মোল্লা জসিমউদ্দিন : জ্যোতিপ্রকাশ মুখার্জি, ১,অক্টোবর, ২০২০। বছর কুড়ি আগে এই গ্রাম ছিল মঙ্গলকোটের নদীর উপকূলে থাকা এক বৃহত্তর গ্রাম। অজয় নদের উপর বালিমাফিয়াদের ক্রমাগত শোষণ নদীর স্বাভাবিক গতিপথ কে বদলেছে। এর ফলে প্রায় তিনশোটি পরিবার হাজারের বেশি গ্রামবাসী অজয় নদের ভয়াল ভাঙন এবং বন্যার হাত থেকে বাঁচতে বদলেছে গ্রাম। হ্যাঁ বছর কুড়ি আগে যে গ্রাম ছিল প্রাণবন্ত, সে এখন ভুতুড়ে গ্রাম হিসাবে পরিচিত। রাত্রি তো দূর অস্ত, দিনের বেলাতেও কেউ একা যেতে সাহস করেনা এখানে আসতে। প্রায় তিনশো টি বাড়ি, হাজারের মত জনসংখ্যা এবং অসংখ্য গবাদি পশু নিয়ে এক সময় এই গ্রামটা গমগম করতো। আর এখন মাত্র খান চারেক দালান বাড়ি ও একটা কালী মন্দিরের ভগ্নদশা ইঙ্গিত দেয় এক সময় এখানে জনপদ ছিল। এখন সব ইতিহাস হয়ে গেছে। এটি পশ্চিম মঙ্গলকোটের লাকুরিয়া অঞ্চলের একটি গ্রাম, নাম সাগিরা। গুসকরা-নতুনহাট রোডের কোগ্রাম বাসস্ট্যান্ড থেকে প্রায় ৩ কিমি দূরে একেবারে অজয়ের গর্ভেই গ্রামটি অবস্হিত ছিল। অজয়ের বন্যায় বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে মানুষগুলো ওখান থেকে সরে এসে ১৯৯৮ সালে বাঁধের উত্তর দিকে নতুন করে জনবসতি গড়ে তুলেছে। দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকার ফলে গ্রামটা বন-জঙ্গলে ভরে গেছে।স্হানীয় মানুষদের সেখানে গবাদি পশু চরাতে দেখা যায়। এক সময়ের প্রাণচঞ্চল গ্রামটি দেখে মনে হবে ভুতের বাসস্হান। পরিত্যক্ত গ্রামের বাসিন্দা যাদব দাস, গোপাল মণ্ডল, রাখহরি দাস প্রমুখদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল – এই গ্রামের বাসিন্দারা মূলত কৃষিজীবি। বন্যায় বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার জন্য তাদের পক্ষে ঘরবাড়ি মেরামত করা কষ্টকর হতো। তাই তারা কিছুটা বাধ্য হয়েই বাপ-ঠাকুরদার ভিটে থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়েছে।নতুন করে জনপদ গড়ে তুললেও বাসস্ট্যান্ড থেকে গ্রামে যাওয়ার প্রায় ২ কিমি রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। এই রাস্তা ধরেই গ্রামবাসীদের হাট-বাজার, হাসপাতাল, প্রশাসনিক দপ্তর সহ সর্বত্র যেতে হয়। বর্ষার সময় ছেলে-মেয়েদের স্কুল বা কলেজ যেতে খুবই অসুবিধা হয়। প্রশাসনের কাছে তাদের আকুল আবেদন – দ্রুত এই রাস্তাটি মেরামত করা হোক। বেহাল রাস্তার জন্য তাদের দ্বিতীয়বার যেন ভিটে ছাড়া না হতে হয়। ব্লক প্রশাসনের তরফে বিডিও মুস্তাক আহমেদ বিষয়টি খোঁজখবর নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
ইতিহাসে থাকলেও ভুগোলে মঙ্গলকোটের এই গ্রাম শুধুই ভুতুড়ে……..
More from GeneralMore posts in General »
- মাত্র ২৮ বছর বয়সী মহিলা নারায়ণা হাসপাতাল আরএন টেগোর হাসপাতালে জীবন রক্ষাকারী হার্ট ট্রান্সপ্লান্ট করিয়েছেন….।
- Diversity of India missing in advertising – says ASCI-UA report….
- TV9 বাংলা নিউজ সিরিজ ‘ভোটযুদ্ধ-দেশের লড়াই, পর্ব-৬…..।
- বেলেঘাটা অঞ্চলের প্রবীণ ডাক্তারবাবু এবং মোহনবাগান ক্লাবের অন্ধ ভক্ত সুদীপ রায় চিরতরে চলে গেলেন….।
- কামারহাটি তে INTTUC এর উদ্যোগে আয়োজিত ইফতার পার্টিতে চাঁদেরহাট….।
- Scripting India’s future by exercising voting rights….
Be First to Comment