নিজস্ব প্রতিনিধি : কলকাতা, ৩০ মে ২০২৫: বিশ্ব তামাকবিরোধী দিবসের আগের দিন ডিসান হাসপাতাল চালু করল এক বিশেষ কর্মসূচি — “মাই লাস্ট সিগারেট”। এই উদ্যোগের লক্ষ্য, যারা ধূমপান বা অন্যভাবে তামাক ব্যবহার করছেন, তাঁদের সাহস আর সহানুভূতির সঙ্গে তামাক ছাড়তে সাহায্য করা। আগামী ৩১শে মে থেকে এই কর্মসূচি শুরু হচ্ছে। ডিসান বিশ্বাস করে, সুস্থ জীবন গড়তে শুধু চিকিৎসা নয়, সচেতনতা এবং পাশে থাকা খুব জরুরি।
তামাকের কারণে হৃদরোগ, ক্যানসার, ফুসফুসের অসুখের মতো বড় বিপদ হয় — প্রতিবছর বহু মানুষ প্রাণ হারান। এই অভ্যাস ছাড়তে চাইলেও অনেকেই একা হয়ে পড়েন। তাই ডিসানের এই উদ্যোগ শুধু প্রচার নয়, এক মানবিক সঙ্গী — যারা তামাক ছাড়তে চান, তাদের জন্য সাহস, তথ্য আর ভালোবাসার সহায়তা।
৩১শে মে থেকে, যেকোনো ব্যক্তি ডিসান হাসপাতালে এসে তামাক ছাড়ার শপথ নিতে পারবেন। তাঁরা একটি ‘অঙ্গীকারের শংসাপত্র’, একটি স্মারক উপহার, এবং যদি এক সপ্তাহ তামাকমুক্ত থাকতে পারেন, তবে বিনামূল্যের স্বাস্থ্য পরীক্ষা প্যাকেজ পাবেন। এটি একটি নতুন জীবনের শুরু — শুধু প্রতীক নয়, বাস্তব এক পরিবর্তনের পদক্ষেপ।
৩০শে মে, ডিসান এক প্যানেল আলোচনার আয়োজন করে, যেখানে বিশিষ্ট চিকিৎসকরা তামাক ছাড়ার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কথা বলেন। অংশ নেন —
ডা. সঞ্জীব কুমার পাত্র (ডিরেক্টর, কার্ডিওলজি), ডা. শ্রেয়া মাল্লিক (মেডিক্যাল অঙ্কোলজিস্ট), ডা. মধু প্রিয়া (পালমোনোলজিস্ট)।
আলোচনার সঞ্চালক ছিলেন ডা. সুজয় রঞ্জন দেব (মেডিক্যাল ডিরেক্টর, ডিসান)।
ডা. সুজয় দেব বলেন, “তামাক শুধু ফুসফুস নয়, হৃদয়, মস্তিষ্ক এবং ভবিষ্যতকে নষ্ট করে দেয়। তামাক ছাড়া যত তাড়াতাড়ি শুরু করা যায়, শরীর তত তাড়াতাড়ি ভালো হতে থাকে। এটা শুধু চিকিৎসা নয়, নিজের জীবনের জন্য এক সাহসী সিদ্ধান্ত। আমরা ডিসানে কাউকে উপদেশ দিতে চাই না, পাশে থেকে সাহস দিতে চাই।”
ডিসান গ্রুপের ডিরেক্টর মিস শাঁওলি দত্ত বলেন, “এই উদ্যোগ শুধু প্রচারণা নয়, মানুষের জীবনের গল্প, সংগ্রাম আর জয়কে তুলে ধরার একটা প্রয়াস। আমরা চাই মানুষ বুঝুক — তামাক ছাড়ার জন্য কখনও দেরি হয় না, এবং কেউ একা নন। আমরা আছি তাদের পাশে।”
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০২৫ সালের থিম হিসেবে রেখেছে — “Unmasking the Appeal: Exposing Industry Tactics on Tobacco and Nicotine Products”। ডিসানের “মাই লাস্ট সিগারেট” কর্মসূচি এই বৈশ্বিক বার্তার সঙ্গেই সুর মিলিয়ে, একটি মানবিক ও সহানুভূতিমূলক উদ্যোগ হিসেবে ব্যক্তিগত আর সমাজের স্বাস্থ্য সচেতনতা গড়ে তুলতে চায়।
Be First to Comment