Last updated on September 17, 2022
জন্মদিনে স্মরণঃ এ ম এ স শু ভ ল ক্ষ্মী
বাবলু ভট্টাচার্য : গৃহবধূ হয়েও তিনি আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিয়মিত সঙ্গীত পরিবেশন করতেন। তাঁর ফ্যাশানের প্রধান ধরন ছিল— খোলা চুল, কপালে বড় লাল টিপ, মেরুন- সবুজ-হলুদ রঙের সিল্কের শাড়ি। নাকের দু’পাশে নাকফুল পরতেন এবং তাঁর হাতে সবসময় একটি বড় ফুলের মালা শোভা পেত। এমনকি তিনি নিয়মিত পান খেতেন। বিনম্রতা ছিল তাঁর ভূষণ।
তিনি প্রবাদপ্রতিম কর্ণাটকী কণ্ঠ শিল্পী এম এস শুভলক্ষ্মী।
এম এস শুভলক্ষ্মীর সঙ্গীত শিক্ষা গুরু তাঁর মা। তাঁর প্রথম রেকর্ডিং প্রকাশিত হয় দশ বছর বয়সে। ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের পরিবেশে বেড়ে ওঠা শুভলক্ষ্মী মাত্র ১৩ বছর বয়সে মাদ্রাজ মিউজিক অ্যাকাডেমিতে ভজন পরিবেশন করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন।
কর্ণাটকী শাস্ত্রীয় সঙ্গীত ছাড়াও সংস্কৃত, হিন্দি, মালায়ালম, বাংলা, পাঞ্জাবী, মারাঠি, তেলেগু, গুজরাতি ভাষাতেও গান করেছেন এই কিংবদন্তী শিল্পী।
গানের পাশাপাশি বেশ কিছু সিনেমাতেও অভিনয় করেছিলেন শুভলক্ষ্মী। তবে মূলত কর্ণাটকী সঙ্গীতের জন্যই সারা বিশ্বে বিখ্যাত হন তিনি।
‘পদ্মভূষণ’, ‘পদ্মবিভূষণ’, ‘ম্যাগসাইসাই’, ‘সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি’ পুরস্কার সহ বহু পুরস্কার পেয়েছেন এই কিংবদন্তী। ১৯৯৮ সালে প্রথম ভারতীয় সঙ্গীত শিল্পী হিসাবে ‘ভারতরত্ন’ পান তিনি।
১৯৯৭ সালে স্বামী কল্কি সদশিভমের মৃত্যুর পর প্রকাশ্যে গান করা ছেড়ে দেন তিনি।
এক সময় মোরারজি দেশাই রাজ্যসভার জন্য একজন তামিল শিল্পীকে সদস্য হিসেবে চেয়েছিলেন, এই লেজেন্ডের কাছে বার্তা পৌঁছেছিল তৎক্ষণাৎ। কিন্তু স্বামী-সংসার আর সঙ্গীত ছেড়ে নয়া দিল্লি আসতে রাজি হননি শুভলক্ষ্মী। জানিয়েছিলেন, কণ্ঠ দিয়ে লক্ষ ভারতবাসীকে তিনি মুগ্ধ করতে পারেন বটে, কিন্তু ৫০ জন রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে তর্ক-বিতর্কে তিনি পেরে উঠবেন না।
২০০৪ সালের ১১ ডিসেম্বর ভারতীয় সঙ্গীত জগতের অন্যতম মহীরুহ এম এস শুভলক্ষ্মী শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
কণ্ঠ শিল্পী এম এস শুভলক্ষ্মী ১৯১৬ সালের আজকের দিনে (১৬ সেপ্টেম্বর) দক্ষিণ ভারতের মাদুরাইতে জন্মগ্রহণ করেন।
Be First to Comment