Press "Enter" to skip to content

আচার্য তুলসী অ্যাকাডেমি অর্কিডস দ্য ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা উদযাপন করলো বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস….।

Spread the love

• এই উদ্যোগের অঙ্গ হিসাবে স্কুল ক্যাম্পাসের মধ্যে বৃক্ষরোপণ সংক্রান্ত প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়েছে
• এই আয়োজনের অন্যান্য আকর্ষণ বিন্দুগুলি হল মৃত্তিকা সংরক্ষণের বিষয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য লেখা প্ল্যাকার্ডের প্রদর্শনী ও মৃত্তিকা সংরক্ষণের গুরুত্ব সম্পর্কে তৈরি করা একটি তথ্যচিত্রের সম্প্রচার

নিজস্ব প্রতিনিধি : কলকাতা, ৯ ডিসেম্বর, ২০২২: ঝা চক চকে নিউটাউন-এ অবস্থিত আচার্য তুলসী অ্যাকাডেমি অর্কিডস দ্য ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা আজ সুস্থ জীবনের জন্য স্বাস্থ্যপ্রদ মাটি’ শীর্ষক উদ্যোগ লক্ষ করেছে। স্টুডেন্ট কাউন্সিলের মেম্বারগণ স্কুল ক্যাম্পাসের মধ্যেই একটি বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির  আয়োজন করে যেটিকে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা একটি নিরন্তর অ্যাক্টিভিটি হিসাবেই ভবিষ্যতেও চালিয়ে যেতে চায়। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের মাধ্যমে এখানে নিয়মিতভাবে নতুন চারাগাছ রোপণের পাশাপাশি গাছেদের বিকাশ ও বৃদ্ধির অনুকূল পরিবেশ সুনিশ্চিত করা ছাড়াও ছোট-ছোট চারাগাছের বেড়ে ওঠার ব্যাপারেও ধারবাহিকভাবে নজর দেওয়া হবে বলে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে, যার বিষয় হল মৃত্তিকা সংরক্ষণ এবং এখানে কীভাবে মৃত্তিকা সংরক্ষণ করা হয় এবং বাস্তুতন্ত্র রক্ষার ক্ষেত্রে এর ভূমিকা কী – ইত্যাদি বিষয়েও বিশদ আলোচনা করা হয়েছে। মৃত্তিকা সংরক্ষণের ব্যাপারে সচেতনতা প্রসারের লক্ষ্যে ছাত্র-ছাত্রীরাও উৎসাহের সাথে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মেসেজ ও ছবির মাধ্যমে নানা প্ল্যাকার্ড তৈরি করে তার প্রদর্শন করেছে।

এই আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য হল মৃত্তিকা সংসাধনের ক্ষেত্রে উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেতে থাকা চ্যালেঞ্জগুলি প্রতিরোধ করা, মৃত্তিকা সংক্রান্ত সচেতনতা আরও প্রসারিত করা এবং সমাজের প্রতিটি স্তরে মাটির স্বাস্থ্যের উন্নতির ব্যাপারে জনচেতনার উন্মেষ ঘটিয়ে এবং উৎসাহ প্রদান করার মাধ্যমে একটি সুস্থ ও স্বাস্থ্যবান বাস্তুতন্ত্র বজায় রাখার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতার প্রসার করা।

নিউটাউনে অবস্থিত আচার্য তুলসী অ্যাকাডেমি, অর্কিডস দ্যা ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রিন্সিপাল শ্রীমতী শর্মিলি শাহ বলেন, “মাটির পৌষ্টিকতা হানি হল মাটির ক্ষয়ের প্রক্রিয়ার একটি উল্লেখযোগ্য দিক যা পৌষ্টিক খাদ্যের উপলভ্যতার ব্যাপারে একটি অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক স্তরে খাদ্য সুরক্ষা ও স্থায়িত্বের দিক দিয়েও সবচেয়ে গুরুতর সমস্যা হিসাবে ধার্য করা হয়। এই ধরনের অ্যাক্টিভিটির ফলে প্রথমত বাচ্চারা প্রকৃতির কাছাকাছি আসতে পারে এবং তার পাশাপাশি তাদের পরিবেশের প্রতি দায়বদ্ধতার ব্যাপারেও শিক্ষা দেওয়া যায়। এই প্রচেষ্টার ফলস্বরূপ তারা সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করতে সক্ষম হয় এবং তাদের প্রত্যেককে স্বতন্ত্রভাবে একটি স্থায়ী ও নিরাপদ ভবিষ্যতের জন্য ছোট ছোট পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য উৎসাহিত করা সম্ভব হয়।”

পঞ্চম শ্রেণির স্টুডেন্ট, শিবাঙ্গী ভট্টাচার্যের কথায়, “বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস উপলক্ষ্যে, আমরা অনেক চারাগাছ স্কুলে নিয়ে এসে আমাদের স্কুলের ক্যাম্পানের মধ্যে সেগুলি রোপণ করেছি। আমরা স্কুলের ক্যাম্পাসের মধ্যেই এমন কয়েকটি জায়গা পেয়েছি যেখানে পর্যাপ্ত পরিমাণে সূর্যালোক পড়ে এবং আমরা সেখানকার মাটিকে যথেষ্ট পরিমাণে উর্বর করেছি। তারপর সেই মাটিতে আমরা প্রয়োজনমতো জল ঢেলে সেখানে চারাগাছগুলি রোপণ করেছি। সবাই মিলে খুব আনন্দের সাথে আমরা এই আয়োজন সম্পূর্ণ করেছি এবং আমাদের সবার মিলিত প্রচেষ্টা এটি একটি উৎসবের আকার নিয়েছিল।

More from EducationMore posts in Education »
More from GeneralMore posts in General »
More from SocialMore posts in Social »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Mission News Theme by Compete Themes.