নিজস্ব প্রতিনিধি : কলকাতা, ৪ অক্টোবর, ২০২৪। কলকাতা হাইকোর্টের মিডিয়েশন এবং কনসলিডেশন কমিটি পরিচালিত মিডিয়েশন প্রশিক্ষণে সূযোগ পেলেন পূবের কলম পত্রিকার আইনী সংবাদদাতা মোল্লা জসিমউদ্দিন (টিপু)। এবার রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের ২৮ জন মিডিয়েটর প্রার্থী হিসাবে প্রশিক্ষণ পাচ্ছেন। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি /বিচারক, সিনিয়র আইনজীবীদের পাশাপাশি একজন সি.এ এবং পূবের কলম পত্রিকার আইনী সংবাদদাতা প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।মোল্লা জসিমউদ্দিন গত ২০০২ সাল থেকে সাংবাদিকতা শুরু করেছেন। একাধারে মফস্বল পত্রিকা ( নুতনহাট বার্তা, নব কাটোয়া বার্তা,কৃষি সমবায় পত্রিকা, এবং পৌষালি, সকলের জন্য, বেঙ্গল ভিউ, নুতন গতি, গলসি বার্তা,মুক্তোবাংলা ) গুলিতে যেমন সাংবাদিকতা করেছেন। ঠিক তেমনি সংবাদ প্রতিদিন, তারা নিউজ, ইটিভি নিউজ, গণমাধ্যম, টাইমস বাংলা,আকবর ই মশরিক, দৈনিক স্টেটসম্যান কাগজে সাংবাদিকতা করেছেন। বর্তমানে তিনি পূবের কলম পত্রিকার আইনী সংবাদদাতা হিসাবে কাজ করে চলেছেন। এর পাশাপাশি টানা ১৪ বছর পূর্ব বর্ধমান জেলার কোগ্রামে পল্লিকবি কুমুদ রঞ্জন মল্লিকের জন্মদিন উপলক্ষে কুমুদ সাহিত্য মেলার আয়োজন করে আসছেন।জসিমউদ্দিনের প্রয়াত বাবা মহম্মদ নুরুল হোদা মোল্লা নিম্ন আদালতে বিচারক হিসাবে টানা ত্রিশ বছর কর্মরত ছিলেন। ১৯৮৩ সালে রাজ্যের জুডিশিয়াল পরীক্ষায় টপারদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন তিনি। কলকাতা হাইকোর্টের মাননীয় বিচারপতি সৌমেন সেন মহাশয়ের নেতৃত্বধীন মিডিয়েশন এবং কনসলিয়েশন কমিটি সারা বছর বিচারাধীন মামলা গুলি বা প্রাক বিচারাধীন বানিজ্যিক মামলাগুলি দু পক্ষের সম্মতিতে নিস্পত্তি ঘটাচ্ছে বলে জানা গেছে । উক্ত কমিটির সদস্য সচিব হিসাবে রয়েছেন শ্রীযুক্ত সঞ্জীব কুমার শর্মা। এবছর বেশ কয়েকটি পর্যায়ে মিডিয়েশন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে কলকাতা উচ্চ ন্যায়ালয়, যাতে প্রায় ১২৫ জন যোগদান করবেন। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি / বিচারক, বর্ষীয়ান আইনজীবীদের পাশাপাশি এবার সমাজের অন্য পেশার ব্যক্তিদের মিডিয়েটর হিসাবে দেখা যাবে।কলকাতা হাইকোর্টের পাশাপাশি রাজ্যের ৭২ টি এডিআর (বিকল্প বিবাদ নিস্পত্তি কেন্দ্র ) সেন্টারে (সদর এবং মহকুমা আদালতে অবস্থিত ) মিডিয়েটররা দু পক্ষ কে নিয়ে শুনানি চালিয়ে থাকেন। দু মাসের সময়সীমা এই মামলা গুলির চুড়ান্ত রিপোর্ট জারি হয়।৷ কলকাতা হাইকোর্টের অরিজিনাল সাইডের ডেপুটি রেজিস্ট্রার ( লিগ্যাল) আর, এবং মিডিয়েশন এবং কনসলিয়েশন কমিটির ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক ড: শুভাশিস মুহুরী জানিয়েছেন – ” এবছর প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রায় ৫০ জন মিডিয়েশন প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। তৃতীয় দফায় ২৮ জন রয়েছেন প্রার্থী হিসাবে। এর সার্বিক লক্ষ হল দু পক্ষের সহমতের ভিক্তিতে দ্রুত মামলার নিস্পত্তি ঘটানো “। জানা গেছে এই মুহূর্তে কলকাতা হাইকোর্টের প্রায় ৩০ টি এবং বিভিন্ন নিম্ন আদালতের ১৫০০ টি মামলা বিচারধীন রয়েছে মিডিয়েশন এবং কনসলিয়েশন কমিটির কাছে।
কলকাতা হাইকোর্টের ‘মিডিয়েশন’ প্রশিক্ষণে সূযোগ পেলেন পূবের কলম পত্রিকার আইনী সংবাদদাতা মোল্লা জসিমউদ্দিন…..।

More from GeneralMore posts in General »
- প্রেস ক্লাব কলকাতায় বসন্ত উৎসব…।
- ৩২ তম বর্ষে পদার্পণ করল শ্রী শ্রী শান্তি হরিচাঁদ মন্দিরের বাৎসরিক উৎসব…।
- Navigating End-Stage Kidney Failure: Choosing Between Dialysis and Transplant for a Better Life….
