Press "Enter" to skip to content

কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে মৎস্যবিজ্ঞান উন্নয়নে মউ স্বাক্ষরিত হল কল্যাণী ও লখনউ-এর মধ্যে তৈরি হবে অভয় পুকুর….।

Spread the love

গোপাল দেবনাথ : কল্যাণী, ২৩ মে ২০২৫, কথায় আছে মাছে ভাতে বাঙালি। মাছ নিয়ে আলোচনা হবে আর এই বাংলার নাম থাকবে না এটা কখনোই সম্ভবপর হবে না। মৎস্যবিজ্ঞান আধুনিক কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা হিসেবে বহুকাল ধরে বিবেচিত। এই শাখার উন্নয়নের মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা, পুষ্টি, কর্মসংস্থান এবং রপ্তানি আয়ের ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব অগ্রগতি সাধন ও সম্ভব হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের কল্যাণী ও উত্তর প্রদেশের লখনউ শহর দুটি এই ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখছে। গবেষণা, প্রযুক্তি স্থানান্তর ও শিক্ষাক্ষেত্রে দুই শহরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান মৎস্যবিজ্ঞান উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে। এই সূচনাটি সেই অবদান ও উদ্যোগসমূহের এক সংক্ষিপ্ত পরিচিতি তুলে ধরবে।
কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় ও লখনউ-এর মৎস্য গবেষণা কেন্দ্র আইসিএআর-এনবিএফজিআর-এর মধ্যে পাঁচ বছরের জন্য একটি মউ স্বাক্ষরিত হয়েছে। “এই চুক্তি বিলুপ্তপ্রায় মৎস্যপ্রজাতি সংরক্ষণ ও সেই সংক্রান্ত গবেষণায় সাহায্য করবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী, গবেষক, অধ্যাপকেরা বহুলভাবে উপকৃত হবেন। এর ফলে মৎস্য প্রকল্পের সামগ্রিক উন্নয়ন হবে।” মউ-এ স্বাক্ষর করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কল্লোল পাল এমনই জানালেন উপস্থিত সাংবাদিকদের। এই প্রকল্পে জিনগত প্রযুক্তি ব্যবহার করে উন্নতমানের গবেষণাও সম্ভব হবে বলে মনে করছেন উভয় পক্ষের প্রতিনিধিরা। উল্লেখ্য, বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে কল্যাণীর গবেষক ও অধ্যাপকেরা লখনউ মৎস্য গবেষণা কেন্দ্রে গবেষণা করার সুযোগ পাবেন। মউ স্বাক্ষরের সময় উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক জয়ন্ত কুমার বিশ্বাস, মউ কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক অংশুমান বাগচি, নিবন্ধক অধ্যাপক দেবাংশু রায়, অর্থ আধিকারিক শ্রী মৃদুল কুণ্ডু, ল’ অফিসার সত্যম বৈদ্য সহ অন্যান্যরা। লখনউ-এর গবেষণা কেন্দ্রের কর্তা ড. কাজল চক্রবর্তী এই চুক্তি সম্পর্কে জানালেন, “কল্যাণী এবং আইসিএআর-এর যুগ্ম নেতৃত্বে একটি ‘অভয় পুকুর’ তৈরি হবে। যেখানে বিভিন্ন বিলুপ্তপ্রায় ও নিত্যনতুন প্রজাতির মৎস্য লালনপালন ও সংরক্ষণ করা হবে।”

More from InternationalMore posts in International »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *