জন্মদিনে স্মরণঃ আ ল বা র্ট আ ই ন স্টা ই ন
বাবলু ভট্টাচার্য : আপেক্ষিকতার তত্ত্ব এবং ভর-শক্তি সমতুল্যতার সূত্র আবিষ্কারের জন্য আলবার্ট আইনস্টাইন বিখ্যাত। তিনি পদার্থবিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রচুর গবেষণা করেছেন।
তার উল্লেখযোগ্য অবদানগুলোর মধ্যে রয়েছে আপেক্ষিকতাভিত্তিক বিশ্বতত্ত্ব, কৈশিক ক্রিয়া, ক্রান্তিক উপলবৎ বর্ণময়তা, পরিসাংখ্যিক বলবিজ্ঞানের চিরায়ত সমস্যাসমূহ ও কোয়ান্টাম তত্ত্বে তাদের প্রয়োগ, অণুর ব্রাউনীয় গতির একটি ব্যাখ্যা, আণবিক ক্রান্তিকের সম্ভ্যাব্যতা, আণবিক গ্যাসের কোয়ান্টাম তত্ত্ব, পদার্থ বিজ্ঞানের জ্যামিতিকীকরণ প্রভৃতি।
১৯৩৩ সালে এডলফ হিটলার জার্মানিতে ক্ষমতায় থাকাকালে তিনি বার্লিন একাডেমি অব সায়েন্সের অধ্যাপক ছিলেন। ইহুদি হওয়ার কারণে আইনস্টাইন সে সময় দেশত্যাগ করে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান এবং পরে আর জার্মানিতে ফিরে যাননি। ১৯৫৫ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব অ্যাডভান্সড স্টাডির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
আলবার্ট আইনস্টাইন ১৯২১ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন। ১৯৯৯ সালে টাইম সাময়িকী আইনস্টাইনকে ‘শতাব্দীর সেরা ব্যক্তি’ ঘোষণা করে।
আইনস্টাইনের শৈশব কেটেছে জার্মানিতে। কৈশোর ইতালি। যৌবন সুইৎজারল্যান্ডে। প্রৌঢ়ত্ব জার্মানি আর বার্ধক্য আমেরিকায়।
যুদ্ধকে আজীবন অন্তর দিয়ে ঘৃণা করে গেছেন এই মনীষী। তাঁর নিজের কথায়, “মানুষ হত্যা আমার কাছে নিদারণ বিরক্তিকর একটি ব্যাপার। আমার এই মনোভাব কোনও বিজ্ঞ চিন্তা থেকে আসেনি। এর মূলে রয়েছে ঘৃণা আর নিষ্ঠুরতার প্রতি আমার তীব্র বিদ্বেষ।”
আইনস্টাইন বলেছিলেন, আলোর চেয়ে বেশি গতিতে আর কেউ ছোটে না এই বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডে। শূন্যস্থানে আলো প্রতি সেকেন্ডে পাড়ি দেয় ২৯ কোটি ৯১ লাখ ৯২ হাজার ৪৫৮ মিটার। এর চেয়ে বেশি গতি পৃথিবীতে আর কারও নেই। বস্তুত এই গতিসীমার ওপরই দাঁড়িয়ে আছে গোটা পদার্থবিদ্যা অনেকখানি।
আলবার্ট আইনস্টাইন ১৮৭৯ সালের আজকের দিনে (১৪ মার্চ) জার্মানির উলম, উরটেমবার্গ (Württemberg)-এ জন্মগ্রহণ করেন।
Be First to Comment