মোল্লা জসিমউদ্দিন : গত ২৪ ডিসেম্বর কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে কলকাতার ময়দান বাঁচাতে হাইকোর্টের স্বতঃস্ফূর্ত মামলার শুনানি হয়ে থাকে। সেখানে ডিভিশন বেঞ্চ দুই সদস্যর এক কমিটি গড়ে দেয় ময়দানের প্রকৃতি উদ্ধারের জন্য। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ওয়াই জে দস্তর এবং রাজ্য সরকারের পক্ষে এডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত মহাশয় রয়েছেন এই কমিটিতে৷ ময়দানের স্বচ্ছতা এবং যততত্র পার্কিং রুখতে এই কমিটি কি কি পরিকল্পনা নিচ্ছে তা রিপোর্ট আকারে আগামী ১৪ জানুয়ারির মধ্যে জানাতে হবে। শহীদ মিনার, ফোর্ট উইলিয়াম চত্বর গুলি নিয়ে কি ভাবনা রাজ্য ( কলকাতা পুরসভা) ও কেন্দ্রের (সেনা) তার বিস্তারিত তথ্য পেশ করতে বলা হয়েছে। গত সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে কলকাতার ফুসফুস হিসাবে পরিচিত ময়দান কে দূষণ এবং অবাধ গাড়ি পার্কিং এর হাত থেকে বাঁচাতে কলকাতা হাইকোর্ট স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে মামলা দাখিল করে থাকে। এই মামলা গ্রহণের পর অর্থাৎ গত বুধবার থেকে কলকাতা পুলিশ অত্যন্ত কড়াভাবে গাড়ীর অবৈধ পার্কিং রুখতে ব্যবস্থা নেয়। পাশাপাশি দূষণ রোধে প্রচারও শুরু করে।এহেন কলকাতা পুলিশের পদক্ষেপে যথেষ্ট খুশি কলকাতা হাইকোর্টও।সম্প্রতি ছটপুজোয় কলকাতার আরেক ‘ফুসফুস’ রবীন্দ্র সরোবর কে বাঁচাতে কঠোর অবস্থান নিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। অনুরুপভাবে আরও একবার কলকাতার ‘ফুসফুস’ খ্যাত ময়দান কে অনির্মলতার গ্রাস থেকে মুক্ত করতে উদ্যোগী হলো কলকাতা হাইকোর্ট। ছটপুজোয় কড়া অবস্থান নেওয়া কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ গত সোমবার স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে মামলা দাখিল করে কলকাতার ময়দান চত্বর কে বাঁচাতে। একদিকে নির্মল গড়তে অন্যদিকে বেআইনী গাড়ি পার্কিং রুখতে মামলা টি রুজু করা হয়েছে। ২৪ ডিসেম্বর অর্থাৎ গত বৃহস্পতিবার এই মামলার সব পক্ষ অর্থাৎ রাজ্য, কেন্দ্র, সেনা কর্তৃপক্ষের কাছে কৈফিয়ত তলব করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। কেন ময়দান চত্বরে এত আবর্জনা স্তূপের পাহাড়, কেনই বা সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও যততত্র গাড়ি পার্কিং? এইসব বিষয় গুলি জানতে চেয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। হসপিটাল রোড, কুইনস রোড, খিদিরপুর রোড, ডাফরিন রোডের দু’ধারে কেন এত গাড়ির পার্কিং। গত সোমবার এক কাজে যাওয়ার পথে ময়দানের এহেন নরকদশা দেখে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়। একাধারে রাজ্য সরকারের নির্মল বাংলা কর্মসূচি , অপরদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের স্বচ্ছ ভারত অভিযান গুলি কি আদৌও খাতা-কলমে সীমাবদ্ধ রয়েছে ? কলকাতা হাইকোর্টের ময়দান নিয়ে স্বতঃস্ফূর্ত মামলা দাখিলে সেই প্রশ্ন তুলে দিল আরও একবার বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল । ২৪ ডিসেম্বর অর্থাৎ গত বৃহস্পতিবার রাজ্যের এডভোকেট জেনারেল, কেন্দ্রীয় সরকারের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল সহ সেনা কর্তৃপক্ষের কাছে কৈফিয়ত তলব করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। ওইদিন হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ওয়াই জে দস্তর এবং রাজ্য সরকারের পক্ষে এডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত মহাশয় কে নিয়ে দুই সদস্যর কমিটি গড়ে দিয়েছে । ময়দান কে বাঁচাতে কি কি পরিকল্পনা ও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে তার বিস্তারিত রিপোর্ট আগামী ১৪ জানুয়ারির মধ্যে জমা দিতে বলেছে কলকাতা হাইকোর্ট। ওইদিনই রয়েছে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
কলকাতার ‘ফুসফুস’ রক্ষায় ১৪ জানুয়ারির মধ্যে কমিটির রিপোর্ট…….।
More from GeneralMore posts in General »
- ইনড্রাইভ সংস্থা কলকাতায় ৮৬ জন ড্রাইভার অংশীদারকে পুরস্কৃত করেছে….।
- TV9 বাংলা নিউজ সিরিজ ‘ভোটযুদ্ধ, দেশের লড়াই’, পর্ব – ২…।
- মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়িতে পড়ে গিয়ে মাথায় চোট চারটি সেলাই করতে হলো…।
- Identification of gap where cooperative societies are less across country will prove helpful in cooperatives’ expansion through National Database: Union Minister for Home and Cooperation Amit Shah….
- আন্ত:জেলা ফুটবল ১৪ মার্চ থেকে শুরু বালুরঘাটে….।
- কলকাতার আনন্দপুরে বস্তিবাসীদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল ভারত সেবাশ্রম সংঘ…
Be First to Comment