গোপাল দেবনাথ – আধুনিক সমাজ জীবনে ভালোভাবে বসবাস করতে গেলে যেমন ফ্ল্যাট বাড়ির প্রয়োজন হয় ঠিক তেমনই কর্মজীবনে অফিসেরও প্রয়োজন হয়। এই বাড়ি ও অফিস কে মনের মতো করে সাজাতে গেলে চাই সুন্দর আসবাবপত্র। আজকের দিনে শহর কলকাতায় সুন্দর ও আধুনিক আসবাবপত্রের নতুন রিটেল স্টোর “রয়্যালওক”। ভি আই পি রোডের ওপর কৈখালীতে ১০০০০স্কোয়ার ফুটের এই মনোরম শোরুমের শুভ উদ্বোধন করেন বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় নায়ক আবীর চাটার্জ্জী। সারা ভারতবর্ষে ৫৮টি স্টোর থাকলেও কলকাতায় এই প্রথম। কলকাতায় অন্যান্য আসবাবপত্রের শোরুম থাকলেও এই স্টোরের মতো এতো রকমের আসবাবপত্র পাওয়া যাবেনা বলে জানিয়েছেন সংস্থার চেয়ারম্যান শ্রী বিজয় এস। এই স্টোরে আন্তর্জাতিক মানের আসবাবপত্র পাওয়া যাবে। সবই বিদেশ থেকে আমদানি করা। এই সংস্হার আমদানিকৃত ১৫০০ধরণের বৈচিত্রে ভরা আসবাব সামগ্রী এই দেশের ৫৮টি খুচরো বিক্রির দোকানে অনায়াসে পেয়ে যাবেন ক্রেতারা। দাম একদমই নাগালের মধ্যে বলে জানলেন এই সংস্হার ম্যানেজিং ডিরেক্টর শ্রী মাথান এস। শ্রী বিজয় এস মনে করিয়ে দিলেন আমাদের সব শোরুমের আসবাবপত্র আমদানি করা হয় আমেরিকা, জার্মানী, ইতালি, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, তুর্কি এবং চীন থেকে। ক্রেতারা চাইলে একবারে পকেট খালি না করেও মাসে মাসে কিস্তি তে কেনার সুযোগ পাবেন। শ্রী মাথান বলেন ভারতবর্ষের ছয় রাজ্যে ১০ টি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় আসবাবপত্র মজুত রাখার জন্য আন্তর্জাতিক মানের ওয়্যারহাউজ আছে। এই ওয়্যার হাউজ গুলি রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, কর্ণাটক, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানা। অভিনেতা আবীর চ্যাটার্জী ফিতে কেটে এবং প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে শোরুমের শুভ উদ্বোধন করেন। সাথে ছিলেন এই শোরুমের কর্ণধার শ্রেয়ান ঝুনঝুনওয়ালা, প্রমোদ ঝুনঝুনওয়ালা এবং শোরুম ম্যানেজার সন্দীপ পাত্র। পুরো শোরুমটি ঘুরে দেখেন আবীর এবং উচ্ছাস প্রকাশ করে বলেন এত ভালোমানের ও সুন্দর ডিজাইনের আসবাবপত্র খুব বেশী নজরে পড়েনা। তিনি আরও বলেন আমরা যে জায়গাটা বেশিরভাগ সময় ব্যবহার করি সেই জায়গার আসবাবপত্র নয়নাভিরাম ও আরামদায়ক হওয়া একান্ত প্রয়োজন। তাহলে কাজের মানের সাথে জীবনযাত্রার মানের উন্নতি অবশ্যম্ভাবী। বর্তমানে ক্রেতারা চাইলেই কেনাকাটায় বহু শতাংশে ছাড়ে কেনার সুযোগ নিতে পারেন বলে জানালেন কতৃপক্ষ।
কলকাতায় আন্তর্জাতিক মানের আসবাবপত্রের শোরুম “রয়্যালওক” এর শুভ উদ্বোধনে আবীর চাটার্জ্জী
More from GeneralMore posts in General »
- প্রেস ক্লাব কলকাতায় বসন্ত উৎসব…।
- ৩২ তম বর্ষে পদার্পণ করল শ্রী শ্রী শান্তি হরিচাঁদ মন্দিরের বাৎসরিক উৎসব…।
- Navigating End-Stage Kidney Failure: Choosing Between Dialysis and Transplant for a Better Life….
