ডঃ পি সি সরকার জুনিয়র: বিশ্বখ্যাত ম্যাজিশিয়ান ও বিশিষ্ট লেখক “…এলেম আমি কোথা থেকে…” শিরোনামে আমি যে পোস্টটা করে ছিলাম সেটা আপনাদের ভালো লেগেছে জেনে খুব তৃপ্ত বোধ করছি।

এর সাথে অনেকেই আবার ভুরু কুঁচকে নানা রকম প্রশ্ন তুলেছেন। শ্রী শুকদেব দাসের পোস্টে শ্রী অসীম কুমার মুখার্জি মহাশয় প্রশ্ন তুলেছেন হরপ্পার লিপির নাকি পাঠোদ্ধার করা যায়নি। আমি তাহলে আমার নাম ও লিপিতে লিখলাম কি করে? আমি জবাবে বলছি, হয়েছে, অনেকদিন আগে হয়েছে। প্রমাণ হিসেবে ভারত সরকারের প্রকাশিত বইয়ের নাম, ছবি এখানে পোস্ট করলাম।

পড়ে দেখলে অনেক ভুল ধারণা কেটে যাবে। আর একজন লিখেছেন, হরপ্পা সভ্যতার লোকেরা ঘোড়ার ব্যবহার করতেন না। এটাও ভুল কথা। হয়তো ঘোড়ার ব্যবহার কম হতো, কিন্তু ব্যবহার ছিলনা, বা চিনতো না, এটা ভুল কথা। প্রমাণ হিসেবে সেই বই এরই উল্লিখিত জায়গা টা পোস্ট করলাম। দেখে নেবেন।

এটা আমাদের কারুর দোষ নয়। ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ রাজ আমাদের সভ্যতা কে ফালতু বানাতে বহু অন্যায় কাজ করেছিলো। এটা তারই এক নমুনা। ছোট করো, ঘেঁটে দাও, গর্বের জিনিষ গুড়িয়ে দাও। অর্থের প্রয়োজনে ওরা তাজমহলের পাথর খুলে বিক্রী করার প্রস্তাবও ওদের পার্লামেন্টে তুলে ছিলো।

ভাগ্যিস তখন যুদ্ধ লেগেছিল সেজন্য এখন আমরা তাজমহল দেখতে পাচ্ছি। পরে এ নিয়ে আরও লিখবো। স্বপ্ন বনু লিখেছেন তাঁর কণ্যে অনুষ্কা আব্দার করেছে ওর নামটা হরপ্পার ভাষায় লিখে দিতে। দিলাম। সবাই ভালো থাকবেন।

Be First to Comment