গোপাল দেবনাথ : কলকাতা, ২৩, নভেম্বর, ২০২০। গত মার্চ মাস থেকে এই বাংলার সাধারণ মানুষ করোনা মহামারীর আতঙ্কের সাথে ঘূর্ণিঝড় আমাফানের তাণ্ডব ও দেখেছে।

এরই মধ্যে আমাদের বহু প্রতীক্ষিত দুর্গোৎসব প্রত্যক্ষ করেছে। তারই সাথে সাথে ধনদেবী লক্ষ্মী মায়ের আরাধনা করেছে। এরই দু সপ্তাহ পরেই শ্রী শ্রী কালী মায়ের আরাধনা, কার্তিক পূজো তার সাথে ভাই ফোঁটা।

উৎসবের শেষ নেই এখন সকলে ব্যস্ত মা দুর্গার অন্যরূপ শ্রী শ্রী জগদ্ধাত্রী মায়ের আরাধনায়। বর্তমানে আমাদের রাজ্যে বহু সংখ্যায় জগদ্ধাত্রী পুজো আয়োজিত হচ্ছে। আমাদের শহর কলকাতায় জগদ্ধাত্রী পুজোর অন্যতম আয়োজক সংস্থা শ্যামপুকুর ‘বলাকা’। এই বছর এই পূজো ১৯তম বর্ষে পদার্পন করলো।

সাবেকি জগদ্ধাত্রী মায়ের মূর্তিটি নির্মাণ করেছেন শ্রী সুজিত পাল। বলাকার সম্পাদক শ্যামসুন্দর আগরওয়াল বলেন আমরা করোনা অতিমারীর কারণে আমাদের সমস্ত রকম আয়োজনের মাত্রা কমিয়ে দিয়েছি।

সংস্থার সভাপতি সুদীপ দত্ত বলেন প্রতি বছরের মতো এই বছরের পরিস্থিতি একটু আলাদা বেশি সংখ্যক মানুষ কে বসিয়ে ভোগ খাওয়ানো সম্ভবপর হয়নি। প্রায় ৩০০ ভোগের প্যাকেট এলাকার মানুষের মধ্যে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এই এলাকার পথ চলতি প্রায় ৫০০ জন মানুষের হাতে প্রসাদ দেওয়া হয়েছে বলে জানালেন

পূজো কমিটির অন্যতম কর্মকর্তা সৈকত দত্ত। বলাকার কোষাধ্যক্ষ রাজেশ সাউ জানালেন এই বছর আর্থিক টানাটানির মধ্যেও আমরা আমাদের সাধ্যমতো অন্যান্য বছরের মতো সব কিছুরই আয়োজন করতে পেরেছি সদস্যদের ঐকান্তিক সহযোগিতায়।

Be First to Comment