- ‘রঙ দাও হে রঙিলা’ সঙ্গীত ভিডিওর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন…।
- চেন্নাইয়ের বিশ্বখ্যাত লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট হাসপাতাল, রেলা হাসপাতাল, কলকাতায় তাদের প্রথম লিভার রান সফলভাবে আয়োজন করেছে, যার লক্ষ্য লিভারের অসুখ, অঙ্গদানের গুরুত্ব এবং লিভার প্রতিস্থাপনের পর জীবনযাত্রার মান সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা….।
- প্রেস রিলিজ লিভারের অসুখ সারাতে ১০০০ জনেরও বেশি লিভার রোগী, পরিবার এবং জনসাধারণ দৌড়লেন এই লিভার রানে ১৫০ জনেরও বেশি লিভার রোগী এবং তাঁদের পরিবার অংশগ্রহণ করেন। এই লিভার রান আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন রেলা হাসপাতালের সিইও ডাঃ ইলানকুমারন কালিয়ামূর্তি, যিনি এই গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগে তাঁর সহায়তা দান করেন। এই যুগান্তকারী অনুষ্ঠানের লক্ষ্য হল লিভার রোগী, তাঁদের পরিবার এবং জনসাধারণকে একসাথে এনে চিকিৎসা তহবিল সংগ্রহ এবং লিভারের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। এই লিভার রানে ২.৫ কিমি, ৫ কিমি এবং ১০ কিমি, এই তিনটি বিভাগে অংশ ছিল, যেগুলিতে সবধরনের ফিটনেস স্তরের অংশগ্রহণকারীরা অংশগ্রহণ করেছিলেন। ২.৫ কিলোমিটার বিভাগটি মূলত হাসপাতালের লিভার রোগীদের জন্য, যা তাঁদের প্রচুর সহ্যশক্তি, শুরুতেই দ্রুত শনাক্তকরণ এবং চিকিৎসার গুরুত্ব তুলে ধরার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম প্রদান করে। ৫ কিমি এবং ১০ কিমি বিভাগগুলি সাধারণ জনগণের জন্য, যা সমাজের সকল স্তরের মানুষকে এই মহৎ উদ্দেশ্যে সমর্থন জানাতে একসাথে হতে উৎসাহ দেয়। এই অনুষ্ঠান সম্পর্কে বলতে গিয়ে, রেলা হাসপাতালের সিইও ডাঃ ইলানকুমারন কালিয়ামূর্তি বলেন, “কলকাতায় আমাদের প্রথম লিভার রান শুরু করতে পেরে আমরা অত্যন্ত গর্ববোধ করছি। এই অনুষ্ঠানটি আমাদের লিভার রোগী, তাঁদের পরিবার এবং সমাজকে লিভার রোগ, লিভার প্রতিস্থাপনের পর জীবনের মান, অঙ্গদানের তাৎপর্য এবং প্রতিস্থাপনের পর জীবনের মান সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির একটি যৌথ লক্ষ্যে একত্রিত করার সুযোগ করে দেয়।” রেলা হাসপাতালের হেপাটোলজি বিভাগের ডিরেক্টর ডাঃ দীনেশ জোথিমানি বলেন, “লিভারের রোগ বিশ্ব জুড়ে ক্রমশ বেড়ে চলা স্বাস্থ্যহানিতে চিন্তার বিষয়, সারা বিশ্বে ৮০ কোটিরও বেশি মানুষ কোনও না কোনও ধরণের লিভারের রোগে ভুগছেন। কেবলমাত্র ভারতেই, আনুমানিক ৩০% জনসংখ্যা ফ্যাটি লিভার রোগে আক্রান্ত। এটি মূলত জনসাধারণের মধ্যে খুব কম শারীরিক শ্রমের জীবনযাত্রার সঙ্গে সম্পর্কিত। উদ্বেগের বিষয়, লিভার সিরোসিস এবং লিভার ক্যান্সার এখন দেশে মৃত্যুর প্রধান কারণগুলির মধ্যে একটি। শুরুতেই দ্রুত রোগনির্ণয় এবং জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনলে জীবনের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমতে পারে এবং ‘দ্য লিভার রান’-এর মতো ইভেন্টগুলি সচেতনতা বৃদ্ধিতে এবং লিভারের স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়ার জন্য সক্রিয় পদক্ষেপ নিতে মানুষকে অনুপ্রাণিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।” এই লিভার রানের উদ্দেশ্য হল লিভারের রোগ, অঙ্গদানের গুরুত্ব এবং লিভার প্রতিস্থাপনের পর জীবনের মান সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। কলকাতা, ৯ মার্চ ২০২৫: চেন্নাইয়ের বিশ্বখ্যাত লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট হাসপাতাল, রেলা হাসপাতাল, কলকাতায় তাদের প্রথম লিভার রান সফলভাবে আয়োজন করেছে, যার লক্ষ্য লিভারের অসুখ, অঙ্গদানের গুরুত্ব এবং লিভার প্রতিস্থাপনের পর জীবনযাত্রার মান সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা….।
Be First to Comment