জন্মদিনে স্মরণঃ এইচ জি ওয়েলস
বাবলু ভট্টাচার্য :তাঁকে বলা হয় ‘শেক্সপিয়র অফ সায়েন্স ফিকশন’। কল্পবিজ্ঞানকে অসম্ভব রূপ দিয়ে নিজের লেখায় হাজির করতেন এইচ জি ওয়েলস। টানটান উত্তেজনার সঙ্গে থাকত অনুসন্ধিৎসু মন। নিজে বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করেছিলেন। পাশাপাশি বেড়ে উঠছিল সাহিত্যের নেশা। একটা সময় এই দুটো এক হয়ে তাঁর সামনে এসে উপস্থিত হল। কল্পনার রথে চড়ে উড়ে বেড়াতে লাগলেন নানা জায়গায়; অবশ্যই ঘোড়াটি ছিল বিজ্ঞান।
চারবার নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনয়নও পেয়েছিলেন; কিন্তু আফসোস, পাননি। তাই বলে সাহিত্যের আঙিনায় তাঁর কৃতিত্ব এতটুকুও কমে না। সায়েন্স ফিকশন জঁরকে তিনি নতুনভাবে হাজির করেছিলেন আমাদের সামনে।
হারবার্ট জর্জ ওয়েলস সংক্ষেপে এইচ জি ওয়েলস। একজন বহুমুখী ইংরেজ লেখক। তিনি মূলত তাঁর কল্পবিজ্ঞান উপন্যাস ও ছোটোগল্পগুলির জন্য সমধিক পরিচিত। জুল ভের্নের সঙ্গে তাঁকেও “কল্পবিজ্ঞানের জনক” আখ্যা দেওয়া হয়। তিনি সমসাময়িক উপন্যাস, ইতিহাস, রাজনীতি ও সামাজিক বিষয়গুলি নিয়েও বহু গ্রন্থ রচনা করেছিলেন।
এইচ জি ওয়েলস ১৮৮৪-১৮৮৭ পর্যন্ত লন্ডনের রয়্যাল কলেজ অফ সায়েন্স পড়াশুনা করেন। পরে ১৮৮৭ সালে শিক্ষকতা পেশা গ্রহণ করেন।
১৮৯০ সালে তিনি ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডন থেকে বিএসসি ডিগ্রি পান। ১৮৯৩ সনে পুরোপুরি লেখক বনে যান। ১৯২২ থেকে ১৯২৩ ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডনের পক্ষে পার্লামেন্টের লেবার নির্বাচন প্রার্থী হন। ১৯০৩ থেকে ১৯০৮ পর্যন্ত ফেবিয়ান সোসাইটির সদস্য ছিলেন।
১৯৩৬ এ ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডন থেকে ডক্টরেট অফ লিটারেচার সম্মান লাভ করেন।
এইচ জি ওয়েলসের উল্লেখযোগ্য রচনাঃ দ্য টাইম মেশিন, দ্য আয়ল্যান্ড অফ ডক্টর, মেরো, দ্য ইনভিজিবল ম্যান, দ্য ওয়ার অফ দ্য ওয়ার্ল্ডস, দ্য ফার্স্ট ম্যান ইন দ্য মুন, ইন দ্য ডেজ অফ দ্য কমেট, দ্য ল্যান্ড আয়রন ক্ল্যাডস ইত্যাদি অসংখ্য রচনা।
লেখকের ‘দ্য ল্যান্ড আয়রনক্ল্যাডস’ সায়েন্স ফিকশনটি প্রথম প্রকাশ হয় ১৯০৩ সালে ডিসেম্বর মাসে। লেখক তাঁর গল্পে আগামী দিনের যুদ্ধযান ট্যাঙ্কের একটি রূপক বর্ণনা দেন। এইচ জি ওয়েলসের বিভিন্ন গল্প, উপন্যাসচলচ্চিত্রে রূপ পেয়েছে।
১৯৪৬ সনের ১৩ আগস্টে লন্ডনের ইম্পিরিয়েল কলেজ অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির সম্মানজনক সদস্যপদে থাকাবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন এইচ জি ওয়েলস।
এইচ জি ওয়েলস ১৮৬৬ সালের আজকের দিনে (২১ সেপ্টে) ইংল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেন।
Be First to Comment