শুভ জন্মদিন ওস্তাদ জাকির হুসেন
বাবলু ভট্টাচার্য : শুধু ভারতেই নয়, পশ্চিমা সংগীত জগতেও অসামান্য সাফল্য ও জনপ্রিয় তবলা বাদক ওস্তাদ জাকির হুসেন।

তিনি একাধারে তবলা বাদক, সুরকার, সংগীত প্রযোজক, চলচ্চিত্র সংগীতকার ও অভিনেতা৷ তিনি ভারতীয় ধ্রুপদী সংগীতের শিকড়কে শক্ত হাতে ধরে রেখে পশ্চিমের পপ, জ্যাজ আর আভঁ গার্দ সংগীতকে গ্রহণ করেছেন দক্ষতার সাথে৷ তবলা বাদক হিসেবে পেয়েছেন বিশ্ব খ্যাতি ও সাফল্য৷ তিনি সূচনা করেছেন বিশ্ব সংগীতে এক নতুন অধ্যায়৷
কিংবদন্তি তবলা বাদক ওস্তাদ আল্লারাখার প্রথম সন্তান জাকির হুসেন। তিন বছর বয়স থেকে বাবার কাছে তবলায় তাঁর হাতেখড়ি৷ ১২ বছর বয়সে বাবার সাথে তাঁর প্রথম কনসার্ট৷ তারপর থেকেই তাঁর খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে সারা ভারত জুড়ে৷

সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে পড়াশোনা করেন জাকির হুসেন৷ ১৯৭০ আমেরিকায় পাড়ি জমান তিনি৷ শুরু হয় আন্তর্জাতিক সংগীতাঙ্গনে তাঁর বিচরণ৷ ১৯৭৩ সালে জর্জ হ্যারিসনের ‘’লিভিং ইন দ্য মেটিরিয়াল ওয়ার্ল্ড” অ্যালবামে অংশগ্রহণ তাঁকে এনে দেয় এক বিরাট স্বীকৃতি৷ তারপর থেকেই বহু খ্যাতিমান সংগীত শিল্পী যেমন, জন ম্যাকলাফলিন, মিকি হার্ট, বিল ল্যাসওয়েল, ভ্যান মরিসন, জো হেন্ডারসন ও আরো অনেকের সাথে তবলা পরিবেশন করেন তিনি৷
সংগীতে তাঁর কর্মজীবনের সিংহভাগ জুড়ে রয়েছে ভারতীয় ধ্রুপদী সংগীত৷ তিনি তাঁর তবলা দিয়ে সঙ্গ দিয়েছেন পণ্ডিত রবিশঙ্কর, ওস্তাদ আলী আকবর খাঁ, শিবকুমার শর্মা বা কথক নৃত্য শিল্পী বিরজু মহারাজকে৷
১৯৯২ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ‘’মোমেন্ট রেকর্ড”৷ এর মাধ্যমে তিনি সংগীতানুরাগিদের উপহার দিয়েছেন ভারতের ধ্রুপদী সংগীতের খ্যাতিমান সেরা সংগীত শিল্পীসহ সমকালীন বিশ্বসংগীত৷ ২০০৬ সালে ‘’মোমেন্ট রেকর্ড” এর মুক্তিপ্রাপ্ত অ্যালবাম ‘’গোল্ডেন স্ট্রিং অফ দ্য সরোদ” গ্র্যামি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়৷
চলচ্চিত্রের জন্য সংগীত রচনা করেছেন তিনি৷ এমন কি চলচ্চিত্রে অভিনয়ও করেছেন জাকির হুসেন৷

তাঁর বাদ্যশৈলির মধ্য দিয়ে পূর্ব ও পশ্চিমের সংগীত জগতকে খুব কাছাকাছি আনতে পেরেছেন ওস্তাদ জাকির হুসেন৷
পদ্মশ্রী, পদ্মভূষণ, গ্র্যামি ছাড়াও আরো বহু পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারি এই শিল্পী।
ওস্তাদ জাকির হুসেন ১৯৫১ সালের আজকের দিনে (৯ মার্চ) ভারতের মুম্বই শহরে জন্মগ্রহণ করেন।
Be First to Comment