- ‘রঙ দাও হে রঙিলা’ সঙ্গীত ভিডিওর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন…।
- চেন্নাইয়ের বিশ্বখ্যাত লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট হাসপাতাল, রেলা হাসপাতাল, কলকাতায় তাদের প্রথম লিভার রান সফলভাবে আয়োজন করেছে, যার লক্ষ্য লিভারের অসুখ, অঙ্গদানের গুরুত্ব এবং লিভার প্রতিস্থাপনের পর জীবনযাত্রার মান সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা….।
- প্রেস রিলিজ লিভারের অসুখ সারাতে ১০০০ জনেরও বেশি লিভার রোগী, পরিবার এবং জনসাধারণ দৌড়লেন এই লিভার রানে ১৫০ জনেরও বেশি লিভার রোগী এবং তাঁদের পরিবার অংশগ্রহণ করেন। এই লিভার রান আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন রেলা হাসপাতালের সিইও ডাঃ ইলানকুমারন কালিয়ামূর্তি, যিনি এই গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগে তাঁর সহায়তা দান করেন। এই যুগান্তকারী অনুষ্ঠানের লক্ষ্য হল লিভার রোগী, তাঁদের পরিবার এবং জনসাধারণকে একসাথে এনে চিকিৎসা তহবিল সংগ্রহ এবং লিভারের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। এই লিভার রানে ২.৫ কিমি, ৫ কিমি এবং ১০ কিমি, এই তিনটি বিভাগে অংশ ছিল, যেগুলিতে সবধরনের ফিটনেস স্তরের অংশগ্রহণকারীরা অংশগ্রহণ করেছিলেন। ২.৫ কিলোমিটার বিভাগটি মূলত হাসপাতালের লিভার রোগীদের জন্য, যা তাঁদের প্রচুর সহ্যশক্তি, শুরুতেই দ্রুত শনাক্তকরণ এবং চিকিৎসার গুরুত্ব তুলে ধরার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম প্রদান করে। ৫ কিমি এবং ১০ কিমি বিভাগগুলি সাধারণ জনগণের জন্য, যা সমাজের সকল স্তরের মানুষকে এই মহৎ উদ্দেশ্যে সমর্থন জানাতে একসাথে হতে উৎসাহ দেয়। এই অনুষ্ঠান সম্পর্কে বলতে গিয়ে, রেলা হাসপাতালের সিইও ডাঃ ইলানকুমারন কালিয়ামূর্তি বলেন, “কলকাতায় আমাদের প্রথম লিভার রান শুরু করতে পেরে আমরা অত্যন্ত গর্ববোধ করছি। এই অনুষ্ঠানটি আমাদের লিভার রোগী, তাঁদের পরিবার এবং সমাজকে লিভার রোগ, লিভার প্রতিস্থাপনের পর জীবনের মান, অঙ্গদানের তাৎপর্য এবং প্রতিস্থাপনের পর জীবনের মান সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির একটি যৌথ লক্ষ্যে একত্রিত করার সুযোগ করে দেয়।” রেলা হাসপাতালের হেপাটোলজি বিভাগের ডিরেক্টর ডাঃ দীনেশ জোথিমানি বলেন, “লিভারের রোগ বিশ্ব জুড়ে ক্রমশ বেড়ে চলা স্বাস্থ্যহানিতে চিন্তার বিষয়, সারা বিশ্বে ৮০ কোটিরও বেশি মানুষ কোনও না কোনও ধরণের লিভারের রোগে ভুগছেন। কেবলমাত্র ভারতেই, আনুমানিক ৩০% জনসংখ্যা ফ্যাটি লিভার রোগে আক্রান্ত। এটি মূলত জনসাধারণের মধ্যে খুব কম শারীরিক শ্রমের জীবনযাত্রার সঙ্গে সম্পর্কিত। উদ্বেগের বিষয়, লিভার সিরোসিস এবং লিভার ক্যান্সার এখন দেশে মৃত্যুর প্রধান কারণগুলির মধ্যে একটি। শুরুতেই দ্রুত রোগনির্ণয় এবং জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনলে জীবনের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমতে পারে এবং ‘দ্য লিভার রান’-এর মতো ইভেন্টগুলি সচেতনতা বৃদ্ধিতে এবং লিভারের স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়ার জন্য সক্রিয় পদক্ষেপ নিতে মানুষকে অনুপ্রাণিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।” এই লিভার রানের উদ্দেশ্য হল লিভারের রোগ, অঙ্গদানের গুরুত্ব এবং লিভার প্রতিস্থাপনের পর জীবনের মান সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। কলকাতা, ৯ মার্চ ২০২৫: চেন্নাইয়ের বিশ্বখ্যাত লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট হাসপাতাল, রেলা হাসপাতাল, কলকাতায় তাদের প্রথম লিভার রান সফলভাবে আয়োজন করেছে, যার লক্ষ্য লিভারের অসুখ, অঙ্গদানের গুরুত্ব এবং লিভার প্রতিস্থাপনের পর জীবনযাত্রার মান সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা….।
Be First to Comment