সায়ন দেবনাথ : খড়গপুর, ১৭ই এপ্রিল, ২০২১; সমগ্র ভারতবর্ষ জুড়ে ভাড়ে চায়ের স্বাদ বিস্তারের জন্য বিখ্যাত ব্র্যান্ড, চায় সুট্টা বার আজ এক কাপ চা যোগে বাংলা নববর্ষ পয়লা বৈশাখকে আন্তরিক ও মঙ্গলয়ম ভাবে উদযাপন করার উদ্দেশ্যে খড়গপুরে তাদের শুভ উদ্বোধনের কথা ঘোষণা করল। ভারতবর্ষে চা কেবলমাত্র একটি পানীয় নয় বরং এটি একটি সংস্কৃতি, ঘন সুমিষ্ট পানীয় আমাদের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। আপনার স্বাদ কোরকগুলিকে উদ্দীপ্ত করতে এবং পদের সম্ভারে আধিক্য আনতে চায় সুট্টা বার আজ বিখ্যাত আই.আই.টি শহর খড়গপুরে তাদের ফ্র্যাঞ্চাইজি আউটলেটটি খুলল।
বিশ্ব ব্যাপী ভাঁড়ের স্বাদ বিস্তারের চিন্তা-ভাবনা নিয়ে ব্র্যান্ডটি এদের দাম একদমই নামমাত্র রাখার চেষ্টা করেছে যাতে তা সবার পকেটের উপযোগী হয় এবং সর্বসাধারণকে আকৃষ্ট করতে পারে। পশ্চিম, উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলগুলিতে এক ভাঁড় তৃপ্তিদায়ক চা পরিবেশনের মাধ্যমে তাদের উপস্থিতি অনুভব করানোর পর, চায় সুট্টা বার ভারতবর্ষের পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব দিকের রাজ্যগুলিতে আত্মপ্রকাশ করতে সর্বোতভাবে প্রস্তুত। সবার কাছে কাঙ্খিত এক কাপ চা পরিবেশনের উদ্দেশ্যে, ব্র্যান্ডটি বর্তমানে ৭০+ এরও অধিক শহর সহ ৩টি দেশ ওমান, নেপাল এবং দুবাইতে এর উপস্থিতি সূচিত করে।
এই ঐতিহ্যকে বার টেবিলে পরিবেশন করার ভাবনা থেকেই, মধ্য প্রদেশের জেলা থেকে আগত প্রতিষ্ঠাতা অনুভব দুবে এবং আনন্দ নায়কের মনে চায় সুট্টা বারের ধারণাটি জন্ম নেয়। এখনও পর্যন্ত ভারতীয় এবং পাশ্চাত্য সংস্কৃতির মিশ্রণ গ্রাহকদের দ্বারা প্রসংশিত হয়েছে এবং তাই ব্র্যান্ডটি দিনে গড়ে প্রায় ৩,০০,০০০ ভাঁড় চা বিক্রি করে। তাছাড়া বিশ্বব্যাপী ঘটমান মহামারীর কারণে গ্রাহকদের বিশেষতঃ এফ অ্যান্ড বি বিভাগের গ্রাহকদের কাছে সুরক্ষাই হল মূল প্রশ্ন এবং ব্র্যান্ডটি এই ব্যাপারে সর্বোচ্চ স্তরের অগ্রাধিকার সুনিশ্চিত করে।
খড়গপুরে ফ্র্যাঞ্চাইজি উদ্বোধনের বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে চায় সুট্টা বার, ভারতের সহ-প্রতিষ্ঠাতা শ্রীযুক্ত অনুভব দুবে বলেন “আমরা যখন ইন্দোরের বিশ্ব বিদ্যালয়ের এলাকার মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আমাদের প্রথম উদ্যোগটি শুরু করি তখন আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল কলেজের ছাত্ররা এবং হোস্টেল বাসীরা। তখনই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে দেশের প্রতিটি আনাচে কানাচে যেখানে আমাদের লক্ষ্যের গ্রাহক আছে সেখানে আমাদের উপস্থিতি থাকবে। আইআইটি হাব হিসাবে বিখ্যাত হওয়ার সুবাদে খড়গপুর আমাদের কাছে এক অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বাজার। এই উদ্বোধনে আমরা অত্যন্ত উৎসাহী এবং এই শহরের কাছ থেকে সর্বোত্তম সাড়া পাব বলে ভীষণভাবে আশা রাখি।”
Be First to Comment