মোল্লা জসিমউদ্দিন : কলকাতা হাইকোর্টের সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন বেঁধে দেওয়া সত্বেও কিভাবে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ নোটিশ জারি করলো? এইভাবেই বুধবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে বিশ্বভারতীর আইনজীবী কে ভৎসনা করলো কলকাতা হাইকোর্ট। শুধু তাই নয় এটি একপ্রকার আদালত অবমাননা। যা নিয়ম বহির্ভূত কাজ বলে উল্লেখ করেন বিচারপতি। এইসব প্রশ্নের জবাবে বিশ্বভারতীর আইনজীবী কোন উত্তর দিতে পারেনি নি।তিনি সময় চেয়েছেন আদালতের কাছে।আদালত অবশ্য বিশ্বভারতীর গত ১০ আগস্ট জারি করা নোটিশের উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছেন আগামী ২০ আগস্ট পর্যন্ত। এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে আগামী ১৬ আগস্ট। ওইদিনই বিশ্বভারতী কে জানাতে হবে – ‘কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও কেন তারা নোটিশ জারি করলো বেঁধে দেওয়া গাইডলাইন উপেক্ষা করে’। আদালতের নির্দেশ মানছেনা বিশ্বভারতী। শিক্ষিকার বেতন মামলায় কড়া ভৎসনা করল কলকাতা হাইকোর্ট। বুধবার বিচারপতি অমৃতা সিনহা বিশ্বভারতীর আইনজীবী কে বলেন – ‘ এটা কি হচ্ছে?’ গত মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে বিশ্বভারতীর শিক্ষিকা শ্রুতি বন্দ্যোপাধ্যায় এর বেতন সংক্রান্ত মামলায় নির্দেশ দেওয়া হয় – ‘ বিশ্বভারতীর কর্মসমিতির ১৯ জন সদস্যর মধ্যে নুন্যতম ৬ জন সদস্য কে বেতন সংক্রান্ত অভিযোগের সময় উপস্থিত থাকতে হবে’। এই ধরনের কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও বিশ্বভারতী এক নোটিশের মাধ্যমে এক সদস্যর কমিটির কাছে বুধবার বিকেল ৪ টে সময় ভার্চুয়াল শুনানিতে অংশগ্রহণ করবার জন্য শ্রুতি বন্দ্যোপাধ্যায় কে অবগত করে।বিশ্বভারতীর এই নোটিশ কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বুধবার সংশ্লিষ্ট বিচারপতির এজলাসের দারস্থ হন এই শিক্ষিকা। তখনি বিচারপতি কড়া ভৎসনা জানিয়ে বিশ্বভারতীর আইনজীবী কে বলেন – ‘ আদালতের স্পষ্ট নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও সেই নির্দেশ অমান্য করে বিশ্বভারতী কি করে নোটিশ জারি করলো? যেখানে কর্মসমিতির নুন্যতম সদস্যদের কথা উল্লেখ রয়েছে। সেখানে একজন সদস্যর কমিটি কিভাবে করলো বিশ্বভারতী? এই প্রশ্নের জবাবে বিশ্বভারতীর আইনজীবী ছিলেন চুপচাপ। তিনি অবশ্য আদালতের কাছে সময় চান।তবে কলকাতা হাইকোর্ট বিশ্বভারতীর গত ১০ আগস্ট জারি করা নোটিশ টি আগামী ২০ আগস্ট পর্যন্ত স্থগিতাদেশ জারি করে থাকে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে আগামী ১৬ আগস্ট। তার আগেই বিশ্বভারতী কে আদালত অবমাননার কারণ দর্শাতে হবে।আদালত সুত্রে প্রকাশ, বিশ্বভারতীর শিক্ষিকা হিসাবে শ্রুতি বন্দ্যোপাধ্যায় যোগদান করার পরেই উপাচার্য পদে আসেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। উপাচার্য ওই শিক্ষিকা কে জানান – ‘তিনি প্রাপ্য বেতনের থেকে অনেক বেশি অর্থ পাচ্ছেন। তাই অতিরিক্ত ১৪ লক্ষ টাকা তাঁকে ফেরত দিতে হবে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ কে। ‘ তবে এই ধরনের অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য ৮ সদস্য শিক্ষকদের এক কর্মসমিতি আছে। যারা এই বিষয় গুলি দেখে থাকেন। কিন্তু এক্ষেত্রে শিক্ষিকা শ্রুতি বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেতন সংক্রান্ত অভিযোগ টি খতিয়ে দেখার জন্য একজন কে স্পেশাল অফিসার হিসাবে নিয়োগ করে বিশ্বভারতী। আর এই নিয়োগ কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হন ওই শিক্ষিকা। পরপর দুদিনের শুনানিতে বিশ্বভারতী কে গাইডলাইন বেঁধে দেওয়ার পর তা না মানায় আদালত অবমাননার মুখে পড়ছে বিশ্বভারতী। কড়া ভৎসনা পাওয়ার পর বিশ্বভারতী কি করে, সেটার দিকে তাকিয়ে অনেকেই।
আদালতের নির্দেশ অমান্য করে নোটিশ? বিশ্বভারতী কে ভৎসনা হাইকোর্টের….।
More from CourtMore posts in Court »
- মাত্র দেড় মাসে অপরাধ দমনে অনন্য নজির গুসকারা বিট হাউস পুলিশের…।
- স্নাতকোত্তরে ল’ কোর্স শুরু কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে….।
- এটিএম কার্ড ফিরিয়ে দিল মঙ্গলকোটের ‘নিখোঁজ’ যুবক কে!….
- প্রয়াত বিচারকের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোওয়ার আসর….।
- তিন দিন ব্যাপী আইন নিয়ে সেমিনার আয়োজিত হলো কিংস্টন কলেজে….।
- Historic Step Towards Legal Inclusivity: Constitution of India in Braille Version…..
Be First to Comment