ফেসিয়ালের বিক্রি বাড়লো ১৫০ শতাংশ।
জয়ন্ত ভৌমিক : কলকাতা, ৩, নভেম্বর, ২০২০। অন্যান্য বছরের সাথে তুলনা করলে এই বছরের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভাবেই আলাদা। এই বছরে করোনা ভাইরাসের অতিমারীর কারণে সাধারণ মানুষ মন খুলে পুজোর আনন্দ উপভোগ করতে পারেন নি। এই অতিমারীর সময়েও সমস্ত রকম ভয়ভীতি কাটিয়ে স্বপরিবারে দূর থেকে দেবী দূর্গা দর্শনে বেরিয়ে ছিলেন অনেকেই। বিশ্বজুড়ে বাঙালির সবচেয়ে প্রিয় দুর্গোৎসব। পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় চেনা মেজাজে দুর্গাপুজো পালন করেছে মাত্র কয়েকদিন আগে। আর সেইসময় অতিমারির জন্য নানারকম বিধিনিষেধের কারণে কলকাতায় সালোন ও পুরুষদের গ্রুমিং অ্যান্ড ক্লিনিং পরিষেবার বুকিং লাফিয়ে বেড়েছে। আজকের যেটা ‘আর্বান কোম্পানি’ (পূর্বে নাম ছিল আর্বানক্ল্যাপ) -র রিপোর্ট বলছে সামগ্রিক সালোন পরিষেবা তার আগের সপ্তাহের চেয়ে পুজোর সময় ১২৮% বেড়েছে। উৎসবের মরসুমে মানুষ ঘরদোর ঝকঝকে করে ফেলতে চাইছেন বলে গত সপ্তাহে ঘর পরিষ্কার পরিষেবাও ২৯% বেড়েছে। গত বছরের তুলনায় পুজোর সময় এই পরিষেবার সামগ্রিক চাহিদাও ৩০% বেড়ে গেছে। অন্য একটি জনপ্রিয় পরিষেবা হিসাবে উঠে এসেছে ফেশিয়াল। আগের সপ্তাহের চেয়ে পুজোর সময় ফেশিয়াল সম্বন্ধিত ডেলিভারি ১৫০% এরও বেশি বেড়ে গেছে। রোল-অন ওয়্যাক্সিংও জনপ্রিয় হয়েছে এবং আগের সপ্তাহের চেয়ে চাহিদা বেড়েছে। পুরুষদের গ্রুমিং ও চুল কাটার পরিষেবাতেও বৃদ্ধি এসেছে। আগের সপ্তাহের চেয়ে ডেলিভারি বেড়েছে ২৯%। আর্বান কোম্পানি যেসব পরিষেবা দেয়, তার মধ্যে বাড়িতে পাওয়া যায় এমন পরিষেবাগুলোর ক্রেতার সংখ্যা বেড়ে যাওয়া সম্বন্ধে প্রতীক মুখার্জি, ডিরেক্টর মার্কেটিং, বলেন: “দুর্গাপুজোর সময় ক্রেতারা উৎসবের জন্য ফিটফাট থাকতে চান। বিশেষ করে এ বছর, যেহেতু খুব একটা জাঁকজমক করা যাচ্ছে না। গতবারের পুজোর তুলনায় আমরা কলকাতায় আমাদের পরিষেবার সামগ্রিক চাহিদায় এবার ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি লক্ষ্য করেছি। আমাদের ধারণা বাড়িতে পাওয়া পরিষেবার চাহিদা বেশি থাকার এই প্রবণতা পুরো উৎসবের মরসুমেই বজায় থাকবে।” বাড়ি থেকে কাজ করার ধারা বজায় থাকার ফলে পুরুষরা গ্রুমিং-এ তাঁদের মহিলা সঙ্গীদের সমান নজর দিচ্ছেন। গ্রুমিং-এর জন্য বাড়ির বাইরে বেরনো যেহেতু অসুবিধাজনক, বিপজ্জনক এবং সময়সাপেক্ষ — সেহেতু আর্বান কোম্পানির সুরক্ষিত, দ্রুত ও পেশাদার পরিষেবার চাহিদায় অভূতপূর্ব বৃদ্ধি হয়েছে। ব্যবসার উপরে উল্লিখিত পরিসংখ্যান তারই শুভ সংকেত। পুরুষ ও মহিলাদের চাহিদার অনুপাত ৫০:৫০। মহিলারা যে পরিষেবা প্রধানত নিয়েছেন সেটা হল সালোন। অন্য দিকে পুরুষরা প্রধানত চুল কাটা এবং গ্রুমিং পরিষেবা নিয়েছেন। এছাড়া ঘর পরিষ্কার করার পরিষেবার চাহিদাও ছিল যথেষ্ট।
উৎসবের মরসুম এখনো চলছে বলে আর্বান কোম্পানি আশা করছে বাড়িতে পাওয়া পরিষেবার চাহিদা এখন এরকমই থাকবে। উপরে উল্লিখিত পরিষেবাগুলো ছাড়াও গত সপ্তাহে মাসাজের বুকিং বেড়েছে। দুর্গাপুজোর সময় ১৬% বেড়েছে, আর গত বছরের তুলনায় এই বৃদ্ধি ২০%।

Be First to Comment