মোল্লা জসিমউদ্দিন: ১২ইজানুয়ারি ২০২০ জানুয়ারি মাস টি পিকনিক করবার মাস হিসাবেই বিবেচিত সর্বসাধারণের কাছে। শনিবার সকালে মঙ্গলকোট থানার উদ্যোগে এলাকার ৬০ জন আদিবাসী বাচ্ছাদের নিয়ে অজয় নদের চরে চললো পিকনিক। টিফিনে ঘুগনি মুড়ি কিংবা লুচি আলুর দম। এরপর দু-তিনরকমের সবজি দিয়ে মুরগির মাংস কিংবা মাছ ভাত খেলো এরা। এই আদিবাসী পরিবারের বাচ্ছাদের পাশাপাশি মঙ্গলকোট থানায় কর্মরত পুলিশ কর্মীদের বাচ্ছারাও ছিল এই পিকনিকে।দফায় দফায় অজয় নদের চরে চললো ক্ষুদেদের ফুটবল খেলা। পড়াশোনা বিশেষত কে কোন স্কুলে ভর্তি হয়েছে তা নিয়ে চললো গল্পগুজব। মঙ্গলকোট থানার এহেন উদ্যোগে খুশি মঙ্গলকোটের আদিবাসী মহল্লা। তাদের বক্তব্য – “সাধারণত পুলিশ কোন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় পুরস্কার বিতরণীতে উপস্থিত থাকে, এতো দেখছি পরিবারের সদস্যদের মত সম্পর্কের গভীরে ঢুকে যাওয়া “। মঙ্গলকোট ওসি মিঠুন ঘোষ জানিয়েছেন – ” বছরের একটা দিন এদের কে নিয়ে আনন্দ উপভোগ করলাম
“। জানা গেছে, গত লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই মঙ্গলকোটে বিশেষত পশ্চিম মঙ্গলকোটের পালিগ্রাম – চাণক অঞ্চলে আদিবাসীদের মধ্যে পুলিশ নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছিল। বেশকিছু হিংসাত্মক ঘটনা ঘটে সেসময়।কাটমানি কান্ডের জেরে দশের কাছাকাছি ফৌজদারি মামলা রুজু হয়। স্থানীয় পুলিশ নিয়ে বিক্ষোভ এমনকি তীর-ধনুক নিয়ে নুতনহাট – আউশগ্রাম সড়ক অবরোধ চলেছে সেসময় । পুলিশের কাছ থেকে মুচলেকাও আদায় করেছিল বিক্ষোভকারীরা। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে মঙ্গলকোট থানার ওসি পদে আসেন সাব ইনস্পেকটর মিঠুন ঘোষ। দায়িত্বভার নেওয়ার দুমাসের মধ্যেই একাধারে ইমাম মোয়াজ্জেনদের নিয়ে থানায় এনআরসির হিংসাত্মক ঘটনা রুখতে শান্তি সভা করেন। পাশাপাশি আজ অর্থাৎ শনিবার বিক্ষুদ্ধ আদিবাসী মহল্লায় ৬০ জন ক্ষুদেদের নিয়ে পিকনিক আয়োজন করে পুলিশ যে ‘সামজিক বন্ধু’ সেই বার্তা দিলেন বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
Be First to Comment