Press "Enter" to skip to content

উপমহাদেশীয় চলচ্চিত্র জগতে এক নক্ষত্রের নাম ধীরাজ ভট্টাচার্য। সুদর্শন নায়ক ধীরাজ ভট্টাচার্যের অভিনয় জীবন শুরু হয় নির্বাক চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে…..।

Spread the love

জন্মদিনে স্মরণঃ ধী রা জ ভ ট্টা চা র্য

বাবলু ভট্টাচার্য : উপমহাদেশীয় চলচ্চিত্র জগতে এক নক্ষত্রের নাম ধীরাজ ভট্টাচার্য। সুদর্শন নায়ক ধীরাজ ভট্টাচার্যের অভিনয় জীবন শুরু হয় নির্বাক চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে। সবাক যুগে, পঞ্চাশের দশকের সিনেমায় অভিনয় করে তিনি লক্ষ মানুষের হৃদয় জয় করে নিয়েছিলেন।

ধীরাজ ভট্টাচার্যের পিতা ললিতমোহন ভট্টাচার্য ছিলেন পেশায় একজন শিক্ষক৷

ধীরাজ বাবুর শিক্ষাজীবনের শুরু হয় নিজ গ্রাম বাংলাদেশের যশোর জেলার পাঁজিয়ার স্কুলে। পরবর্তীতে তিনি ভর্তি হন কলকাতার মিত্র ইনস্টিটিশনে৷ তিনি ১৯২৩ সালে পাশ করেন ম্যট্রিকুলেশন। এরপর তিনি ভর্তি হন আশুতোষ কলেজে। এই কলেজে পড়ার সময় সিনেমার প্রতি প্রবল আগ্রহ জন্মে তার। ফলে কলেজ পাশ করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি৷

ধীরাজ ভট্টাচার্যের কর্মজীবনের শুরুটা হয় একটি নির্বাক চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে। চলচ্চিত্রটি ১৯২৪ সালে নির্মিত হয়। যার চিত্র পরিচালক ছিলেন জ্যোতিষ বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এই চলচ্চিত্রে অংশগ্রহণ তাঁর পরিবার মেনে নেয়নি। ফলে চলচ্চিত্র তাকে ছাড়তে হয়।

বাবার কথায় ভর্তি হন পুলিশের কলকাতা জোনের ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চে। তারপর তার বদলি হয় তৎকালীন বার্মায়। সেখানে স্থানীয় এক কিশোরীর প্রেমে পড়েন৷ কিন্তু পরিবারের আপত্তির ফলে সেই প্রেম পরিণতি লাভ করতে পারেনি। সেই কারণে তাকে চাকরি ছেড়ে কলকাতায় ফিরে আসতে হয়৷

আবার কলকাতায় ফিরে তিনি সিনেমায় অংশগ্রহণের চেষ্টা করেন। সেই সময় ১৯৩০ সালে তার পরিচয় হয় চিত্র পরিচালক মধুবাবুর সঙ্গে। মধুবাবু তখন সিনেমার জন্য নতুন নায়ক খুঁজছিলেন। তখনই ধীরাজকে দেখে ভাল লেগে যায় মধু বাবুর। এরপর থেকে আর ধীরাজকে পিছনে তাকাতে হয়নি। সুদর্শন এই নায়ক অল্প সময়ের মধ্যেই দর্শকদের মন জয় করে নেন এবং চলচ্চিত্র জগতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন ৷

ধীরাজ ভট্টাচার্য অভিনীত নির্বাক চলচ্চিত্রঃ ‘সতীলক্ষ্মী’, ‘কাল পরিণয়’, ‘মৃণালিনী’ এবং ‘নৌকাডুবি’ ৷ সবাক যুগে এসে তার প্রথম ছবিঃ ‘কৃষ্ণকান্তের উইল’ ৷

তিনি মঞ্চেও অভিনয় করেছেন। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য নাটকঃ দক্ষযজ্ঞ, মরণের পরে, কৃষ্ণ সুদামা, হানাবাড়ি, ধূমকেতু, ময়লা কাগজ, কুয়াশা, সোনার সংসার, রাজনটী বসন্তসেনা, শহর থেকে দূরে, নীলাচলে মহাপ্রভু, তমসা, মানময়ী গার্লস স্কুল প্রভৃতি।

সাহিত্যেও ধীরাজের আগ্রহ ছিল ৷ চলচ্চিত্রের পাশাপাশি লিখেছেন দু’টি আত্মজীবনী মূলক গ্রন্থঃ ‘যখন নায়ক ছিলাম’ এবং ‘যখন পুলিশ ছিলাম’ ৷ এছাড়াও তার অন্যান্য রচনা– মন নিয়ে খেলা, সাজানো বাগান, মহুয়া মিলন প্রভৃতি৷

১৯৫৯ সালে মাত্র ৫৪ বছর বয়সে ধীরাজ ভট্টাচার্যের মৃত্যু হয়।

ধীরাজ ভট্টাচার্য ১৯০৫ সালের আজকের দিনে (৫ নভেম্বর) বাংলাদেশের যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার পাঁজিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

More from CinemaMore posts in Cinema »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Mission News Theme by Compete Themes.