর থেকে এই ধরনের কর্মশালা সপ্তাহব্যাপী করার কথা জানান। উল্লেখ্য মুখের ভাষা, প্রযুক্তি ও গণমাধ্যমে ব্যবহৃত বাংলা ভাষার বিভিন্ন রূপ নিয়ে বাংলা বিভাগের তৈরি একটি প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন উপস্থিত সকলে।
দিন দিন বাংলা ভাষার বিবর্তন ঘটছে। খিস্তি, আড্ডা বা সোশ্যাল সাইটের বাংলা ভাষা মান্য ভাষার থেকে কেন আলাদা হয়ে যায়? এও কি শুদ্ধ বাংলা? গবেষকদের এ প্রশ্নের উত্তরে বক্তা অর্ক দেব ও সংহিতা সান্যাল দর্শন ও মনস্তত্ত্বের প্রসঙ্গ টেনে আনেন। প্রাবন্ধিক সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, “স্কুল বা কলেজ নয়—বাংলা ভাষার প্রয়োগগত দিক মানুষ শিখছে সামাজিক বা অপ্রাতিষ্ঠানিক মাধ্যম থেকে। আমাদের উচিত বাংলার প্রয়োগগত ক্ষেত্রে আঞ্চলিকতাকে গুরুত্ব দেওয়া।” কর্মশালার অন্যতম বক্তা সাহিত্যিক সিজার বাগচী আবার মুখের ভাষাকেই প্রয়োগের সপক্ষে দাবি তোলেন। অন্যদিকে আই.এল.এস.আর-এর ডিরেক্টর অধ্যাপক স্বাতী গুহ বাংলা ভাষার সুখ ও দুঃখের মধ্যে একটা চিন্তাসূত্র খুঁজে পান। উদ্যোক্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক সাবিত্রী নন্দ চক্রবর্তী, অধ্যাপক প্রবীর প্রামাণিক, অধ্যাপক নন্দিনী বন্দ্যোপাধ্যায় ড. তুষার পটুয়া, ড. পীযূষ পোদ্দার, ড. সীমা সরকার প্রমুখ।

More from EducationMore posts in Education »
More from InternationalMore posts in International »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Mission News Theme by Compete Themes.