নিজস্ব প্রতিনিধি : ঢাকা, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২২। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের তরুণ সমাজের মুখে মুখে একটাই নাম নানজীবা। যেমন সুন্দর ব্যক্তিত্বময়ী চেহারা সেইসাথে আছে কথা বলার অসাধারণ দক্ষতা। এই নানজীবা খান ই বাংলাদেশের সর্বকনিষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতা (বিএফডিসি তালিকাভুক্ত) ও ইউনাইটেড ন্যাশনস সিমুলেশনের অ্যাম্বাসেডর।
১২৫ টি দেশের ২০০ জনেরও বেশি তরুণ প্রতিনিধিকে পিছনে ফেলে তার হাত ধরেই ২য় বারের মত বাংলাদেশ অর্জন করেছে ইউএন সিমুল্যাশন বেস্ট ডিপ্লোম্যাট অ্যাওয়ার্ড। প্রথমবার দুবাই ও দ্বিতীয়বার মিশরে এই স্বনামধন্য অ্যাওয়ার্ড অর্জন করে বাংলাদেশ।
সুইজারল্যান্ডে এমইউএন কনফারেন্সে একমাত্র এশিয়ান হিসেবে অংশগ্রহণ করে একই সাথে বাংলাদেশ ও এশিয়াকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন নানজীবা।
তিনি “প্রজেক্ট ইয়ুথ ফ্রেন্ডলি বাংলাদেশ -এসডিজি ফর ইয়ুথ” এর প্রজেক্ট ডিরেক্টর। এই প্রজেক্টে বাংলাদেশের বিভিন্ন পেশার স্বনামধন্য ২০০ জন জনপ্রিয়মুখের অংশগ্রহণে ফেইস পেইন্টের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) কে তুলে ধরা হয়েছে।
১৭ বছর বয়সে নির্মিত তার প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র “দি আনওয়ান্টেড টুইন’ ইতোমধ্যে নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় চলচ্চিত্র উৎসব ও সিনেমেকিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সম্মাননা অর্জন করেছেন। ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ফেস্টিভ্যাল প্রিমিয়ার হয়েছে। নির্মাতা হিসেবে মাত্র ১৩ বছর বয়সে অর্জন করেছেন ইউনিসেফ মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড। তিনি নির্মাণ করেছেন নোকিয়া, সোনি, গিগাবাইটের মত স্বনামধন্য বহু দেশী ও বিদেশী ব্যান্ডের বিজ্ঞাপন।
তিনি ছিলেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের (হ্যালো) সাবেক সাংবাদিক, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের ক্যাডেট অ্যাম্বাসেডর, ক্যামব্রিয়ান ডিবেটিং সোসাইটির সহ-সভাপতি, ব্রিটিশ আমেরিকান রিসার্চ সেন্টার ও স্টাডিনেট অস্ট্রেলিয়ার ব্যান্ড অ্যাম্বাসেডর এবং ইউনিসেফ সাউথ এশিয়ার তরুণ প্রতিনিধি।
প্রশিক্ষণার্থী বৈমানিক হিসেবে বিমান চালানোর প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।
বর্তমানে সুইজারল্যান্ড, ইতালি, জার্মানি, সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশের এমইউএন কনফারেন্সে বাংলাদেশের তরুণ প্রতিনিধি হিসেবে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করছেন। তার পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র “দি আনওয়ান্টেড টুইন’ আগামী মার্চে মুক্তির অপেক্ষায় আছে।
Be First to Comment