Press "Enter" to skip to content

আজকের দিনে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের স্থাপন হয়েছিল।

Spread the love

সুদীপা চৌধুরী: মেদিনীপুর, ৩১ মে, ২০২৫। দক্ষিণেশ্বর মন্দির ও মা ভবতারিণী‌ এবং রামকৃষ্ণ এক সূত্রে অটুট বন্ধন।
আজকের দিনেই ,৩১ শেষ মে, অবতার বরিষ্ঠায়
শ্রী রামকৃষ্ণ দেবের লীলা ক্ষেত্র দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের স্থাপন হয়েছিল।
১৮৪৭ সালে রানী রাসমণি কাশী বিশ্বনাথ দর্শনের উদ্দেশ্য নৌকায় যাত্রা শুরু করেন। মাঝপথে মা কালীর স্বপ্নাদেশ পেয়ে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। ঐ বছরই ২০ একর জমি কিনে শুরু হয় মায়ের মন্দির নির্মাণ এর কাজ।
হুগলি নদীর তীরে ১৮৫৫ সালের ৩১ শে মে, রানী রাসমনির ইচ্ছা অনুসারে দক্ষিণেশ্বরে মা ভবতারিণীর মন্দির প্রতিষ্ঠা সম্পূর্ণ হয়। ঐ দিন ছিল স্নান যাত্রার দিন।
আর সেই শুভ লগ্নেই নবীন ভাস্কর এর হাতে তৈরি তৃতীয় মূর্তিটি দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের গর্ভ গৃহে প্রতিষ্ঠিত হয়। নবীন ভাস্কর এর হাতে তৈরি পর পর দুটি মূর্তি একটি ছোট ও অপরটি কিঞ্চিৎ বড় হয়ে যাওয়ায় তা অন্য মন্দিরে অধিষ্ঠিত হয়।
বহু বার গেছি দক্ষিণেশ্বর এবং বেলুড় মঠে। পঞ্চবটি বন , যেখানে ঠাকুর তোতাপুরীর কাছ থেকে সন্ন্যাস গ্রহণ পূর্বক বেদান্ত সাধনা করে তিন দিন নির্বিকল্প সমাধিতে লীন ছিলেন।
ঠাকুরের ঘর, বিশ্রামের কক্ষ, বারোটা শিব মন্দির , ভক্তদের সঙ্গে ঠাকুরের ভাবের আদান প্রদানের ক্ষেত্র, সব যেনো আজো প্রাণ কে নাড়া দেয়।
দক্ষিণেশ্বরের গঙ্গা থেকে দূরে বেলুড় দর্শন , স্টিমারে করে বেলুড় মঠে যাওয়া-আসা যেমন সুন্দর তেমনি মনের আঙ্গিনায় এক মধুর স্মৃতির সমাবেশ। ঠাকুর যেনো আজও পঞ্চবটির বনে ঘুরে বেড়াচ্ছেন অথবা মায়ের মন্দিরে গিয়ে মা.. মা… করে অশ্রু বিসর্জন করেছেন একটি বার দেখা দে বলে কিংবা গঙ্গার পাড়ে দাঁড়িয়ে, জগৎবাসীকে চৈতন্য হওয়ার আশীর্বাদ বর্ষণ করে চলেছেন। মন্দিরে পা রাখলেই বা মন্দির চত্বরে ঘুরে বেড়ালে সেখানকার আবহাওয়া সেখানকার বাতাস আকাশ সব যেনো পরমহংসময় হয়ে মনে হিন্দোল জাগিয়ে তোলে। ভালো-মন্দ সব মিলে বিশেষ একাকার হয়ে যায়, ঠাকুরের আর তার ভবতারিণীর পরশে ।।

More from EntertainmentMore posts in Entertainment »
More from InternationalMore posts in International »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Mission News Theme by Compete Themes.